আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
97 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (95 points)

আসসালামু আলাইকুম 

১) একটা কোম্পানি থেকে তাদের একটি পণ্যের জন্য তাদের বিশেষ কিছু পূর্ববর্তী কাস্টমারকে কুপন দেওয়া হয়েছে। আমিও তাদের পূর্ববর্তী কাস্টমার তবে আমি ঐ বিশেষ কাস্টমারদের তালিকায় নেই, তাই আমাকে দেওয়া হয়নি। এখন যাদেরকে দেওয়া হয়েছে তাদের থেকে কুপন নিয়ে আমি ব্যবহার করলে তা কি আমার জন্যে জায়িজ হবে? নাকি তা প্রতারণার সামিল হবে?

২) আমার মায়ের নখে ইনফেকশন হয়েছে। কিন্ত আমি জানি না কোন ডাক্তার তার জন্য ভালো হবে, এক্ষেত্রে আমি কি তার আঙ্গুলের ছবি তুলে একটি ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করতে পারবো? গ্রুপটিতে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই রয়েছে, তারা হয়তো আমাকে একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ দিতে পারে।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
উক্ত কূপন আপনার জন্য ব্যবহার করা জায়েজ হবেনা।
আপনি কূপন সংগ্রহের জন্য প্রয়োজনে কে কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

হ্যাঁ, কোম্পানি একজনকে কূপন দিলে কূপন গ্রহীতা ব্যাক্তি যদি উক্ত কূপন অন্যকে দেয়,সেই ৩য় ব্যাক্তি যদি এভাবে কূপন ব্যবহারে যদি কোম্পানির পক্ষ থেকে অনুমতি থাকে,বা সমর্থন থাকে,নিষেধাজ্ঞা না থাকে,তাহলে এক্ষেত্রে আপনি উক্ত কূপন ব্যবহার করতে পারবেন।

অনুমতি না থাকলে বা মৌন সমর্থন না থাকলে সেই কূপন ব্যবহার করলে তাহা ধোকা দেয়া হবে।
যাহা জায়েজ নেই।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

(০২)
এটি জায়েজ হবেনা।
আপনি সরাসরি কোনো ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...