বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
عَنْ أُمِّ فَرْوَةَ، قَالَتْ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَىُّ الأَعْمَالِ أَفْضَلُ قَالَ " الصَّلاَةُ فِي أَوَّلِ وَقْتِهَا " .
উম্মে ফারওয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে উত্তম আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ ওয়াক্তের প্রথম ভাগে নামায আদায় করা সর্বোত্তম কাজ। (আবু-দাউদ-৪২৬)
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
ٍعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي النِّدَاءِ وَالصَّفِّ الأَوَّلِ، ثُمَّ لَمْ يَجِدُوا إِلَّا أَنْ يَسْتَهِمُوا عَلَيْهِ لاَسْتَهَمُوا، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي التَّهْجِيرِ لاَسْتَبَقُوا إِلَيْهِ، وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِي العَتَمَةِ وَالصُّبْحِ، لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا»
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আযানে ও প্রথম কাতারে কী (ফযীলত) রয়েছে, তা যদি লোকেরা জানত, কুরআহর মাধ্যমে নির্বাচন ব্যতীত এ সুযোগ লাভ করা যদি সম্ভব না হত, তাহলে অবশ্যই তারা কুরআহর মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিত। যুহরে সালাত (নামায/নামাজ) আউয়াল ওয়াক্তে আদায় করার মধ্যে কী (ফযীলত) রয়েছে, যদি তারা জানত, তাহলে তারা এর জন্য প্রতিযোগিতা করত। আর ইশা ও ফজরের সালাত (জামা’আতে) আদায়ের কী ফযীলত তা যদি তারা জানত, তাহলে নিঃসন্দেহে হামাগুঁড়ি দিয়ে হলেও তারা উপস্থিত হত।(সহীহ বোখারী-৬১৫,সহীহ মুসলিম-৪৩৭)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রতি ওয়াক্তের পৃথক পৃথক মুস্তাহাব ওয়াক্ত রয়েছে।ফজরের নামাযকে দেড়ী করে পড়া মুস্তাহাব,এবং এটাই তার আওয়াল ওয়াক্ত।জোহরের নামাযকে গরমের সময় দেড়ী করে পড়া মুস্তাহাব।এবং আসর ও মাগরিবে নামাযকে সর্বদা ওয়াক্তের প্রথমে পড়া মুস্তাহাব। এশার নামাযকে রাতের এক ততৃতীয়াংশ পর্যন্ত দেড়ী করে পড়া মুস্তাহাব।
এগুলো বুঝা ও বুঝানো অনেকটা মুশকিল বিষয়।সহজভাবে বলা যায় যে,আমাদের দেশে যে ওয়াক্তের যখনই আযান হয়,আযান পরবর্তী জামাতের সাথে নামায আদায় করা বা ঐ সময়ে ঘরে বা অন্য কোথাও নামায আদায় করা মানে আওয়াল ওয়াক্তেই আদায় করা। আওয়াল ওয়াক্ত কোনো বিশেষ সময় বা সেকেন্ড মিনিটের সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়।
দারুল উলূম দেওবন্দের একটি ফাতাওয়ায় উল্লেখ করা হয় যে,
فتوی: 999-824/B=6/1433
ہرنماز کو اول وقت میں پڑھنے کی کسی صحیح حدیث میں تاکید نہیں آئی ہے۔ البتہ بعض ضعیف حدیث میں افضلیت کا ذکر ملتا ہے، البتہ گرمی کے موسم میں ظہر کی نماز دیر کرکے پڑھنے کی صحیح حدیث میں تاکید آئی ہے، اسی طرح فجر کی نماز بھی تاخیر سے یعنی اسفار میں پڑھنے کا حکم ملتا ہے، اس میں اجر وثواب کی زیادتی بتائی گئی ہے۔ عشاء کی نماز کی تہائی رات تک موخر کرکے پڑھنے کو افضل بتایا گیا ہے۔ مغرب کی نماز ہرموسم میں اول وقت میں پڑھنا افضل ہے۔ فجر کی نماز تاخیر کرکے اسفار میں پڑھنا ہمیشہ افضل ہے، گرمی میں ظہر کی نماز دیر کرکے پڑھنا افضل ہے۔ جمعہ کی نماز ہمیشہ اول وقت میں پڑھنا افضل ہے، سردی کے موسم میں ظہر کو اول وقت میں پڑھنا افضل ہے۔ عصر کی نماز دو مثل پر اول وقت پڑھنا ہمیشہ افضل ہے۔ محنت مزدوری کرنے والوں کے لیے عشاء کی نماز اول وقت میں پڑھنا افضل ہے۔ فقہاء نے اسی طرح پر افضلیت لکھی ہے، حضرت امام شافعی رحمہ اللہ کے نزدیک ہرنماز اول وقت میں پڑھنا افضل ہے۔