আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
271 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (30 points)
edited by
**আসসামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লা। শায়েখ একটা মেয়েকে তার স্বামী তালাকের অধিকার দিছে।মেয়েটা মারাত্বক  ওয়াসওয়াসায়,আক্রান্ত।সে মুখ সবসময় বন্ধ রাখে।এমনকি জিহ্বা সহ চেপে রাখার চেষ্টা করে।তহ কারো সাথে কথা বলার সময় জিহ্বা চেপে রাখা থেকে মুখ খুলার সময় যে আওয়াজটা হয় ওটাকে ভয়ে সে যদি কোন তালাক বলেছে কিনা ভাবে তাহলে কি তালাক হবে? সে সিওর হওয়ার জন্য ওইরকম কয়েকবার করেছে।কিন্তুু তালাকের কথা উচ্চারন করে নি।ওই তালু থেকে জিহ্বা সরানোর সময় ভয়ে থাকে কোন শব্দ ওটা তালাক বলতেছে কিনা ভয়ে থাকে।ও নিজেকে তালাক দিতে চাই না।তবু কোন মুখ দিয়ে বের হচ্ছে কিনা ভয়ে থাকে।এখন বের হচ্চে যে আওয়াজ ওটাকে কেউ যদি তালাক ভাবে তাহলে কি তালাক হবে? মানে মুখ দিয়ে।মুখ খুলার সময়।

 **আরেকটা প্রশ্ন এই অধিকার কি কোনভাবে  দিয়ে ফেলা যাবে স্বামীকে?টেনশনে পুরো পাগলের  মত অবস্হা।কারো সাথে কথা বলতেও ভয় হয়।মুখ দিয়ে বের হল কিনা কোন বা হবে কিনা।

**আর হুজুর কেউ জানার জন্য প্রশ্ন করলে কি তালাক হয়? স্বামী কি বলেছিল তা নিয়ে সন্দেহের বসে জানার জন্য প্রশ্ন করলে আপনাদের?প্রশ্নে নিজের দিকে ইন্গিত না করে প্রশ্ন করলে? শুধু এটা বলেছে শুনেছি এরকম বললে ত...... হয়।বাকি সব কথা নিজের দিকে ইন্গিত না করে স্বামী স্ত্রী যদি এমন বলে ওমন বলে ওভাবে লিখেছে।জানার জন্য প্রশ্ন করেছিল।ঠিক তেমনটা হয়েছিল তা নই।অনেক প্রশ্ন কিছু উত্তরে হবে আসছে আর কিছু উত্তরে স্বামী বললে হবে এমনটা আসছে।মেয়েটা তহ জানার জন্য নিজের দিকে ইন্গিত না করে প্রশ্ন করেছে।এতে কি ওর সমস্যা হবে?ওর বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?

আর শায়েখ জানার জন্য প্রশ্নটা করলাম।এতে কি আমার  বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (60,240 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

তালাকের কথা চিন্তা করল কিন্তু সে শব্দ করে উচ্চারন করল না, বা তার  জিহবা নড়ল না, অর্থাৎ সে মনে মনে বলল, তাহলে তালাক পতিত হবে না। কারণ শুধু অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন।

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

 

অপর এক হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ

আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মাতের ভুল , বিস্মৃতি ও বলপূর্বক যা করিয়ে নেয়া হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন। [সুনানে ইবনে মাজাহ, ২০৪৩]

ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার আমলঃ 

ইবনে হাজার আল-হাইছামি তাঁর ‘আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা’ গ্রন্থে (১/১৪৯) এসেছে, তাঁকে এর প্রতিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان – فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون , وأما من أصغى إليها وعمل بقضيتها فإنها لا تزال تزداد به حتى تُخرجه إلى حيز المجانين بل وأقبح منهم

অর্থাৎ, এর ঔষধ একটাই সেটা হচ্ছে– ওয়াসওয়াসাকে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও। কেননা কেউ যদি সেটাকে ভ্রুক্ষেপ না করে তাহলে সেটা স্থির হবে না। কিছু সময় পর চলে যাবে; যেমনটি তাওফিকপ্রাপ্ত লোকেরা যাচাই করে পেয়েছেন। আর যে ব্যক্তি ওয়াসওয়াসাকে পাত্তা দিবে এবং সে অনুযায়ী কাজ করবে সে ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা বাড়তেই থাকবে; এক পর্যায়ে তাকে পাগলের কাতারে নিয়ে পৌঁছাবে কিংবা পাগলের চেয়েও নিকৃষ্ট পর্যায়ে পৌঁছাবে।

 

এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে– বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ  পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।

 

রাসূলুল্লাহ বলেছেন,

اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ رَدَّ اَمْرَهُ عَلَى الْوَسْوَسَة

সমস্ত প্রশংসা ওই আল্লাহর যিনি শয়তানের বিষয়টি কুমন্ত্রণা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রেখেছেন।’ (নাসাঈ )

 

ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,

له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان

ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কোনো তালাক হবে না। এটা তার ওয়াসওয়াসা রোগ। আর ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

২. না, স্বামীকে এই অধিকার আর  ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না।

৩. না, এতে আপনার বৈবাহিক জীবনে কোন সমস্যা হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (30 points)
আর হুজুর কেউ জানার জন্য প্রশ্ন করলে কি তালাক হয়? স্বামী কি বলেছিল তা নিয়ে সন্দেহের বসে জানার জন্য প্রশ্ন করলে আপনাদের?প্রশ্নে নিজের দিকে ইন্গিত না করে প্রশ্ন করলে? শুধু এটা বলেছে শুনেছি এরকম বললে ত...... হয়।বাকি সব কথা নিজের দিকে ইন্গিত না করে স্বামী স্ত্রী যদি এমন বলে ওমন বলে ওভাবে লিখেছে।জানার জন্য প্রশ্ন করেছিল।ঠিক তেমনটা হয়েছিল তা নই।অনেক প্রশ্ন কিছু উত্তরে হবে আসছে আর কিছু উত্তরে স্বামী বললে হবে এমনটা আসছে।মেয়েটা তহ জানার জন্য নিজের দিকে ইন্গিত না করে প্রশ্ন করেছে।এতে কি ওর সমস্যা হবে?ওর বৈবাহিক কোন সমস্যা হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...