ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
وَإِنْ أَقَرَّ الرَّجُلُ أَنَّهُ زَوْجُهَا وَهِيَ أَنَّهَا زَوْجَتُهُ يَكُونُ إنْكَاحًا وَيَتَضَمَّنُ إقْرَارُهُمَا الْإِنْشَاءَ بِخِلَافِ إقْرَارِهِمَا بِمَاضٍ لِأَنَّهُ كَذِبٌ، وَهُوَ كَمَا قَالَ أَبُو حَنِيفَةَ
যদি কোনো পুরুষ স্বীকারোক্তি দেয় যে, সে এই মহিলার স্বামী।এবং এই মহিলা তার স্ত্রী।তাহলে এটা দ্বারা নতুন বিয়ে বুঝা যাবে। তবে কেউ যদি বলে একে আমি অতীতে বিয়ে করেছি, তাহলে উক্ত বাক্য মিথ্যা বলে প্রমাণিত হবে।যদ্দরুণ বিয়ে হবে না।
(ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/১৩)
ثُمَّ اعْلَمْ أَنَّ الشَّرْطَ سَمَاعُ الشُّهُودِ قِرَاءَةَ الْكِتَابِ مَعَ قَبُولِهَا أَوْ حِكَايَتِهَا مَا فِي الْكِتَابِ لَهُمْ فَلَوْ قَالَتْ: إنَّ فُلَانًا كَتَبَ إلَيَّ يَخْطُبُنِي فَاشْهَدُوا أَنِّي قَدْ زَوَّجْت نَفْسِي مِنْهُ صَحَّ النِّكَاحُ وَتَمَامُهُ فِي الْفَصْلِ السَّابِعَ عَشَرَ فِي النِّكَاحِ بِالْكِتَابَةِ مِنْ الْخُلَاصَةِ، وَقَيَّدَ بِالْإِيجَابِ وَالْقَبُولِ؛ لِأَنَّهُ لَا يَنْعَقِدُ بِالْإِقْرَارِ فَلَوْ قَالَ بِحَضْرَةِ الشُّهُودِ: هِيَ امْرَأَتِي، وَأَنَا زَوْجُهَا، وَقَالَتْ: هُوَ زَوْجِي، وَأَنَا امْرَأَتُهُ لَمْ يَنْعَقِدْ النِّكَاحُ؛ لِأَنَّ الْإِقْرَارَ إظْهَارٌ لِمَا هُوَ ثَابِتٌ، وَلَيْسَ بِإِنْشَاءٍ وَنَقَلَ قَاضِي خَانْ عَنْ ابْنِ الْفَضْلِ انْعِقَادَهُ بِهِ مُقْتَصِرًا عَلَيْهِ وَالْمُخْتَارُ الْأَوَّلُ كَمَا فِي الْوَاقِعَاتِ وَالْخُلَاصَةِ.
(বাহরুর রায়েক-৩/৯০)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যদি কেউ কাউকে নতুনভাবে বিয়ে করার নিয়তে স্বামী বা স্ত্রী বলে পরিচয় দেয়,এবং সাক্ষীদেরকে নতুন বিয়ে করা সম্পর্কে অবগত করে, তাহলে এই এদ্বারা বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।কিন্তু যদি পূর্বের বিয়ে সম্পর্কে অবগত করতে হঠাৎ কেউ কাউকে স্বামী বা স্ত্রী বলে অবগত করে, তাহলে তখন এই স্বামী স্ত্রী ডাক দ্বারা বিয়ে হবে না।
(২)
যদি ইতিপূর্বে বাস্তবেই দুইজন সাক্ষীর সামনে ইজাব কবুল হয়ে থাকে, তাহলে এদ্বারা বিয়ে হয়ে যাবে।নতুবা বিয়ে হবে না।