আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
258 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (58 points)
আম্মু একদিন মুরগি কাটার সময় বলতেছিল, এই এই রগ গুলো হারাম। গলার হার, আরো বিভিন্ন জায়গা থেকে চিকন কাঠির মাধ্যমে সেই রগ গুলো বের করতেছিল।
১. মুরগির মাংসের কোন কোন রগ হারাম ? আর ভুল বশত সেই রগসহ রান্না হয়ে গেলে খাওয়া হারাম হবে কিনা? আর ওই রগের কারণে কি উক্ত মাংসের সাথে রান্না করা অন্য মাংস বা ঝোল খাওয়া কি যাবে?
২. কোনো গুনাহ করার প্রবল ইচ্ছা হয়েছে এবং সে গুনাহ করেই ফেলবে কিন্তু তার পরিবেশ বা অন্য কোনো কিছুর ধারা বাধা প্রাপ্ত হয়ে গুনাহ টা করতে পারতেছে না।
উক্ত পরিবেশ বা বাধা না থাকলে সে গুনাহ করেই ফেলতো। এখন প্রশ্ন হলো, গুনাহ সংঘটিত না হয়েও কি গুনাহ লেখা হবে কিনা?

৩. একদিন একজন বলতেছিল, মহিলা বা মেয়েরা তাদের হ্যান্ড ব্যাগ কাধে নিতে হলে বোরকার নিচে নিতে হবে। বোরকার উপরে নিলে গুনাহ হবে।

এই কথা টা সঠিক কিনা জানতে চাচ্ছি।

৪. অনেক কে বলতে শুনা যায়, জিনাকে খারাপ মনে করা জিনাকারিকে খারাপ মনে না করা।
এই কথাটা ব্যাপক একটি কথা। যেমন, কাফিরকে খারাপ মনে না করা কুফরকে খারাপ মনে করা। এর বিপরীত টা যদি বলি, নেককারকে ভালো না বাসা, নেকিকে ভালোবাসা।

উক্ত কথা শরীয়তের আলোকে কতটুকু সঠিক জানতে চাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হালাল প্রাণীর আটটি অংশ খাওয়া নিষেধ।
১. পুরুষ লিঙ্গ। ২. স্ত্রী লিঙ্গ। ৩. মুত্রথলি। ৪. মেরুদণ্ডের ভেতরের মগজ বা সাদা রগ। ৫. পিত্ত। ৬. অন্ডকোষ। ৭. চামড়ার নিচের টিউমারের মতো উঁচু গোশত। ৮. প্রবাহিত রক্ত। তবে এগুলোর ৮ম প্রকার প্রবাহিত রক্ত অকাট্য হারাম, বাকিগুলো মাকরুহে তাহরিমি। (আহসানুল ফাতাওয়া ৭/ ৪০৭)

প্রবাহিত রক্ত অকাট্য হারাম। এর দলিল হচ্ছে, আল্লাহ তাআলার বাণী;

قل لاَّ أَجِدُ فِي مَا أُوْحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلَى طَاعِمٍ يَطْعَمُهُ إِلاَّ أَن يَكُونَ مَيْتَةً أَوْ دَمًا مَّسْفُوحًا أَوْ لَحْمَ خِنزِيرٍ فَإِنَّهُ رِجْسٌ

আপনি বলে দিন, যা কিছু বিধান ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছেছে, তন্মধ্যে আমি কোন হারাম খাদ্য পাই না কোন ভক্ষণকারীর জন্যে, যা সে ভক্ষণ করে; কিন্তু মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস এটা অপবিত্র। (সূরা আলআনআ’ম ১৪৫)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মুরগীর গোশতের কোনো রগ হারাম নয়।
তবে শুধুমাত্র হাড্ডির কিছু রগ যেমন গলার রগকে কিছু স্কলারগন মাকরুহ বলেছেন।

ভুল বশত সেই রগসহ রান্না হয়ে গেলে গোশত খাওয়া হারাম হবেনা।
ঐ রগের কারণে উক্ত গোশতের সাথে রান্না করা অন্য গোশত,ঝোল খাওয়া যাবে।
কোনো সমস্যা নেই। 

আরো জানুনঃ

(০২)
নেক কাজের ইচ্ছা করলেই নেকি হয়,কিন্তু গুনাহের কাজের শুধু ইচ্ছার দ্বারা গুনাহ হয়না।
বরং কাজটি সংঘটিত হতে হবে।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে গুনাহ হবেনা।

(০৩)
বোরকার উপরে নিলে গুনাহ হবেনা।

(০৪)
"যেনাকারিকে খারাপ মনে না করা" এধরনের কথা কুরআন হাদীসে নেই।
তাই  এর বিপরীত তথা ""নেককারকে ভালো না বাসা, নেকিকে ভালোবাসা"" এমন কথা বলাও ঠিক নয়।

বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...