আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
132 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ।

শায়েখ আলী হাসান উসামা তার বক্তব্যে বলেছিলেন সাহাবী মুয়াবিয়া(রাঃ) নাকি রোমের সম্রাটকে চিঠিতে লিখেছিলেন,হে রোমের কুত্তা।এবং আবু বকর (রাঃ) ও নাকি গালি দিয়েছিলেন।

কিন্তু গালি দেয়া তো ইসলামে জায়েজ নাই।ওনার বক্তব্য কতটুকু সত্য??

বক্তব্যের লিংক:https://youtube.com/clip/UgkxM25L5vYLq7o2BObxvZXSpCK4_oqPWVYN
by (39 points)
edited by
 #ইম্পর্ট্যান্ট, সবাইকে পড়তে উৎসাহ দিচ্ছি
___________

কখন ঘুমানো উত্তম? 

বায়োলজি কি বলে? এ নিয়ে ডা. সাইফুল আলম ভাইয়ের সাথে এক পোস্টের কমেন্টে আলাপ হয়৷ সেই আলাপচারিতা তুলে দিচ্ছি৷ 

সারমর্মঃ

★ রাতের খাবার মাগরিবের আগে বা পরে খেতে হবে।
★ এশার পর ৯টা,১০ টার আগে ঘুমিয়ে যাওয়া উত্তম।
★ আড়াইটার (২.৩০) দিকে ঘুম থেকে উঠে যাওয়া।
★ ভোরে না ঘুমানো।
★ সকাল ১১ টার আগে শর্করাজাতীয় খাবার না খাওয়া। ডিম, ভিনেগার, চিনি ছাড়া চা ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে এই সময়টায়।
★ সকাল ১১-১২ টায় ব্রেকফাস্ট & লাঞ্চ একসাথে করা। 
★ মিল সেরে আধঘন্টা কাইলুল্লাহ (ঘুম/বিশ্রাম) করা, তারপর যোহরের প্রস্তুতি নেয়া। 
★ রাতে ঘুমানোর ৩-৪ ঘন্টা আগে খাওয়া। গুরুপাচ্য খাবার এভয়েড করা। 

আলাপচারিতাঃ

Mushfiqur Rahman Khan: Only monophasic sleep এ অভ্যস্ত হলে প্রতিদিন কত ঘন্টা ঘুমাতে হবে?
,
Mohammad Saiful Alam Talukder: এটা নির্ভর করে আপনি কোন সময়ে ঘুমাচ্ছেন তার ওপর। আপনি যদি ঈশার পরপর অর্থাৎ ৯ টা বা ১০ টা থেকে ঘুমান তবে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা ঘুম আপনার জন্য যথেষ্ট হবে। ১০ টায় ঘুমালে দেখবেন স্টেরয়েড হরমোনের প্রভাবে ২ টা বা আড়াইটায় ঘুম ভেঙ্গে যাবে। তখন উঠে তাহাজ্জুদ পড়বেন। ফজর পড়ে, সূর্যোদয়ের পর ইশরাক পড়বেন। সারাদিন আপনার স্ট্যামিনা থাকবে তুঙ্গে। যোহরের আগে দুপুরের খাবার খেয়ে চাইলে নামাজের আগে আধাঘন্টা গড়াগড়ি বা কাইলুল্লাহ করে নিতে পারবেন। 

তবে একটা ব্যাপার যারা দায়ী তাদের ঘুমে আল্লহ বরকত দান করেন। তাদের অল্প কয়েক মিনিটের ঘুমেও আল্লহ সারা রাতের বরকত দিতে পারেন।

ভুল সময়ে ঘুমালে ডীপ স্লিপ হয় না। এই জন্য বায়োলজিক্যাল ক্লক অনুযায়ী স্লীপ ফিজিওলজি সবার জানা উচিৎ। এ্যাবনরমাল স্লিপ প্যাটার্ণ ইম্মিউনিটি ডিপ্রেস করে, হরমোনাল ইমব্যালেন্স তৈরি করে। ফলে থাইরয়েড প্রবলেম, ডায়াবেটিস, হার্ট ব্লক, স্ট্রোক, হাইপারটেনশান, ED, ডিপ্রেশান ইত্যাদি তৈরি হয়।
,
Muhammad Ahnaf Tahmid Saad: আমিও এটা খেয়াল করেছি। এশার পরে ঘুমালে ৪ ঘন্টার আশে পাশে ঘুমায়। এমন কেন হয়? স্টেরয়েড হরমোনের ব্যাপারটা আরো বিস্তারিত বলতে পারবেন কঢট করে প্লিজ। জানতে অনেক আগ্রহী। আমি ভাবতাম এটা শুধুমাত্র আল্লাহর কুদরতে হয়। আর রাতে এরকম ৪-৫ ঘন্টা ঘুমালে আর দিনে আধা ঘন্টার ন্যাপ নিলেই কি এনাফ? সবাই যে বলে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে। এখানে সবাই বলতে আমি রেলিজিয়াস স্কলার বুঝাচ্ছি। islamqa, ইমাম গাজ্জালি, সবাই ৮ ঘন্টার কথা বলেছেন৷ কিন্তু আবার রুটিন দিয়েছেন এরকম। এশার পর ঘুমিয়ে রাতে উঠে যাওয়া৷ তাহলে ৮ ঘন্টা কিভাবে হয়। আর দিনের বেলার যে কাইলুল্লাহ এটা আসলে কখন করলে উত্তম হয়। দুপুর ২-৩ টার দিকে? নাকি সকাল ১১ টার দিকে। সময় পেলে জানাবেন প্লিজ। 
,
Mohammad Saiful Alam Talukder: ৮ ঘন্টা কি আসলেই ঘুমানো সম্ভব? এত ঘুমালে ইবাদত কখন করবেন? সূর্য ডোবার সাথে সাথে ঘুমানোর জন্য প্রয়োজনীয় হরমোন রিলিজ শুরু হয়ে যায়। শহুরে জীবনে ব্রাইট লাইটে এই হরমোন এর রিলিজ হ্যাম্পার হয়। একারনেই দেখবেন যে গ্রামে যেখানে কারেন্ট নেই সেখানে কুপি বা হারিকেনের আলোয় সন্ধ্যায়ই ঘুম চলে আসে। তাই এই সময় জেগে থাকলে শরীরে স্ট্রেস পড়ে। ৯ টা ১০ টায় ঘুমালে ২ টার পর থেকে স্টেরয়েড হরমোন রিলিজ শুরু হয়, ফলে ঘুম পাতলা হতে শুরু করে। তাই এই সময় ঘুম থেকে উঠে যাওয়া উত্তম। স্টেরয়েড ইঞ্জেকশান নিয়ে বসে থাকলে শরীরে যেমন চর্বি জমে যায়, তেমনি এই সময় ঘুমিয়ে থাকলে শরীরের হার্ট, বিভিন্ন রক্তনালীতে চর্বি জমবে। একারনেই যারা রাত জাগে আর ভোর রাতে ঘুমিয়ে কাটায় তারা হার্ট ব্লক, হাইপারটেনশান এ ভোগে। উচিৎ হচ্ছে এই সময় অর্থাৎ ২-৩ টার দিকে ঘুম থেকে উঠে যাওয়া। তারপর তাহাজ্জুদ আদায় করে তেলাওয়াত করে, ফজর পরে কিছুক্ষন জিকির করে ইশরাকের পরে প্রয়োজনে রেস্ট নেয়া। প্রায় সকাল ১১ টা পর্যন্ত স্টেরয়েড হরমোনের ইফেক্ট থাকে। তাই এই সময় ব্যায়াম করা উপকারী। এইসকালে কাজের বা রিজিকের বরকত হয় বলে হাদীসে উল্লেখ আছে। ১১ টার আগে না ঘুমানো উত্তম হবে। এই সময় কার্ব জাতীয় খাবার খাওয়াও নিষেধ। এই সময় ইনসুলিন সিক্রেশান কম হয়, তাই এই সময় কার্ব জাতীয় খাবার যেমন ভাত, রুটি, মিষ্টি ইত্যাদি খেলে শরীরে শর্করার পরিমান আনকন্ট্রোল্ড ভাবে বেড়ে যাবে, শরীর ব্যাক্টেরিয়া ভাইরাসের আক্রমনে পর্যুদস্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে। ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চ একসাথে ১১-১২ টায় করলে ভাল, এই সময় লাঞ্চ করে আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা ঘুমিয়ে তারপর যোহরের নামাজের প্রস্তুতি।

ঠিক একই ভাবে রাতের খাবার এমন সময় খেতে হবে ও এতটুকু খেতে হবে যেন তা ঘুমানোর আগেই স্টমাক থেকে বের হয়ে যায়। স্টমাক ক্লিয়ারেন্স টাইম ৩-৪ ঘন্টা। তাই ১০ টায় ঘুমালে ৭ টায় ডিনার সারতে হবে। এবং গুরু পাচ্য খাবার এ্যাভয়েড করতে হবে।
,
Muhammad Ahnaf Tahmid Saad: তাহলে এশার পর পর ঘুমিয়ে পড়লে (যেমন ৯ঃ৩০) রাতের খাবারের জন্য বেটার সময় মাগরিবের আগে হলে ভাল হয় নাকি মাগরিবের পর। কারন সাড়ে ৬ থেকে ৭ টা এই সময়ের আশে পাশে মাগরিব হয়। ৬ টার দিকে খেলে বিফোর মাগরিব হবে, আর বাদ মাগরিব করতে হলে সাড়ে ৭ টার মত বেজে যাবে৷ আর আপনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বলেছেন। আপনার কমেন্ট গুলো একসাথে কপি করে এই গ্রুপেই পোস্ট আকারে দিতে পারি কি? অনেকেই এগুলো জানতে চাইতে পারে। আর সকালে, ১১ টার পূর্বের সময়টায় কি রকম খাবার খাওয়া যায়। আমি মুড়ি খাই, এতে কি সমস্যা আছে? 
,
Mohammad Saiful Alam Talukder: সেক্ষেত্রে মাগরিবের আগে পার্ফেক্ট হবে। তবে মাগরিব আর আওয়াবীনের মাঝেও হতে পারে। সকালে মুড়ি খাওয়া যাবে না। চিনি ছাড়া চা খেতে পারেন। ডিম খেতে পারেন। পানিতে ভিনেগার মিশিয়ে খেতে পারেন। সোজা কথায় সকালে শর্করা এ্যাভয়েড করবেন। তবে আপনি যদি শারিরীক শ্রমের কাজ করেন, যেমন সকালে অনেক দূর হাটা, বা এ ধরনের কিছু তবে আপনি সকালে ভাত খেলেও সমস্যা নেই। আমি শহুরে সেডেন্টারি লাইফের মানুষের অনুযায়ী বলছি।

হ্যা পোস্ট দিতে পারেন।

© আত তাআউন গ্রুপ থেকে সংগৃহীত

1 Answer

+1 vote
by (676,960 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


শরীয়তের বিধান মতে গালাগাল করা নিকৃষ্ট ব্যক্তিদের কাজ। হযরত মুয়াবিয়া রাঃ এর মত সাহাবী এবং নবীজীর বিশ্বস্ত ওহী লেখক, সভ্রান্ত বংশের, সর্দার বংশের মত উঁচু বংশের ব্যক্তির জন্য এমন নিম্নমানের বিষয় ভাবাই যায় না।
,
والتصريح بالسب وقبيح القول انما كان يفعله جهال بنى امية وسفلتهم…. واما معاوية فحاشه من ذالك لما كان عليه من الصحبة والدين ذاالفضل وكرم الاخلاق (اكمال اكمال شرح مسلم-6\224)

সুতরাং মুয়াবিয়া রাঃ গালাগাল করতেন, অন্যদের গালাগাল করতে উৎসাহ দিতেন এমন দাবী সরাসরি মিথ্যাচার ছাড়া কিছু নয়।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মুয়াবিয়া রাঃ ইসলাম গ্রহনের পর আবু বকর সিদ্দিক রাঃ কে গালি দিয়েছেন,এটি নির্ভরযোগ্য সুত্রে পাইনি।

প্রশ্নে উল্লেখিত নির্দিষ্ট গালির বিষয়টিও কোনো নির্ভরযোগ্য সুত্রে পাইনি।
বিষয়টি হযরত মুয়াবিয়া রাঃ এর বিরুদ্ধে যারা রয়েছেন,তাদের মত হতে পারে,যাহা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের মতে সঠিক নয়।

তবে,হযরত আলী রাঃ কে গালি দেয়া সংক্রান্ত একটি বিষয় অনেকে বলে থাকেন।

হযরত সা’দ বিন আবী ওয়াক্কাস রাঃ এবং হযরত মুয়াবিয়া রাঃ এর সাক্ষাতে কথোপথনের মাঝে হযরত মুয়াবিয়া রাঃ সাদকে বললেন:
فقال ما منعك ان تسب ابا تراب؟ অর্থাৎ হে সাদ! হযরত আলী রাঃ কে মন্দ বলতে কোন জিনিস তোমাকে বারণ করেছে?

এখান থেকে কেহ কেহ বলেন যে, হযরত মুয়াবিয়া রাঃ হযরত আলী রাঃ কে গালাগাল করতেন। অন্যদেরও গালাগাল করতে উৎসাহ প্রদান করতেন।

প্রথমেই উক্ত ঘটনা সম্বলিত হাদীসটি দেখে নেই:

عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: أَمَرَ مُعَاوِيَةُ بْنُ أَبِي سُفْيَانَ سَعْدًا فَقَالَ: مَا مَنَعَكَ أَنْ تَسُبَّ أَبَا التُّرَابِ؟ فَقَالَ: أَمَّا مَا ذَكَرْتُ ثَلَاثًا قَالَهُنَّ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَنْ أَسُبَّهُ، لَأَنْ تَكُونَ لِي وَاحِدَةٌ مِنْهُنَّ أَحَبُّ إِلَيَّ مِنْ حُمْرِ النَّعَمِ، سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَهُ، خَلَّفَهُ فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ، فَقَالَ لَهُ عَلِيٌّ: يَا رَسُولَ اللهِ خَلَّفْتَنِي مَعَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ؟ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَمَا تَرْضَى أَنْ تَكُونَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ مُوسَى؟ إِلَّا أَنَّهُ لَا نُبُوَّةَ بَعْدِي» وَسَمِعْتُهُ يَقُولُ يَوْمَ خَيْبَرَ «لَأُعْطِيَنَّ الرَّايَةَ رَجُلًا يُحِبُّ اللهَ وَرَسُولَهُ، وَيُحِبُّهُ اللهُ وَرَسُولُهُ» قَالَ فَتَطَاوَلْنَا لَهَا فَقَالَ: «ادْعُوا لِي عَلِيًّا» فَأُتِيَ بِهِ أَرْمَدَ، فَبَصَقَ فِي عَيْنِهِ وَدَفَعَ الرَّايَةَ إِلَيْهِ، فَفَتَحَ اللهُ عَلَيْهِ، وَلَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ: {فَقُلْ تَعَالَوْا نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ} [آل عمران: 61] دَعَا رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلِيًّا وَفَاطِمَةَ وَحَسَنًا وَحُسَيْنًا فَقَالَ: «اللهُمَّ هَؤُلَاءِ أَهْلِي»

সা’দ ইবনু আবূ ওয়াককাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, মুআবিয়া ইবনু আবূ সুফিয়ান (রাঃ) সা’দ (রহঃ) কে আমীর বানালেন এবং বললেন, আপনি আলী (রাঃ) কে কেন মন্দ বলেন না? সা’দ বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সম্পর্কে যে তিনটি কথা বলেছেনঃ তা মনে করে এ কারণে আমি কখনও তাকে মন্দ বলবো না। ওসব কথার মধ্য হতে যদি একটিও আমি লাভ করতে পারতাম তাহলে তা আমার জন্য লাল উটের চেয়েও বেশি পছন্দনীয় হতো।
রাসুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আলী (রাঃ) এর উদ্দেশ্যে বলতে শুনেছি, আলী (রাঃ) কে কোন যুদ্ধের সময় প্রতিনিধি বানিয়ে রেখে গেলে তিনি বললেন, মহিলা ও শিশুদের মাঝে আমাকে রেখে যাচ্ছেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তখন রাসুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি কি এতে আনন্দবোধ কর না যে, আমার কাছে তোমার মর্যাদা মূসা (আলাইহিস সালাম) এর কাছে হারুন (আলাইহিস সালাম) এর মতো। তবে মনে রাখতে হবে যে, আমার পর আর কোন নাবী নেই।
খায়বারের যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি বলতে শুনেছি, আমি এমন এক ব্যক্তিকে পতাকা দেবো যে আল্লাহ ও তার রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালবাসে আর আল্লাহ ও তার রাসুলও তাকে ভালবাসেন। এ কথা শুনে আমরা অপেক্ষা করতে থাকলাম। তখন তিনি বললেন, আলীকে ডাকো। আলী আসলেন, তাঁর চোখ উঠেছিলো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চোখে লালা দিলেন এবং তাঁর হাতে পতাকা অর্পণ করলেন। পরিশেষে তাঁর হাতেই বিজয় তুলে দিলেন আল্লাহ।
আর যখন (মুবাহালা সংক্রান্ত) আয়াতঃ “আমরা আমাদের এবং তোমাদের সন্তান-সন্তুতিকে ডাকি” (৩ঃ ৬১) অবতীর্ণ হলো, তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলী, ফাতিমা, হাসান ও হুসায়ন (রাঃ) কে ডাকলেন। অতঃপর বললেন হে আল্লাহ! এরাই আমার পরিবার। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৪০৪, ইফাবা-৬০০২]
,
এখানে আমীর বানানোর পর মুয়াবিয়া রাঃ সাদ রাঃ কে জিজ্ঞাসা করলেন তিনি কেন অন্যান্যদের মত এ ঘৃণ্য কাজটি করেন না। তখন সাদ রাঃ হযরত আলী রাঃ এর বিশেষ তিনটি গুণের কথা বললেন। এ গুণগুলোর কারণে তিনি কখনোই হযরত আলী রাঃ এর বদনাম করতে পারেন না বলে জানিয়ে দিলেন।
,
★এখানে হযরত মুয়াবিয়া রাঃ সাদকে আলী রাঃ কে গালাগাল করতে বলার কোন আদেশ নেই। কেবলি জিজ্ঞাসা ছিল। যেহেতু অনেকেই এ নোংরা কাজ করতো। কিন্তু সাদ রাঃ কখনো একাজ করতেন না। তাই তিনি এর কারণ জানতে চেয়েছেন মাত্র। [শরহে মুসলিম লিননাবাবী-২/২৭৮]

এখানে গালাগাল করাতে উৎসাহ দেয়া উদ্দেশ্য ছিল না। বরং কেবলমাত্র কারণ জানা মাকসাদ ছিল।

“ছাব্ব” শব্দের অর্থ আরবে অন্যের মতামতকে ভুল সাব্যস্ত করা ও নিজের মতামতকে সঠিক সাব্যস্ত করার জন্যও ব্যবহৃত হয়।

ان يحمل السب على التغير فى المذهب والرأى فيكون ما منعك من ان تبين للناس خطاه وان ما نحن  عليه اسد واصوب، ومثل هذا يسمى سبا فى العرف (إكمال اكمال المعلم شرح مسلم لامام عبد الله محمد بن خلفة الوشتانى-6\224)
ছাব্ব এর দ্বারা উদ্দেশ্য হল, পথ ও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা। সুতরাং উক্ত কথার অর্থ হল, লোকদের কাছে তার ভুল হওয়া এবং আমার যথার্থতা প্রকাশ করতে তোমাকে কোন জিনিস বাঁধা দিচ্ছে? আরবে এমন অর্থেও “ছাব্ব” শব্দ ব্যবহৃত হয়। [ইকমালু ইকমালিল মুআল্লিম শরহে মুসলিম-৬/২২৪]

সেই হিসেবে এখানে “ছাব্ব” বলে অপর দলকে ভুল সাব্যস্তকরণ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। গালাগাল অর্থে নয়।
(কিছু তথ্য সংগৃহীত)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...