বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
হালাল প্রাণীর আটটি অংশ খাওয়া নিষেধ।
১. পুরুষ লিঙ্গ। ২. স্ত্রী লিঙ্গ। ৩. মুত্রথলি। ৪. মেরুদণ্ডের ভেতরের মগজ বা সাদা রগ। ৫. পিত্ত। ৬. অন্ডকোষ। ৭. চামড়ার নিচের টিউমারের মতো উঁচু গোশত। ৮. প্রবাহিত রক্ত। তবে এগুলোর ৮ম প্রকার প্রবাহিত রক্ত অকাট্য হারাম, বাকিগুলো মাকরুহে তাহরিমি। (আহসানুল ফাতাওয়া ৭/ ৪০৭)
প্রবাহিত রক্ত অকাট্য হারাম। এর দলিল হচ্ছে, আল্লাহ তাআলার বাণী;
قل لاَّ أَجِدُ فِي مَا أُوْحِيَ إِلَيَّ مُحَرَّمًا عَلَى طَاعِمٍ يَطْعَمُهُ إِلاَّ أَن يَكُونَ مَيْتَةً أَوْ دَمًا مَّسْفُوحًا أَوْ لَحْمَ خِنزِيرٍ فَإِنَّهُ رِجْسٌ
আপনি বলে দিন, যা কিছু বিধান ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছেছে, তন্মধ্যে আমি কোন হারাম খাদ্য পাই না কোন ভক্ষণকারীর জন্যে, যা সে ভক্ষণ করে; কিন্তু মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস এটা অপবিত্র। (সূরা আলআনআ’ম ১৪৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মুরগীর গোশতের কোনো রগ হারাম নয়।
তবে শুধুমাত্র হাড্ডির কিছু রগ যেমন গলার রগকে কিছু স্কলারগন মাকরুহ বলেছেন।
ভুল বশত সেই রগসহ রান্না হয়ে গেলে গোশত খাওয়া হারাম হবেনা।
ঐ রগের কারণে উক্ত গোশতের সাথে রান্না করা অন্য গোশত,ঝোল খাওয়া যাবে।
কোনো সমস্যা নেই।
আরো জানুনঃ
(০২)
নেক কাজের ইচ্ছা করলেই নেকি হয়,কিন্তু গুনাহের কাজের শুধু ইচ্ছার দ্বারা গুনাহ হয়না।
বরং কাজটি সংঘটিত হতে হবে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে গুনাহ হবেনা।
(০৩)
বোরকার উপরে নিলে গুনাহ হবেনা।
(০৪)
"যেনাকারিকে খারাপ মনে না করা" এধরনের কথা কুরআন হাদীসে নেই।
তাই এর বিপরীত তথা ""নেককারকে ভালো না বাসা, নেকিকে ভালোবাসা"" এমন কথা বলাও ঠিক নয়।
বিস্তারিত জানুনঃ