বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
কাজ যেহেতু হালাল,তাই আপনি সেই কাজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
তবে যদি আপনি নিশ্চিত ভাবে জানেন যে তারা এটি হারাম কাজে ব্যবহার করবে,তাহলে এইভাবে কাজ করে ইনকাম করা যাবেনা।
কেননা এতে হারাম কাজে সহযোগিতা করা হবে,যাহা জায়েজ নেই।
সুতরাং তাদের হারাম কাজে ব্যবহারের বিষয় জানলে সেই কাজ,ইনকাম আপনার জন্য জায়েজ হবেনা।
আর আপনার সন্দেহ থাকলে সতর্কতামূলক এ কাজ থেকে বিরত থাকবেন।
(০২)
যেহেতু বিষয়টি আপনি জানেননা,তাই কাজ করতে পারেন।
তবে সন্দেহ থাকলে ছেড়ে দেওয়াই উত্তম।
(৩.৫)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
হযরত আবু হুরায়রাহ রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ এরশাদ করেন
يَأْتِي عَلَى النَّاسِ زَمَانٌ يَأْكُلُونَ فِيهِ الرِّبَا ” ، قَالَ : قِيلَ له: الناس كُلُّهُمْ ؟ قَالَ : ” مَنْ لَمْ يَأْكُلْهُ مِنْهُمْ نَالَهُ مِنْ غُبَارِهِ . اخرجه احمد فى المسند: ٩/٤٦٨ رقم ١٠٣٦٠, قال حمزة احمد الزين: اسناده صحيح; و البيهقي فى سنن الكبرى :٥/٢٧٥ . كذا رواه أبو داود ، والنسائي ، وابن ماجه من غير وجه ، عن سعيد بن أبي خيرة عن الحسن ، به –
‘মানুষের উপর একটি জামানা আসবে, যে জামানায় তারা সূদ খাবে। আবু হুরায়রাহ রা. বলেন: তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল: লোকজনের সবাই (খাবে)? রাসুলুল্লাহ ﷺ বললেন: তাদের মধ্যে যে খাবে না, তাকে ওর ধুলাবালির অংশ (হলেও) স্পর্শ করবে’। [মুসনাদে আহমদ– ৯/৪৬৮, হাদিস ১০৩৬০; সুনানুল কুবরা, বাইহাকী- ৫/২৭৫]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বর্তমান সূদ ভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা হওয়ায় এই।জামানা হাদীসে বর্ণিত জামানার অন্তর্ভুক্ত বলেই মনে হচ্ছে।
(০৫)
শুধু প্রশ্নের জবাব দেয়ায় সমস্যা হবেনা।
শুধু এই কারনে আপনার ইনকাম হারাম হয়ে যাবেনা।