বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
ইসলামে জন্মদিন পালন,এবং এ উপলক্ষ্যে ঘটাকরে কোনো অনুষ্টানের আয়োজন করার কোনো নিয়ম নেই।বরং এটা নবআবিস্কৃত ও বিদ'আত।বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/166
জন্মদিন উপলক্ষ্যে জন্মের সেই তারিখে রোযা রাখার কোনো নযির শরীয়তে নেই।রাসূলুল্লাহ সাঃ সোমবারে জন্মদিন উপলক্ষ্যে রোযা রেখেছেন বলে কোনো প্রমাণ নেই।
কোনো কোনো রেওয়াতে সোমবারে রোযা রাখার হেকমত সম্পর্কে যে জন্মদিনের কথা যে উল্লেখ রয়েছে,সেখানে মূলত কয়েকটি হেকমতের একটি হেকমত হিসেবে জন্মদিনের কথা উল্লেখ করে সোমবারের ফযিলতকে বুঝানো হয়েছে।কেননা সোমবারে রোযা রাখার হেকমত সম্পর্কে বর্ণিত হাদীস সমূহে জন্মতারিখের হেকমত ছাড়া ভিন্ন ভিন্ন হেকমতের আলোচনাও এসেছে।
যেমন হযরত আবু কাতাদাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ صَوْمِ الِاثْنَيْنِ فَقَالَ : ( فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَيَّ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে সোমবারের রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো(কেননা রাসূলুল্লাহ এ দিন প্রায় রোযা রাখতেন)রাসূলুল্লাহ সাঃ প্রতিউত্তরে বললেন,কেননা এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি,এবং এই দিনে আমার উপর অহী নাযিল করা হয়েছে।(সহীহ মুসলিম-১১৬২)
এ হাদীস দ্বারা জন্ম তারিখে রোযা রাখার উপর প্রমাণ পেশ কর যাবেনা।কেননা এ হাদীস রোযা রাখার উপর প্রমাণ করে না, বরং এখানে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জন্মের কারণে সোমবার দিনের ফযিলতকে বর্ণনা করা হচ্ছে।যদি বাস্তবেই জন্মতারিখে রোযা রাখার কোনো নিয়ম থাকতো, তাহলে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাঃ সেটাকে পরিস্কার করে বর্ণনা করে দিতেন।এবং সাহাবায়ে কেরাম সেটাকে আ'মলে নিয়ে আসতেন।কেননা সাহেবায়ে কেরামগনের চেয়ে নেকির প্রতি বেশী অগ্রসরমান আর কেউ হতে পারে না।তারা অবশ্যই আ'মলে নিয়ে আসতেন।..................বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/1619
কেউ কোনো ভালো কাজ করলে তাকে অভিনন্দন জানানো যায়,কিন্তু জন্মদিনে কাউকে অভিনন্দন জানানো যায় না,কেননা ভালো কাজের জন্য অভিনন্দন জানানোকে অনুষ্ঠানিক রূপ দেয়া হয় না এবং জরুরী মনে করাও হয় না,কিন্তু জন্মদিনের অভিনন্দনকে আনুষ্টানিক রূপা দেয় হয়,এবং জরুরীও মনে করা হয়।