আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
277 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শায়েখগণ,

আমার খুব কাছের মানুষ আমার সাথে অন্যরকম ব্যবহার করছে।এমন দেখাচ্ছে সে মনে মিনে অন্য কিছু চাচ্ছে কিন্ত মুখে ডাইরেক্ট বলছেনা।ওর সব কিছু অনেক কিছু বুজাচ্ছে আমি ওকে বললে ও বলে ভুল বুজতেছি আমি।আমার এখন ওর সব কছু নিয়ে সন্দের লাগছে।ও আমাকে দেওয়া আলাহ কসম বলে দেওয়া কথা রাখা নিয়েও অনেক হেরফের হয়েছে।আমি এখিন এইসব বিষয় নিয়ে মানসিকভাবে সমস্যায় আছি।কীনো উপায় না পেয়ে অকে বলেছি তোমার সাথে আমার ফাইনাল কথা হবে। তুমি যখন ওয়াদা দিয়েও কথা হেরেফের করছো আমি আর তোমার কসম বিশ্বাস করিনা।

কোরান ছুতে তোমাকে বলতে হবে তুমি চাও কি এবং কেনই বা এম্ন করছো।এবং আমি যা যা জানা জিজ্ঞেস করবো তার উত্তর দিবে।

আমি কোনো উপায় না পেয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।এমনটা করা কি উচিত হিবে আমার?

আমার কাছে এই ছাড়া আর কোনো উপায় নাই।

বিদ্রঃ সে আমার কথায় রাজি হয়েছে বলছে ধরবো ঠিক আছে,আগে কোনো হুজুরের কাছে জিজ্ঞেস করো এমনটা করা যাবে কিনা

প্রিয় শায়েখগণ দয়া করে আমাকে জানাবেন

1 Answer

0 votes
by (616,950 points)
edited by


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ওয়াদা করার পর পূর্ণ করা উচিৎ। তবে পূর্ণ না করলে সে গোনাহগার হবে না।
«وَأَسَاسُ الْمَسْأَلَةِ عِنْدَ الْحَنَفِيَّةِ: أَنَّ الإِْنْسَانَ إِذَا أَنْبَأَ غَيْرَهُ بِأَنَّهُ سَيَفْعَل أَمْرًا فِي الْمُسْتَقْبَل مَرْغُوبًا لَهُ، فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ الأَْمْرُ غَيْرَ وَاجِبٍ عَلَيْهِ، فَإِنَّهُ لَا يَلْزَمُهُ بِمُجَرَّدِ الْوَعْدِ؛ لأَِنَّ الْوَعْدَ لَا يُغَيِّرُ الأُْمُورَ الاِخْتِيَارِيَّةَ إِلَى الْوُجُوبِ وَاللُّزُومِ.» - «الموسوعة الفقهية الكويتية» (44/ 76)
হানাফি ফিকহ অনুযায়ী ওয়াদাকে পূর্ণ করার বিষয়ে মূলনীতি হল, কোনো মানুষ যখন অন্যকে সংবাদ দেয় যে, সে ভবিষ্যতে ঐ কাজটি করবে, যদি ঐ কাজটি তার উপর মূলত ওয়াজিব না হয়ে থাকে, তাহলে ঐ তার উপর ওয়াদাকে পূর্ণ করা অত্যাবশ্যকীয় হবে না। কেননা ওয়াদা ইচ্ছা স্বাধীন বিষয়কে পরিবর্তন করে অত্যবশ্যকীয়র দিকে নিয়ে যায় না। ( আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৪৪/৭৬) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/13507

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি কি জানতে চান? স্পষ্ট করে কমেন্টে আমাদেরকে জানাবেন। আপনার প্রশ্নটি সম্পূর্ণ অস্পষ্ট।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (616,950 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (7 points)
আমি তার কাছ থেকে সত্য  জানতে চাই।
আমার মনে হচ্ছে সে আমার সাথে প্রতারণা করছে।তাকে অনেক ভাবে সুযোগ দিয়্রছিলাম সত্য প্রকাশ করার জন্য কিন্ত সে বলছেনা।কোনো উপায় না পেয়ে তাকে বলেছি তোমাকে কোরান ছুয়ে বলতে হবে যে তুমি অন্যায় এবং প্রতারণা এমন জিনিস করছোনা এবং আমি যা যা জিজ্ঞেস করবো তোমার থেকে তুমি তা উত্তর দিবে।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে,এইরকম কাওকে কোরান ধরানো কি ঠিক হবে বা গুনাহ হবে?
by (7 points)
শায়েখ দয়া করে জানান
by (616,950 points)
যদি তার কাছ থেক কসম ব্যতিত কোনো বিষয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌছা প্রায় অসম্ভব পর্যায়ে পৌছে, তাহলে তখন কারো কাছ থেকে কসম নেয়া যাবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...