বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব
মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল নয়।ঠিক তেমনি কোনো চুক্তিবদ্ধ কাফিরের মালও মুসলমানের জন্য হালাল নয়।
হারবী বা যদ্ধরত কাফিরদের মাল মুসলমানের জন্য কি হালাল। এ সম্পর্কে বিশুদ্ধ মত হল,যুদ্ধরত কাফিরদের মাল যুদ্ধক্ষেত্র পাওয়া ব্যতীত হালাল নয়।হ্যা যেই সমস্ত কাফির সরাসরি মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে,তাদের মাল মুসলমানদের জন্য হালাল।
আর যারা সরাসরি মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত নয়,তাদের মাল মুসলমানের জন্য হালাল নয়।
ফেইসবুক একজনের ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি।সুতরাং তাকে ধোকা দেওয়া জায়েয হবে না।কেননা ইসলামের ধোকার কোনো সুযোগ নাই।রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,যে ধোকা দিবে,সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।
সুতরাং ফেইসবুককে ধোকা দিয়ে তাদের ওখান থেকে কুপন বিক্রি করা বৈধ হবে না।
আল-লাজনাতু-দ্দায়িমাহ কে প্রশ্ন করা হয়েছিল,
প্রশ্নঃ-
আমি একটি একজন কম্পিউটার প্রগ্রামার।আমি একটি সফটওয়্যার এর নকল কপি বানিয়েছি।ঐ নকল কপি দ্বারা যে কোনো কম্পিউটার চালানো যায়।আমি জানি এরকম কপি করা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিষিদ্ধ।এ নিষেধাজ্ঞা এমন যেন তা কিতাবের প্রারম্ভে 'প্রকাশনাস্বত্ত সংরক্ষিত' লিখে কপি নিষেধাজ্ঞার অনুরূপ।
কখন উক্ত সফটওয়্যার এর নির্মাতা মুসলিম হন আবার কখনো অমুসলিম হন।এখন আমার প্রশ্ন হল,এরকমভাবে সফটওয়্যার নকল করা কি জায়েয আছে?
তারা জবাবে বলেছেন,
সফটওয়্যারের কপি যা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিষিদ্ধ-কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত বিক্রি করা জায়েয হবে না।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
'মুসলমানগণ চুক্তি পালনে বদ্ধপরিকর'(যে চুক্তি তারা শরীয়ত পালনার্তে পরস্পর করবে)
এবং তিনি আরো বলেন-
কোন মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।
এবং তিনি আরো বলেন-
যে ব্যক্তি কোনো মুবাহ জিনিষকে আয়ত্ব করে নেবে, সে জিনিষের সর্বস্বত্ত তারই মালিকানাধীন থাকবে।
এখন চায় উক্ত সফটওয়্যারের মালিক মুসলিম হোক বা গায়রে হারবী(মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত নয় এমন) অমুসলিম হোক।কেননা এমন অমুসলিমের মাল ও সম্পদও চুক্তি অনুসারে নিরাপদ।
কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরাম মনে করেন,যদি কেউ ব্যবসার জন্য সফটওয়্যার কপি করে তবে তা নাজায়েয। আর যদি নিজের ব্যবহারের জন্য কপি করে তবে তা জায়েয।
শায়েখ সা'দ হুমাইয়্যিদ মনে করেন,
ব্যবসা বা মূল মালিককে ক্ষতি পৌছানোর জন্য কিতাব বা কোনো জিনিষের কপি তৈরী করা জায়েয হবে না। আর যদি কোনো মানুষ তার নিজের জন্য একটি কপি তৈরী করে নেয়,তাহলে আমি মনে করি তাতে কোনো অসুবিধা হবে না।তবে সর্বাবস্থায় কপি থেকে বেছে থাকাই উত্তম।