আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
192 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (59 points)
অনেকে ফেসবুকে ফেক একাউন্ট খুলে। এরপর ফেক পেজ খুলে রাখে। এড কুপন পেলে ভার্চুয়ালি ক্রেডিট কার্ড (মানে আসলে তার কার্ড নেই, ফেক কার্ড ইনফোরমেশন তৈরি করে) ইনফোরমেশন জেনারেট করে এড কুপন ক্লেইম করে সেগুলো বিক্রি করে। এটা ত একরকম প্রতারণা। তো এরকম যারা করে তাদের একজনকে এব্যাপারে জিজ্ঞাসা করায় সে বলে যে ফেসবুক দারুল হারবের কোম্পানি। মালিক কাফির। তাই তাদের সাথে প্রতারণা করা যায়েজ। যার কারণে এভাবে আয় হারাম না। আমার প্রশ্ন হচ্ছে তার আয় কি হালাল হচ্ছে?

1 Answer

0 votes
by (696,320 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাব

মুসলমানের জন্য অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল নয়।ঠিক তেমনি কোনো চুক্তিবদ্ধ কাফিরের মালও মুসলমানের জন্য হালাল নয়।
হারবী বা যদ্ধরত কাফিরদের মাল মুসলমানের জন্য কি হালাল। এ সম্পর্কে বিশুদ্ধ মত হল,যুদ্ধরত কাফিরদের মাল যুদ্ধক্ষেত্র পাওয়া ব্যতীত হালাল নয়।হ্যা যেই সমস্ত কাফির সরাসরি মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে,তাদের মাল মুসলমানদের জন্য হালাল।
আর যারা সরাসরি মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত নয়,তাদের মাল মুসলমানের জন্য হালাল নয়।

ফেইসবুক একজনের ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি।সুতরাং তাকে ধোকা দেওয়া জায়েয হবে না।কেননা ইসলামের ধোকার কোনো সুযোগ নাই।রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,যে ধোকা দিবে,সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।


সুতরাং ফেইসবুককে ধোকা দিয়ে তাদের ওখান থেকে কুপন বিক্রি করা বৈধ হবে না।




আল-লাজনাতু-দ্দায়িমাহ কে প্রশ্ন করা হয়েছিল,
প্রশ্নঃ-
আমি একটি একজন কম্পিউটার প্রগ্রামার।আমি একটি সফটওয়্যার এর নকল কপি বানিয়েছি।ঐ নকল কপি দ্বারা যে কোনো কম্পিউটার চালানো যায়।আমি জানি এরকম কপি করা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিষিদ্ধ।এ নিষেধাজ্ঞা এমন যেন তা কিতাবের প্রারম্ভে 'প্রকাশনাস্বত্ত সংরক্ষিত' লিখে কপি নিষেধাজ্ঞার অনুরূপ।
কখন উক্ত সফটওয়্যার এর নির্মাতা মুসলিম হন আবার কখনো অমুসলিম হন।এখন আমার প্রশ্ন হল,এরকমভাবে সফটওয়্যার নকল করা কি জায়েয আছে?

তারা জবাবে বলেছেন,
সফটওয়্যারের কপি যা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিষিদ্ধ-কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত বিক্রি করা জায়েয হবে না।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
'মুসলমানগণ চুক্তি পালনে বদ্ধপরিকর'(যে চুক্তি তারা শরীয়ত পালনার্তে পরস্পর করবে)
এবং তিনি আরো বলেন-
কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না।
এবং তিনি আরো বলেন-
যে ব্যক্তি কোনো মুবাহ জিনিষকে আয়ত্ব করে নেবে, সে জিনিষের সর্বস্বত্ত তারই মালিকানাধীন থাকবে।
এখন চায় উক্ত সফটওয়্যারের মালিক মুসলিম হোক বা গায়রে হারবী(মুসলমানদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত নয় এমন) অমুসলিম হোক।কেননা এমন অমুসলিমের মাল ও সম্পদও চুক্তি অনুসারে নিরাপদ।

কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরাম মনে করেন,যদি কেউ ব্যবসার জন্য সফটওয়্যার কপি করে তবে তা নাজায়েয। আর যদি নিজের ব্যবহারের জন্য কপি করে তবে তা জায়েয। 

শায়েখ সা'দ হুমাইয়্যিদ মনে করেন,
ব্যবসা বা মূল মালিককে ক্ষতি পৌছানোর জন্য কিতাব বা কোনো জিনিষের কপি তৈরী করা জায়েয হবে না। আর যদি কোনো মানুষ তার নিজের জন্য একটি কপি তৈরী করে নেয়,তাহলে আমি মনে করি তাতে কোনো অসুবিধা হবে না।তবে সর্বাবস্থায় কপি থেকে বেছে থাকাই উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...