ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
স্বামী যদি বলে না পারলে এখনো সময় আছে, কি করবা? ভাব বা না পারলে চলে যাও।এসব কথায় স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকলে, তালাক হবে না। স্ত্রী যদি বলে তোমার মত স্বামীর দরকার নাই।স্বামী যদি বলে, না লাগলে চলে যাও, এবং স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকে, তাহলেও তালাক হবে না।
(২)
মোবাইলে দ্বারা কথাবার্তা বলার সময়, তালাকের মজলিস হবে না। সুতরাং মোবাইলে তালাকের নিয়ত ব্যতিত কেনায়া বাক্য বললে, তালাক হবে না।
(৩)
আগে যদি কেনায়া বাক্য বলে,এবং পরে যদি তালাকের কথা বলে মেসেজে, তাহলে শুধুমাত্র পরেরটাই গ্রহণযোগ্য হবে।কেনায়া বাক্য উচ্ছারণের সময় তালাকের নিয়ত না থাকলে,তালাক হবে না।
(৪)
কথা বলার জন্য মজলিস হওয়া বা না হওয়া ধর্তব্য। চিঠি বা মেসেজের জন্য মজলিস হওয়া বা না হওয়ার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। সুতরাং স্বামী যদি মেসেজের মাধ্যমে তালাক দেয়, তাহলে স্বামী স্ত্রী এক মজলিসে না থাকলেও তালাক হয়ে যাবে।
(৫)
না জেনে তালাকের নিয়ত সহ কেনায়া তালাক উচ্ছারণ করলেও তালাক হয়ে যাবে।
(৬)
স্ত্রী যদি বলে চলে যাবো আর তার উত্তরে বলে যে, যাওগা বা যাও। এক্ষেত্রে যদি স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকে, তাহলে তালাক পতিত হবে না।
(৭)
স্বামী যদি বলে ওই কথা গুলো তুমার মা বাবাকে বললে ভাল হবে না বা অসুবিধা হবে? পরে স্ত্রী জানতে চাইলে বলে খারাপ কিছু জানতে চাইও না।
এতে তালাকের নিয়ত থাকলে, পরবর্তীতে স্ত্রী তার মা বাবাকে বললে তালাক হয়ে যাবে।