বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
নামাযে হাত বাঁধা সুন্নত। সুতরাং নামায পড়া অবস্থায় দুই হাত থেকে এক হাত সরিয়ে নিলে বা উভয় হাত যদি সরিয়ে নেয়া হয়,কিংবা উভয় হাতকে ছেড়ে দেয়া হয়, তাহলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
(২)
https://www.ifatwa.info/4350 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
নামাযের কেরাতে যদি তাজবীদে ভূল হয়,যাকে লাহলে খাফী বলা হয়,তাহলে উক্ত নামাযকে দোহড়ানের প্রয়োজন নেই। তাজবীদ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/1126 তবে যদি নামাযে এমন কোনো ভূল হয়,যার কারণে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায়,(এক্ষেত্রে তাজবীদ বিভাগের লাহনে জালী গ্রহণযোগ্য নয়,কেননা তাজবীদের পরিভাষায় এক হরফের স্থলে অন্য হরফ পড়ে নিলেই লাহনে জলী হয়ে যায়,চায় নিকটবর্তী মাখরাজ হোক বা দূরবর্তী মাখরাজ হোক,চায় অর্থ সঠিক থাকুক বা নাই থাকুক)কিন্তু ফুকাহায়ে কেরাম দূরবর্তী মাখরাজের উচ্ছারণের সময়ে এবং অর্থ বিগড়ে যাওয়ার সময়ে নামাযকে ফাসিদ হওয়ার ফাতাওয়া দিয়ে থাকেন।
সুতরাং নামাযে কোনো হরফ উচ্ছারণের সময়ে,সেই হরফের স্থলে তার দূরবর্তী মাখরাজের কোনো হরফ উচ্ছারিত হয়ে গেলে,এবং অর্থ বিগড়ে গেলে নামায ফাসিদ হয়ে যাবে।
দ্রুত পড়ে খতম না করে বরং ধীরসুস্থে তারতীল ও তাজবীদের সাথেই কুরআন পড়া উচিৎ।
(৩)
নামায রত অবস্থায় থুথু বাহিরে ফেলা মাকরুহ।নামায ফাসিদ হবে না।
(৪)
সম্পর্ক রক্ষার খাতিরে যদি কেউ কাউকে গোনাহের কাজ থেকে ফিরিয়ে না রাখে, তাহলে এজন্য গোনাহের একাংশ ঐ ব্যক্তিরও হবে, যে সম্পর্ক রক্ষার চিন্তায় রয়েছে।
(৫)
আল্লাহ কাছে দু'আ করা,যাতেকরে আল্লাহ সবরের তাওফিক দান করেন।
(৬)
মাথা মাসেহের সময়ে কালেমা পড়ার কোনো নিয়ম নাই।