আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
75 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (86 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,
1.অনেকেই সাহাবায়ে কিরামের নাম বলার পর রদ্বিয়াল্লাহু তাঁয়ালা আনহু পুরো না বলে শুধু রদ্বিআল্লাহ বলে, এটা কি সঠিক ?

2. আমার আব্বু মারা যাওয়ার আগে খুব অসুস্থ হয়ে যান, আইসিইউ তে ছিলেন, হুশ ছিল কিন্তু খুব অসুস্থ ছিলেন, মারা যাওয়ার 7 দিন উনি ঠিক মতন সলাত আদায় করতে পারেন নি. এক্ষেত্রে উনার এই কয়দিনের সলাতের কাফ্ফারা কিভাবে আদায় করবো ?

1 Answer

0 votes
by (680,320 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
ছাহাবায়ে কেরামগনদের  শানে মহান আল্লাহ তায়ালা 
رَّضِیَ اللّٰہُ عَنۡہُ বলেছেন

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَ السّٰبِقُوۡنَ الۡاَوَّلُوۡنَ مِنَ الۡمُہٰجِرِیۡنَ وَ الۡاَنۡصَارِ وَ الَّذِیۡنَ اتَّبَعُوۡہُمۡ بِاِحۡسَانٍ ۙ رَّضِیَ اللّٰہُ عَنۡہُمۡ وَ رَضُوۡا عَنۡہُ وَ اَعَدَّ لَہُمۡ جَنّٰتٍ تَجۡرِیۡ تَحۡتَہَا الۡاَنۡہٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَاۤ اَبَدًا ؕ ذٰلِکَ الۡفَوۡزُ الۡعَظِیۡمُ ﴿۱۰۰﴾ 

আর মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা প্রথম অগ্রগামী এবং যারা ইহসানের সাথে তাদের অনুসরণ করে আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও তার উপর সন্তুষ্ট হয়েছেন। আর তিনি তাদের জন্য তৈরী করেছেন জান্নাত, যার নিচে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। এ তো মহাসাফল্য।
(সুরা তওবা ১০০)

یستحب الترضي والترحم علی الصحابۃ والتابعین، فمن بعدہم من العلماء والعباد وسائر الأخیار، فیقال: رضي اللّٰہ عنہ، أو رحمہ اللّٰہ ونحو ذٰلک۔ وأما ما قالہ بعض العلماء: إن قولہ: رضي اللّٰہ عنہ مخصوصٌ بالصحابۃ، ویقال في غیرہم: رحمہ اللّٰہ فقط، فلیس کما قال، ولا یوافق علیہ؛ بل الصحیح الذي علیہ الجمہور استحبابہ، ودلائلہ أکثر من أن تحصر۔ فإن کان المذکور صحابیًا ابن صحابي قال: قال ابن عمر رضي اللّٰہ عنہما، وکذا ابن عباس، وابن الزبیر، وابن جعفر، وأسامۃ بن زید ونحوہم، یشملہ وأباہ جمیعًا۔ (کتاب الأذکار للنووي، باب الصلاۃ علی الأنبیاء واٰلہم تبعًا لہم صلی اللّٰہ علیہ وسلم / فصل: یستحب الترضي والترحم علی الصحابۃ والتابعین ۱۶۰ دار البیان بیروت)
সারমর্মঃ
ছাহাবায়ে কেরামগনদের শানে আল্লাহর সন্তুষ্টি, রহম ইত্যাদি দোয়া মূলক বাক্য ব্যবহার করা মুস্তাহাব।
কেহ কেহ বলেন যে এটি ছাহাবায়ে কেরামগনদের সাথেই খাছ।
কেহ কেহ বলেন যে এটি পরবর্তী নেককারদের শানেও বলা যাবে।   
      
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রদ্বিআল্লাহ এর অর্থ দাড়ায়ঃ আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়েছেন।
এখানে "আনহু" বাক্য যুক্ত করলে দোয়াটি পূর্ণতা পাবে। 

তখন অর্থ দাড়াবে,আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন।

তবে প্রশ্নে উল্লেখিত বাক্য বলার কারনে কোনো গুনাহ হবেনা। 
এটি মুস্তাহাব মূলক কাজ মাত্র,আবশ্যকীয় কিছু নয়।

(০২)
নামাজি অসুস্থ হলে এবং দাঁড়াতে অপারগ হলে তাকে চতুষ্পদ (চারজানু) হয়ে বসে অথবা তাশাহহুদের বৈঠকের ন্যায় বসে নামাজ আদায় করতে হবে।

যদি বসেও আদায় করতে অক্ষম হয় তবে ডান পার্শ্বের উপর ভর দিয়ে। তাও যদি কষ্টকর হয় তবে বাম পার্শ্বের উপর ভর দিয়ে নামাজ আদায় করতে হবে।

 এ ভাবেও যদি নামাজ পড়তে সক্ষম না হয়, তবে কিবলার দিকে পা দিয়ে চিত হয়ে শুয়ে মাথা দ্বারা বুকের দিকে ইশারা করে রুক ও সিজদা আদায় করবে। তবে সিজদার সময় রুকুর চেয়ে একটু বেশি মাথা ঝুকাবে।

যে ব্যক্তি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে সর্বশেষ ইশারার মাধ্যমেও নামায আদায় করতে অক্ষম।এবং সুস্থতার আশা প্রায় গৌণ।এমন ব্যক্তি শরীয়তের বিধি-বিধানের মুকাল্লাফ নয়।অর্থা ঐ ব্যক্তির যিম্মা থেকে নামায-কে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৭/৫৪৫)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার বাবার অবস্থা যদি এমন ছিলো যে তিনি শুয়ে শুয়ে উপরে উল্লেখিত তরীকায় ইশারা করে নামাজ পড়তে সক্ষম ছিলেন, তাহলে প্রতিদিন বিতর সহ মোট ৬ ওয়াক্তের নামাজের ফিদিইয়াহ আদায় করবেন।
এক ওয়াক্ত নামাজের ফিদইয়াহ হলো এক সদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ টাকা। 

আর যদি আপনার বাবার অবস্থা যদি এমন ছিলো যে তিনি শুয়ে শুয়ে উপরে উল্লেখিত তরীকায় ইশারা করে নামাজ পড়তেও সক্ষম ছিলেননা।
তাহলে ফিদইয়াহ আদায় করতে হবেনা।

বিস্তারিত জানুনঃ   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...