ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/452 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
সকাল এবং বিকাল বেলার শুরু ও শেষ নিয়ে উলামায়ে কেরামদের মধ্যে মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে।
কিছুসংখ্যক উলামায়ে কেরাম মনে করেন, সকালবেলা ত্বুলুয়ে ফযর( ফযরের সূচনা) থেকে শুরু করে সূর্যোদয় পর্যন্ত বিদ্যমান থাকে।তবে কেউ কেউ দ্বিপ্রহর(দিন-১২টা) পর্যন্ত সকালবেলা বিদ্যমান থাকার কথাও বলেছেন।
তবে সর্বাপেক্ষা পছন্দনীয় মত হল,
ত্বুলুয়ে ফযর থেকে নিয়ে সুর্য পূর্ব দিগন্তে উদ্ভাসিত হওয়া(প্রথম প্রহর) পর্যন্ত সকালবেলা অবশিষ্ট থাকে। অন্যদিকে কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরামের মতে বিকালবেলা- আছর থেকে নিয়ে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকে।তবে কেউ কেউ রাতের এক তৃতায়াংশ পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকার কথা বলেছেন। আবার কেউ কেউ এমন মাতামতও দিয়েছেন যে, বিকালবেলার দু'আয়ে মা'ছুরাগুলো/যিকিরগুলো মূলত মাগরিবের পর থেকে শুরু করা হবে।
সম্ভবত সবচেয়ে বিশুদ্ধ কথা হল, প্রত্যেকের উচিৎ সকালবেলার দু'আয়ে মা'ছুরাগুলো ফযরের সুচনা থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত এর মধ্যকার সময়ের মধ্যেই পড়ে নেয়া প্রত্যেক মুসলমানের উচিৎ।যদি কারো ছুটে যায়, তাহলে দ্বিপ্রহরের(দিন-১২টা) শেষ সীমা তথা যোহরের নামাযের কিছু পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে পড়ে নেবে।
আর বিকালবেলার দু'আয়ে মা'ছুরাগুলোকে আছর থেকে নিয়ে সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত সময়ের মধ্যে পড়ে নেবে।তবে যদি ছুটে যায়,তাহলে রাতের প্রথম এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত সময়ের ভিতরেই পড়ে নিবে।
এর প্রমাণ হল,যিকির সম্পর্কে কুরআনের ঐ সমস্ত বাচনভঙ্গি ও প্রয়োগকৃত শব্দাবলী যা দ্বারা বুঝা যায় যে যিকির উপরোক্ত সময়েই পড়তে হবে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﺳَﺒِّﺢْ ﺑِﺤَﻤْﺪِ ﺭَﺑِّﻚَ ﺑِﺎﻟْﻌَﺸِﻲِّ ﻭَﺍﻟْﺈِﺑْﻜَﺎﺭِ
এবং সকাল-সন্ধ্যায় আপনার পালনকর্তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করুন। (সূরা মু'মিন-৫৫)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সকালের যিকির ফজরের ওয়াক্তেই সম্পন্ন করতে হবে, এমন কোনো শর্ত নয় বরং ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পরও করা যাবে। ফজরের ওয়াক্তের পরে ঘুম ভাঙ্গলে ঘুম থেকে উঠেই ফজরের কাযা আদায় করে তারপর উক্ত জিকির গুলো করা যাবে।এবং সেটাকে সকালের জিকির হিসেবে ধরা হবে। এবং সেই পরিমাণ সওয়াবও পাওয়া যাবে।
*বিশেষ করে নিরাপত্তার জন্যে যে যিকিরগুলো করা হয় তা ফজরের পূর্ব সবহে সাদিকের মুহূর্তে করাই উত্তম।