আসসালামুআলাইকুম
উস্তাদ, যোহরের নামাজে শেষে ২ রাকাত নফল নামাজের বিধান টা কীভাবে ও কেনো আসলো?
এশার স্বলাত ১৭ রাকাত হল কেনো? সুন্নাত ৪,ফরজ ৪,সুন্নাত ২,তারপর ২ রাকাত নফল স্বলাতের বিধান কীভাবে আসলো।এবং আমরা জানি নবীজী বলেছেন তোমাদের রাতের শেষ নামাজ যেনো বিতর স্বলাত হয় কিন্তু এশার ১৭ রাকাত নামাজে বিতর পরেও আরো দুই রাকাত নামাজের কথা কেনো আসলো এবং এটা পড়া কি ঠিক হবে?
স্বলাতুত তাসবিহ নামাজঃ উস্তাদ ইউটিউবে এক শায়েখের লেকচারে শুনিছিলাম এই নামে কোনো স্বলাত নাকি সহি হাদিসে আসে নাই এটা আদায় করা নাকি বিদআত শুনে আমি আমল করা ছেড়ে দিছি। কিন্তু উস্তাদ এটা কি আসলেই বিতআদ এর সনদ কোন পর্যায়ের?তার পর এখানের নিদিষ্ট তাসবিহ কত বার পড়তে হবে এগুলোওও নাকি বলা নেই।এখন আমি জানতে চাচ্ছি এটা কোন পর্যায়ের হাদিস এবং আমল যোগ্য কি না?
উস্তাদ, তারাবির নামাজে প্রতি ৪ রাকাত পর সলাম ফিরিয় বসে একটি
টা দুয়া পড়ার কথা আসে " সুবাহানাযিল মুলকি ওয়াল মালা খুতি.............. " এবং শেষে হাত তুলে আটেকটি দুয়া "আল্লাহহুম্মা ইন্না আসআলুকাল জান্নহ ওয়া... …......." একজন শাখের লেকচারে শুনি তারাবির নামাজে নির্দিষ্টভাবে কোনো দুয়া নেই এই দোয়া গুলো কোনো সহি হাদিসে নেই এগুলো ভালো অর্থ দিলেও সাওবের আাশায় পড়তে বিদআত হবে। আমি এর সঠিক মতটা জানতে চাই উস্তাদ এটা আমল করলে কি বিতআত হবে? এগুলো কি সহি হাদিসে আছে এবং আমল করা যাবে কিনা?
উস্তাদ তাহাজ্জুদ স্বলাতের আশায় বিতর না পড়ে ঘুমাই কিম্তু বেশির ভাগ দিন দেখা যায় আমি উঠতে পারিনা ফলে বিতর কাযা হয়ে যায় তাই এখন বিতর এশার সাথেই পড়ে নেই পরে উঠতে পারলে তাহাজ্জুদ আদায় করি এতে কি আমার নবীজির হাদিস না মানার গুনাহ হবে? যে তোমরা রাতের শেষ নামাজ যেনো বিতট স্বলাহ হয়।আর রামাদনে কখন বিতর স্বলাত আাদাশ করা নবীজি ও সাহাবারা করেছেন।
উস্তাদ সূরা ইয়াসিন, ওয়াকিয়া,আর -রহমান এগুলোর বিশেষ ফযিলত বিভিন্ন বইতে পড়েছি কিন্তু যেমনঃসূরা ইয়াসিন ফজর পর পড়লে মনে আসা পূরন, বিপদ দূর হওয়া সহ আরো নানা কিছু,সূরা ওয়াকিয়া মাগরিব পর পড়লে অভাব অনটন হয় না। কিন্তু উস্তাদ এক শাখেক বল্লেন সহি হাদিস মুতাবেক এসব সূরার বিশেষ কোনো ফযিলত নেই শুধু তিলাওয়াত করলে তিলাওয়াতের সওয়াব পাওয়া যাবে।তারপর ঘুমানোর আগে নবীজী সূরা সিজদাহ পড়তের এটা কি সহি হাদিসে আছে?
যদি কেউ কুরআন পড়িয়ে টাকা নেয় তাহলে কি সে আল্লাহ কাছে কোনো প্রতিদান পাবে?আর পড়েছি যে জীবিকার জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য কুরআন পড়ে সে কিয়ামতে কংকাল হয়ে উঠবে। যারা কুরআন পড়িয়ে টাকা নেয় তারা কি এর অন্ভুক্ত হবে?
জাঝাকুমুল্লাহু খইরান উস্তাদ।