আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
93 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (23 points)
আসসালামলাইকুম শায়েখ।

আমি কিছু হালাল ও হারামের সম্পর্ক জানতে চাই।যেমন:

1)কোনো ব্যাক্তি তার হালাল টাকা দিয়ে চাল ও তরকারী কিনলো।এখন সে একটা চুরি করা পাত্র দিয়ে রান্না করল।তাহলে কী তার রান্না করা খাবার হারাম হবে?

2)কোনো ব্যক্তি তার হালাল উপার্জন থেকে বিদ্যুৎ এর বিল পরিশোধ করে।কিন্তু বিদ্যুৎ এর লাইনের তার চুরি করা।এখন সে এই বিদ্যুৎ দিয়ে মোবাইল চার্জ দিলো।তার মোবাইলের চার্জ কী হারাম হবে?

3)কোনো ব্যাক্তি মোবাইল থেকে অনলাইনে কিছু পন্য অর্ডার দিলো।টাকা পরিশোধ করলো হালাল উপার্জন থেকে কিন্তু তার মোবাইল চুরি করা।এখন তার পন্য গুলো কী হারাম হবে?

1 Answer

0 votes
by (715,680 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
 من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ! প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
কোনো ব্যাক্তি তার হালাল টাকা দিয়ে চাল ও তরকারী কিনলো।এখন সে একটা চুরি করা পাত্র দিয়ে রান্না করল।তাহলে তার এই রান্না করা খাবার হারাম হবে না।হ্যা, তার উপর অবশ্যই ওয়াজিব যে, সে উক্ত চুরি করা পাত্রকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে বা সদকাহ করবে।

(২)
কোনো ব্যক্তি তার হালাল উপার্জন থেকে বিদ্যুৎ এর বিল পরিশোধ করল। কিন্তু বিদ্যুৎ এর লাইনের তার চুরি করা ছিল।এখন সে এই বিদ্যুৎ দিয়ে মোবাইল চার্জ দিলো।তার মোবাইলের চার্জ হারাম হবে না।

(৩)
কোনো ব্যাক্তি মোবাইল থেকে অনলাইনে কিছু পন্য অর্ডার দিলো।টাকা পরিশোধ করলো হালাল উপার্জন থেকে কিন্তু তার মোবাইল চুরি করা।এখন এজন্য তার পন্য গুলো হারাম হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (715,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...