ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ধোকা এবং প্রতারণা সম্পর্কে হাদীসে ধমকি বর্ণিত হয়েছে,
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلَاحَ ، فَلَيْسَ مِنَّا ، وَمَنْ غَشَّنَا ، فَلَيْسَ مِنَّا )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি আমরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে অস্র ধরলো, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।এবং যে কাউকে ধোকা দিলো সেও আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৬)
হযরত আবু-হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة رضي الله عنه – أيضاً - ، وفيه : مَنْ غَشَّ ، فَلَيْسَ مِنِّي
ভাবার্থঃ যে কাউকে ধোকা দিলো সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়।(সহীহ মুসলিম-১৪৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দোষকে লুকিয়ে রেখে স্ত্রীকে মাতৃত্ব থেকে বঞ্চিত রাখা ধোকা হবে।সুতরাং আপনি এখনই স্ত্রীকে সবকিছু খুলে বলবেন।এবং চিকিৎসা গ্রহণের সর্বাত্মক চেষ্টা করবেন। আরো দুয়েকজন ডাক্তারকে দেখাবেন।যদি তারাও এমন কথা বলে,তাহলে আপনি স্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী হয়তো তাকে তালাক দিবেন।নতুবা সংসার করবেন।যেহেতু বিয়ে বিশুদ্ধ হয়েছে, তাই সহবাস বা খালওয়াতে সহিহা হয়ে গেলে পূর্ণ মহর দিতে হবে।নতুবা অর্ধেক মহর দিতে হবে।