আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
234 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
১.কোরআন পড়ার নিয়ম কি?

২.খাটের উপর বসে কোরআন পড়া যাবে?

৩.কোরআন রুই পোকা খেলে বা ভুলবসতো ছিড়ে গেলে কি করবো? আর এতে কি কোনো গুনাহ হবে?

৪.কোরআন পড়ার সময় কোন কাজ গুলো নিষিদ্ধ?
৫.একই রুমে আমি কোরআন পড়লে আর একজান কানে হেডফোন দিয়ে গান শুনলে কি আমার কোনো গুনাহ হবে?

৬.কোরআন পড়ার সময় কানে গান বা sound আসলে গোনাহ হবে?

৭.কোরআন নিয়মিত না পড়তে পারলে কি কোনো গুনাহ হবে?

৮.ভুলবসতো কুরআন হাত থেকে পড়ে গেলে বা পা লাগলে কি করবো?আর এতে কি কোনো গুনাহ হবে?

৯.কোরআন ছিড়ে গেলে বা পুরোনো হয়ে গেলে সেই কোরআন কি করবো?

1 Answer

0 votes
by (676,480 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
সুরা ওয়াকিয়াহ এর ৭৯ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ   
ﻟَّﺎ ﻳَﻤَﺴُّﻪُ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟْﻤُﻄَﻬَّﺮُﻭﻥَ
যারা পাক-পবিত্র, তারা ব্যতীত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না।

হাদিস শরীফে এসেছে

 - مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ  أَنَّ فِي الْكِتَابِ الَّذِي كَتَبَهُ رَسُولُ اللهِ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ: أَنْ لاَ يَمَسَّ الْقُرَآنَ إِلاَّ طَاهِر،
ٌ،)رقم الحديث 680(

তরজমাঃ- হযরত আমর ইবনে হযম রাঃবলেন,ঐ কিতাব যা আল্লাহর রাসুল সাঃ আমর ইবনে হযমের সাথে নাজরান প্রেরণ করছিলেন তাতে এটাও তিনি লিখে দিয়ছিলেন যে, কোরআনকে পবিত্রতা ব্যতীত  কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।

হাদীস শরীফে এসেছে  

وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ بِهٰذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِه اٰخَرِينَ

উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা এ কিতাব কুরআনের মাধ্যমে কোন কোন জাতিকে উন্নতি দান করেন। আবার অন্যদেরকে করেন অবনত।

(মুসলিম ৮১৭, ইবনু মাজাহ ২১৮, আহমাদ ২৩২, দারিমী ৩৪০৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫১২৫, শু‘আবূল ঈমান ২৪২৮, সহীহাহ্ ২২৩৯)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
বুযুর্গানে দ্বীন,উলামায়ে কেরাম গন কুরআন তেলাওয়াত এর কিছু আদব উল্লেখ করেছেনঃ

মিসওয়াক ও অযু করে কোনো জায়গায় এক ধ্যানের সহিত বসে অত্যাধিক আদব নম্রতা সহকারে কিবলার দিক বসে চার যানু এবং কোথাও টেক না লাগিয়ে,পড়বে।
কুরআনের আযমত আর বড়ত্ব মস্তিষ্কে বসাবে যে এটি ঐ সত্তার কালাম,যিনি আহকামুল হাকিমিন,সমস্ত কিছুর প্রতিপালক।
অর্থ বুঝলে আযাবের আয়াত আসলে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবে,মাগফিরাত চাইবে।
আল্লাহর বড়ত্ব সংক্রান্ত আয়াত আসলে সুবহানাল্লাহ বলবে।
কান্নার আওয়াজ নিয়ে আসার চেষ্টা করবে।

কোন কোন জায়গায় কুরআন তিলাওয়াত করা যাবে

يُسْتَحَبُّ أَنْ تَكُونَ الْقِرَاءَةُ فِي مَكَانٍ نَظِيفٍ مُخْتَارٍ، وَلِهَذَا اسْتَحَبَّ جَمَاعَةٌ مِنَ الْعُلَمَاءِ أَنْ تَكُونَ الْقِرَاءَةُ فِي الْمَسْجِدِ لِكَوْنِهِ جَامِعًا لِلنَّظَافَةِ وَشَرَفِ الْبُقْعَةِ، قَالَهُ النَّوَوِيُّ.

وَصَرَّحَ فُقَهَاءُ الْحَنَفِيَّةِ وَالْمَالِكِيَّةِ وَالشَّافِعِيَّةِ وَالْحَنَابِلَةِ بِكَرَاهَةِ قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ فِي الْمَوَاضِعِ الْقَذِرَةِ، وَاسْتَثْنَى الْمَالِكِيَّةُ الآْيَاتِ الْيَسِيرَةَ لِلتَّعَوُّذِ وَنَحْوِهِ.

পবিত্রতম পছন্দনীয় স্থানেই কিরাত পড়া মুস্তাহাব।এজন্য উলামাদের বড় একটি জামাত পছন্দ করেন যে,মসজিদেই কিরাত পড়া মুস্তাহাব।কেননা মসজিদ পরিচ্ছন্ন থাকে এবং মসজিদই হল,সর্বোত্তম স্থান।এটা ইমাম নববী রাহ এর মন্তব্য। হানাফি, শা'ফেয়ী, মালিকী,এবং হাম্বলী মাযহাবের সমস্ত ফুকাহায়ে কিরামের সিদ্ধান্ত হল,ময়লাযুক্ত স্থানে কুরআন তিলাওয়াত মাকরুহ।তবে মালিকী মাযহাবের ফুকাহাগণ দু'আর ছোট্ট আয়াতকে ময়লাযুক্ত স্থানে পড়ারও অনুমোদন দিয়ে থাকেন।(৩৩/৬২)

আরো জানুন-https://www.ifatwa.info/171

কুরআন তিলাওয়াতের আদব সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ   

(০২)
খাটের উপর বসে কোরআন পড়া যাবে।
বসার স্থানে নাপাকি থাকলে তার উপর কোনো চাদর ইত্যাদি বিছিয়ে বসবেন।

(০৩)
এতে কোনো গুনাহ হবেনা।

পবিত্র কোরআনের পুরাতন কপিগুলো তেলাওয়াতের অনুপযুক্ত হয়ে গেলে যত্ন করে সরিয়ে নিতে হবে। এরপর পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন কাপড়ে পেঁচিয়ে মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে।
তবে এমন জায়গায় দাফন (পুঁতে) করতে হবে, যেখানে মানুষের চলাচল নেই।

যদি সেটি আবার প্রকাশ হওয়ার ভয় হয়,তাহলে সেটি জালিয়ে ছাইকে দাফন করে দিবে।
অথবা প্রবাহমান নদি/সাগরে প্রবাহ করে দিবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ১৫/৭৬)

বিস্তারিত জানুনঃ   


(০৪)
১ম নং জবাব দ্রষ্টব্য।

(০৫)
এতে আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।

(০৬)
আপনি সেদিকে মনযোগী হবেননা,তাহলেই আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।

(০৭)
গুনাহ হবেনা।

(০৮)
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
অসতর্কতা বশত এমন হলে গুনাহ হবে।
তবে তওবাই যথেষ্ট।  

(০৯)
৩ নং জবাব দ্রষ্টব্য।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...