আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
2,401 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (67 points)
আমার জানা মতে নবীজী (সঃ) তার জন্মদিনকে উপলক্ষ করে রোজা রাখতেন। কিন্তু সেই জন্মদিনের রোজা রাখা ছিলো সাপ্তাহিক বার হিসেবে। মানে সোমবার। আর এটা যদি সত্যি হয় তবে ইসলামে জন্মদিন বলে কিছু নেই এই কথাটা কতটুকু গ্রহনযোগ্য?

আরেকটা বিষয়, আমরা সচারাচর কেও পরীক্ষায় ভালো ফল করলে, বা কারো জীবনে ভালো কিছু ঘটলে তাদেরকে শুভেচ্ছা বা সাধুবাদ জানাই। এটা আমরা সওয়াব বা নেকির আশায় ইবাদত হিসেবে করি না। তো এরকম বিষয়ে গোনাহ হবে কিনা জানি না। যদি গোনাহ না হয় তবে জন্মদিনের শুভেচ্ছা দেওয়াটা কি জায়েজ হবেনা?

বিঃদ্রঃ আমি নিজেও এখন জন্মদিনের শুভেচ্ছা দেই না। কিন্তু মাথায় প্রশ্ন দুটি ঘুরতেছিলো কিছুদিন ধরে, তাই করলাম। তথ্যে কোনো ভূল থাকলে ধরিয়ে দিবেন।

1 Answer

0 votes
by (697,400 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
ইসলামে জন্মদিন পালন,এবং এ উপলক্ষ্যে ঘটাকরে কোনো অনুষ্টানের আয়োজন করার কোনো নিয়ম নেই।বরং এটা নবআবিস্কৃত ও বিদ'আত।বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/166

জন্মদিন উপলক্ষ্যে জন্মের সেই তারিখে রোযা রাখার কোনো নযির শরীয়তে নেই।রাসূলুল্লাহ সাঃ সোমবারে জন্মদিন উপলক্ষ্যে রোযা রেখেছেন বলে কোনো প্রমাণ নেই।
কোনো কোনো রেওয়াতে সোমবারে রোযা রাখার হেকমত সম্পর্কে যে জন্মদিনের কথা যে উল্লেখ রয়েছে,সেখানে মূলত কয়েকটি হেকমতের একটি হেকমত হিসেবে জন্মদিনের কথা উল্লেখ করে সোমবারের ফযিলতকে বুঝানো হয়েছে।কেননা সোমবারে রোযা রাখার হেকমত সম্পর্কে বর্ণিত হাদীস সমূহে জন্মতারিখের হেকমত ছাড়া ভিন্ন ভিন্ন হেকমতের আলোচনাও এসেছে।

যেমন  হযরত আবু কাতাদাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
عَنْ أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ عَنْ صَوْمِ الِاثْنَيْنِ فَقَالَ : ( فِيهِ وُلِدْتُ وَفِيهِ أُنْزِلَ عَلَيَّ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে সোমবারের রোযা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো(কেননা রাসূলুল্লাহ এ দিন প্রায় রোযা রাখতেন)রাসূলুল্লাহ সাঃ প্রতিউত্তরে বললেন,কেননা এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি,এবং এই দিনে আমার উপর অহী নাযিল করা হয়েছে।(সহীহ মুসলিম-১১৬২)
এ হাদীস দ্বারা জন্ম তারিখে রোযা রাখার উপর প্রমাণ পেশ কর যাবেনা।কেননা এ হাদীস রোযা রাখার উপর প্রমাণ করে না, বরং এখানে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জন্মের কারণে সোমবার দিনের ফযিলতকে বর্ণনা করা হচ্ছে।যদি বাস্তবেই জন্মতারিখে রোযা রাখার কোনো নিয়ম থাকতো, তাহলে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাঃ সেটাকে পরিস্কার করে বর্ণনা করে দিতেন।এবং সাহাবায়ে কেরাম সেটাকে আ'মলে নিয়ে আসতেন।কেননা সাহেবায়ে কেরামগনের চেয়ে নেকির প্রতি বেশী অগ্রসরমান আর কেউ হতে পারে না।তারা অবশ্যই আ'মলে নিয়ে আসতেন।..................বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1619


কেউ কোনো ভালো কাজ করলে তাকে অভিনন্দন জানানো যায়,কিন্তু জন্মদিনে কাউকে অভিনন্দন জানানো যায় না,কেননা ভালো কাজের জন্য অভিনন্দন জানানোকে অনুষ্ঠানিক রূপ দেয়া হয় না এবং জরুরী মনে করাও হয় না,কিন্তু জন্মদিনের অভিনন্দনকে আনুষ্টানিক রূপা দেয় হয়,এবং জরুরীও মনে করা হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...