আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (4 points)
edited by
যুদ্ধে উভয়পক্ষ মিলিয়ে ৫,০০০ সাহাবা মৃত্যুবরণ করেন। এই যুদ্ধে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার বিপক্ষে জয়লাভ করেন এবং এই দুর্যোগপূর্ণ ঘটনার পর ‘আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহাকে মদীনায় তাঁর পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানাে হয়। এই ঘটনা সহ আরও অনেক বিশৃংখলা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উম্মাহর মধ্যে সংঘটিত হতে থাকে যা কিনা আবদুল্লাহ ইবন সাবাহ খুব বিচক্ষণতার সাথে

সংঘটিত করেছিল। তার উদ্দেশ্যই ছিল উম্মাহ মধ্যে স্থিতিশীলতা নষ্ট করা এবং বিশ্বাসীদের অন্তরে দ্বিধা তৈরি করা। এই ঘটনার পরে আরও এক ঝাঁক নতুন সমস্যার উদ্ভব হল, যার ফলশ্রুতিতে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মুয়াআবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হলেন। উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর মৃত্যুর পরে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর সকল আত্মীয়দেরকে সকল ধরণের শাসনভার থেকে সরিয়ে দেন, কেননা তাঁদের বিরুদ্ধে লােকেদের পক্ষ থেকে কঠোরতার অভিযােগ উঠছিল। 'ইবন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সহ অন্যান্য অনেক সাহাবাদের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু মুয়াবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে অস্বীকার করেন এবং আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু'র সবচেয়ে উচ্চকণ্ঠ ও কঠোর প্রতিপক্ষে পরিণত হন। তাঁর এরূপ ব্যবহারের কারণ

হল উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন তাঁর একজন আত্মীয় এবং এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু'র স্ত্রীও আহত হয়েছিলেন। উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে হত্যাকারীদের আঘাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে তাঁর একটি আঙ্গুল কেটে যায়। এই ঘটনার পর উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর স্ত্রী এই কাটা আঙ্গুল ও উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু'র রক্তাক্ত কাপড় নিয়ে সিরিয়া পালিয়ে যান।

১.এই যুদ্ধে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহার বিপক্ষে যুদ্ধ হয় যে যুদ্ধে উভয়পক্ষ মিলিয়ে ৫,০০০ সাহাবা মৃত্যুবরণ করেন।
এ যুদ্ধ ইসলামের কোন ফতোয়ায় জায়েজ ছিল ? মুসলিম মুসলিম যুদ্ধ কখন জায়েজ হয় ?

২.ইসলামে আমিরের আনুগত্য করা ওয়াজিব ।উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হত্যা । হত্যাকারীদের এ কাজ কি সঠিক ছিল ? এদের ঈমান কি ঠিক ছিল ?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম



(০১)
আলী রাঃ এর সাথে দুটি যুদ্ধ হয়।
জামালের যুদ্ধ,সিফফিনের যুদ্ধ।

প্রথমেই আমরা দুটি যুদ্ধ নিয়ে কিছু বিষয় জেনে নেইঃ 

★যুদ্ধের নাম জঙ্গে জামাল।

যা হযরত আয়শা রাঃ, হযরত তালহা রাঃ , জুবাইর রাঃ এর মতামতের অনুসারী এবং হযরত আলী রাঃ এর বাহিনীর মাঝে সাবায়ীদের ঘৃণ্য চক্রান্তের কারণে সংঘটিত হয়েছিল।
,
সাবায়ী চক্র হযরত উসমান রাঃ কে নির্মমভাবে হত্যা করলে মুসলমানদের ঐক্যমত্বে হযরত আলী রাঃ কে খলীফা নিযুক্ত করা হয়। সে সময় হযরত উসমান রাঃ এর হত্যাকারীদের আগে হত্যা করা হবে? না প্রথমে সাবায়ী চক্রান্তের জালে আটকে যাওয়া ইসলামী খিলাফতকে প্রথমে শক্তিশালী করা হবে, তারপর অপরাধীদের শাস্তি দেয়া হবে?
,
এ বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন সাহাবীদের মাঝে দুটি দল হয়ে যায়। হযরত আয়শা রাঃ, হযরত মুয়াবিয়া রাঃ, হযরত তালহা রাঃ, হযরত জুবায়ের রাঃ এর মত ছিল আগে হযরত উসমান রাঃ এর হত্যাকারীদের শাস্তি দেয়া হবে। আর হযরত আলী রাঃ এবং তার অনুসারীদের মত ছিল আগে ষড়যন্ত্রের জালে ভগ্নপ্রায় ইসলামী খিলাফতকে প্রথমে শক্তিশালী করা হোক, তারপর অবশ্যই হত্যাকারী অপরাধীদের শাস্তি দেয়া হবে।
,
এ মতবিরোধ হওয়ার পর উভয় দল বসরার পথে এক স্থানে মুখোমুখি অবস্থান করে সন্ধিতে আসেন। শান্তিময় সন্ধিচুক্তিতে সাবায়ী চক্র প্রমাদ গুনে।

উভয় পক্ষই ছিলেন দ্বীনের পক্ষে। হকের পক্ষে। কোন দলই যুদ্ধ কামনা করেন নি। কিন্তু রাতের গভীরে নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থানকারী দুই বাহিনীর উপরই এক সাথে হামলা করে বসে সাবায়ী চক্র। ফলে সৃষ্ট হয় বিভ্রান্তির। হযরত তালহা, হযরত জুবায়ের ও হযরত আয়শা রাঃ এর বাহিনী মনে করেন হযরত আলী রাঃ এর বাহিনী হামলা করেছে, আর হযরত আলী রাঃ এর বাহিনী মনে করেন অপরপক্ষ হামলা করেছে।
,
এ ভুল বুঝাবুঝির কারণে শুরু হয় এ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। ইতিহাসের এক মর্মান্তিক ট্র্যাজেডীর জন্ম দেয় কুখ্যাত সাবায়ী চক্র। রাতের গভীরে সংঘটিত হওয়া এ দুঃখজনক ভুল বুঝাবুঝির যুদ্ধটিই ইতিহাসে জঙ্গে জামাল বা উটের যুদ্ধ নামে প্রসিদ্ধ। আব্দুল্লাহ বিন সাবার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে ইতিহাসের পাতায় লেখা হয় এক মর্মান্তিক ইতিহাস। নির্দোষ ১০ হাজার মুসলমান শহীদ হন সে যুদ্ধে। (তারীখে তাবারী-৩/৫৪)

★যুদ্ধের নাম জঙ্গে সিফফিন।

হযরত মুয়াবিয়া রাঃ এর বিদ্রোহটা কোন ব্যক্তিগত কারণে ছিল না। বরং দ্বীনী কারণে ছিল। অন্য শব্দে বললে এটি ছিল ইজতিহাদী বিষয়। যদিও হযরত আলী রাঃ এর ইজতিহাদ সঠিক ছিল। আর হযরত মুয়াবিয়া রাঃ এর ইজতিহাদ ভুল ছিল।
মুয়াবিয়া রাঃ এর ইজতিহাদ ভুল হবার পরও তিনি একটি সওয়াবের অধিকারী হবেন। কারণ, মুজতাহিদ ইজতিহাদ করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে দু’টি সওয়াব পান, আর ভুল করলে গোনাহ নয় বরং একটি সওয়াবের অধিকারী হন। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৭৩৫২]

মুয়াবিয়া রাঃ এর বিদ্রোহটা সেই সময়কার নাজুক পরিস্থিতিতে অপারগতার হালতে ছিল। যেমন নামাযে দাঁড়ানোর পর নামায ছাড়া জায়েজ নয়, কিন্তু চোখের সামনে কাউকে গর্তে পড়ে যেতে দেখলে নামায ছেড়ে দিতে হয়। তেমনি সেসময় মুয়াবিয়া রাঃ তার ইজতিহাদ অনুপাতে চূড়ান্ত অপারগ অবস্থায় চতুর্থ খলীফা হযরত আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এটি তার ইজতিহাদী ভুল ছিল। কিন্তু এ কারণে তিনি ফাসিক, কাফের বা জাহান্নামী হয়ে যাননি।
এ কারণেই আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের উলামাগণ এ বিষয়ে পরিস্কার ভাষায় নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছেনঃ

ان اهل السنة اجمعوا على ان من خرج على على كرم الله وجهه خارج على الامام الحق الا ان هذا البغى الاجتهادى معفو عنه (الناهية عن طعن معاوية-38

আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের এ বিষয়ে ইজমা ও একমত যে, হযরত আলী রাঃ এর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণকারীগণ ইজতিহাদের ভিত্তিতে এমনটি করেছেন। তাই তারা ক্ষমাপ্রাপ্ত। [আননাহিয়াহ আন তা’নি মুয়াবিয়া-৩৮

ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ লিখেছেনঃ

والظنّ بالصحابة في تلك الحروب أنهم كانوا فيها متأوّلين، وللمجتهد المخطئ أجر، وإذا ثبت هذا في حق آحاد الناس، فثبوته للصحابة بالطريق الأولى (الاصابة فى تمييز الصحابة-7/260، 4/151

অর্থাৎ সাহাবায়ে কেরাম রাঃ এর পারস্পরিক যুদ্ধ বিষয়ে আমাদের ধারণা এই যে, তারা উপরোক্ত যুদ্ধ বিষয়ে মুজতাহিদ ছিলেন। আর ভুল ইজতিহাদকারী একটি সওয়াব পায়। যখন সাধারণ মুজতাহিদ ভুল করলে একটি সওয়াবের অধিকারী হন, সুতরাং এটি সাহাবায়ে কেরামের ক্ষেত্রে তা আরো অগ্রগণ্যতার সাথে সাব্যস্ত হবে। [আলইসাবাহ ফী তাময়িজিস সাহাবাহ-৭/২৬০, ৪/১৫১]

হাফেজ ইবনে কাসীর রহঃ লিখেছেনঃ
وَلَا يَلْزَمُ مِنْ تَسْمِيَةِ أَصْحَابِ مُعَاوِيَةَ بُغَاةً تَكْفِيرُهُمْ كَمَا يُحَاوِلُهُ جَهَلَةُ الْفِرْقَةِ الضَّالَّةِ مِنَ الشِّيعَةِ وَغَيْرِهِمْ لِأَنَّهُمْ وَإِنْ كَانُوا بُغَاةً فِي نَفْسِ الْأَمْرِ فَإِنَّهُمْ كَانُوا مُجْتَهِدِينَ فِيمَا تَعَاطَوْهُ مِنَ الْقِتَالِ وَلَيْسَ كُلُّ مُجْتَهِدٍ مُصِيبًا بَلِ الْمُصِيبُ لَهُ أَجْرَانِ وَالْمُخْطِئُ لَهُ أَجْرٌ،

হযরত মুয়াবিয়া রাঃ এর জামাআত বিষয়ে বাগী তথা বিদ্রোহী মন্তব্য করার দ্বারা তাদেরকে কাফের বলা প্রমাণ করে না। যেমনটি অজ্ঞ দল পথভ্রষ্ট শিয়া ও অন্যান্যরা বলে থাকে। যদিও তারা মৌলিকভাবে বিদ্রোহী হন না কেন, কিন্তু তারা এ যুদ্ধ বিষয়ে মুজতাহিদ ছিলেন। আর সব মুজতাহিদই সর্বদা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। বরং সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে দু’টি সওয়াব পান, আর ভুল করলে একটি সওয়াব পান। [আলবিদায়া ওয়াননিহায়া-৩/২৬৫, ৩/২১৮, ৪/৫৩৮]

আবুশ শাকুর সালেমী বলেন,
وقد قلنا ان الباغى لا يفسق لان شهادته مقبولة بالاتفاق، والثانى ان الباغى ماول فى دعواه، ولان حد الباغى ان يدعى الامارة مع شبهة الدعوى وكان لهم شبهة الدعوى فتاولوا فى ذلك واخطأوا فى تاويلهم وخطاهم ما كان من الكبائر فى الدين حتى يوجب الفسق والكفر……. ولانه يجوز الصلاة والجمعة والحج وتولية القضاء وغير ذلك من الولاية من جهة الباغى دل أنه ما كان فاسقا (كتاب التمهيد فى بيان التوحيد لابى الشكور السالمى-167-168

অর্থাৎ আমরা বলি যে, বাগী ফাসিক নয়। কেননা, তার সাক্ষী সর্বসম্মতভাবে গ্রহণযোগ্য। দ্বিতীয়ত বাগী তার দাবীতে ব্যাখ্যাকারী। কেননা, বাগী ব্যক্তি আমীরত্বের দাবী করে থাকে আমীর হবার যোগ্য মনে করার কারণে। এক্ষেত্রে তারা ইজতিহাদ করে থাকে। আর তাদের ইজতিহাদটি ভুল। আর ভুলকারী ব্যক্তি দ্বীনের ক্ষেত্রে কবীরা গোনাহের হকদার হয় না। তাই ফাসিক বা কাফের হয় না। ….. তাছাড়া নামায, জুমআ, হজ্বের আমীর হওয়া এবং বিচারক হবার যোগ্যতা বাগী হবার কারণে তার থেকে হারিয়ে যায় না। যা প্রমাণ করে বাগী ব্যক্তি ফাসিক নয়। [আততামহীদ ফী বয়ানিত তাওহীদ, আবুশ শকুর সালেমীকৃত-১৬৭-১৬৮]

সাদুদ্দীন তাফতাজানী রহঃ তার কিতাব শরহুল মাকাসিদ গ্রন্থে জঙ্গে সিফফীন ও জামালে অংশ নেয়া সাহাবাগণকে ফাসিক, কাফের, জালিম বলা জায়েজ নয় হবার কথা স্পষ্ট করেছেন। সেই সাথে হযরত আলী রাঃ ও শামবাসীকে অভিশম্পাতকারীদের নিষেধ করে জানিয়েছেন যে, তাদের উপর অভিশম্পাত করো না, কারণ তারা আমাদেরই ভাই। তবে তারা ইজতিহাদী কারণে আমাদের বিরোধীতা করেছেন।

وليسوا كفارا ولا فسقة ولا ظلمة لما لهم من التاويل وان كان باطلا فغاية الامر انهم اخطأوا فى الاجتهاد وذلك لا يوجب التفسيق فضلا عن التكفير، ولهذا منع على رضى الله عنه اصحابه من لعن اهل الشام وقال اخواننا بغوا علينا (شرح المقاصد لسعد الدين التفتازنى-5/308

মোল্লা আলী কারী রহঃ লিখেছেন,

ثم كان معاوية مخطيا الا انه فعل ما فعل عن تأويل فلم يصر به فاسقا (شرح الفقه الاكبر-82

হযরত মুয়াবিয়া রাঃ ভুলের উপর ছিলেন। কিন্তু তার কাজটি ছিল ইজতিহাদের ভিত্তিতে। তাই তাকে ফাসিক বলা যাবে না। [শরহে ফিক্বহুল আকবার, মোল্লা আলী কারীকৃত-৮২]
(সংগৃহীত)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ জায়েজ নেই।
হ্যাঁ যদি তারা জুলুম নিপিড়ন করে,তাহলে তাদের সাথে যুদ্ধ করা যাবে।
,
হযরত আয়েশা রাঃ এর যে আলী রাঃ এর সাথে যুদ্ধ হয়েছিলো,এটিতো স্পষ্ট ভুল বুঝাবুঝি।
যেহেতু ঐ পক্ষ থেকে আক্রমন এসেছে,তিনি বুঝেছেন যে তারা জুলুম মূলক হামলা করেছে,তাই নিজেরাও আক্রমন করেছেন।

এখানে তারা উভয় পক্ষই জুলুম প্রতিহত করার লক্ষেই যুদ্ধ করেছে।
তাই কোনোটিই নাজায়েজ নয়।  
এখানে ভুল বুঝাবুঝি মূল বিষয়। 
,
(০২)
উসমান রাঃ এর হত্যা খুবই নিন্দনীয় কাজ,হত্যাকারীদের কাজ কোনো ভাবেই ঠিক হয়নি।
কিয়ামত পর্যন্ত মুসলমানদের অন্তর থেকে এর ব্যাথা যাবেনা।
,
তাদের ঈমান ঠিক ছিলো কিনা,জানার জন্য তাদের আকীদা জানা প্রয়োজন।

তবে আখেরাতে এহেন কাজের জন্য তাদের কঠিন শাস্তি হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...