আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (81 points)
edited by
আসসালামুয়ালাইকুম ওরামাতুল্লাহ।

হুজুর আমি আগে কেনায়া তালাকের ব্যপারে কিছুই জানতাম না।জানার পর থেকে স্বামিকে অনেক প্রশ্ন করেছি।কেনায়া তালাক বা স্পষ্ট তালাকের ব্যপারে ।প্রতিবার ওই ওনি উত্তর  দিয়েছেন বলে নি।বার বার জিগ্যেস করায় ওনি বিরক্ত হয়ে বলেছিল তালাকের বিষয়ে কোন কথা বলবা না আর।হুজুর আমার বার বার নানা কথা নিয়ে সন্দেহ আসতে থাকে বলেছে কিনা।তালাকের মজলিস ছিল কিনা।এখন আবার মনে সন্দেহ আসতেছে  আমি অনেকবার তালাক চেয়ে চলে যাব বলেছি যে তখন চলে যাও বলেছে কিনা।কিন্তুু এটা মনে আছে আমাকে সরাসরি তালাক কোনদিন  দেই নি আমি চাইলেও।হুজুর আমার কি স্বামীকে প্রশ্ন করা উচিত হবে? ওনি যদি রেগে যায় ভয় হয়।আর হুজুর কেনায়া তালাকের কথা যদি আগে বলেও থাকে আমাদের মনে নেই এতে কি আমাদের যিনার গুণাহ হবে?আর আমার বান্ধবী একটাকে একটু একটু কথা শেয়ার করত স্বামি। ওকে কি জিগ্যেস করা উচিত হবে কোনদিন তালাকের কথা বলেছে কিনা? আর আমার স্বামিকে কি জিগ্যেস করা উচিত হবে?

হুজুর কেনায়া তালাকের ব্যপারে শুনার পর থেকে প্রতিটা কথায় ভয় লাগে আর সন্দেহ হয়।যখন থেকে একটা হাদিস শুনেছি এমন এক সময় আসবে যখন স্বামি স্ত্রী নিজেরা যেনা করবে,তখন থেকে আমার আরো বেশি ভয় হচ্ছে। আগে এতসব কিছু জানতাম না।এমন এক পরিবেশে বাস করি কোনদিন এসব শুনি নাই।এখন ওয়াজ থেকে,গুগল থেকে এসব জেনেছি।মনে হয় যে শুধু স্বামি আগে বলেছে।আর মনে হয় আমাদের সারাজীবন যিনা হবে।এর থেকে মুক্তির জন্য কি  ইস্তেখারা করব?আবার ভয় হয় ইস্তেখারায় খারাপ স্বপ্ন  দেখলে আরো চিন্তায় পরে যাব বলে।দয়া করে একটু বুঝিয়ে বলবেন।

1 Answer

0 votes
by (589,650 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল।
قَدْ سَأَلَهَا قَوْمٌ مِّن قَبْلِكُمْ ثُمَّ أَصْبَحُوا بِهَا كَافِرِينَ
এরূপ কথা বার্তা তোমাদের পুর্বে এক সম্প্রদায় জিজ্ঞেস করেছিল। এর পর তারা এসব বিষয়ে অবিশ্বাসী হয়ে গেল।(সূরায়ে মায়েদা-১০১-১০২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বোখারী-মুসলিম)

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এভাবে খুটিয়ে খুটিয়ে বারংবার জিগ্যাস করা আপনার উচিৎ হবে না।স্বামী যখন একবার অস্বীকার করে নিয়েছে, তাই বরংবার কেনায়া তালাক নিয়ে জিগ্যাস করার দ্বারা আপনি সংসারকে নরক বানিয়ে নিচ্ছেন।আল্লাহ আপনার সংসারকে হেফাজত করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...