আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
669 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (41 points)
আসসালামু আলাইকুম।
এক বোনের প্রশ্ন
এক বোনের স্বামী উনার সাথে শারীরিক সম্পর্কে আনন্দ পায়না তাই সে উনাকে না জানিয়ে অন্যত্র বিয়ে করে এবং দীর্ঘদিন গোপন রাখে। ২য় স্ত্রীর কাছে সে তৃপ্ত হতো তাই প্রথমার কাছে অনেক দিন পরপর আসতো। প্রথমার সাথে অনেক দিন পরপর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতো।এভাবে প্রায় ১২ বছর চলার পর ২য় স্ত্রীকে স্বামী তালাক দেয় এবং ঐ মহিলা অন্যত্র বিয়ে করে। এখন স্বামী ঐ ২য় স্ত্রীর প্রতি আসক্ত হয়ে আছে যেহেতু ঐখানে সে শারীরিক তৃপ্তি পেতেন। এখন প্রথম স্ত্রীর কাছে উনি কাঙ্ক্ষিত আনন্দ পাচ্ছে না,যদিও স্ত্রী অনেক চেষ্টা করেন স্বামী কে খুশি করতে। কিন্তু স্বামী বলছেন উনি কেন জানি প্রথম স্ত্রীর প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন না। এমতাবস্থায় প্রথম স্ত্রীর কি করণীয়? উনি অনেক মনোকষ্টে আছেন। উল্লেখ্য উনাদের ২ টা সন্তান আছে।

1 Answer

0 votes
by (706,240 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/990 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
ইবনে তাইমিয়্যাহ রাহ বলেন,
ﻭﻳﺠﺐ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺰﻭﺝ ﻭﻁﺀ ﺍﻣﺮﺃﺗﻪ ﺑﻘﺪﺭ ﻛﻔﺎﻳﺘﻬﺎ ﻣﺎ ﻟﻢ ﻳﻨﻬﻚ ﺑﺪﻧﻪ ﺃﻭ ﻳﺸﻐﻠﻪ ﻋﻦ ﻣﻌﻴﺸﺘﻪ ، .. ﻓﺈﻥ ﺗﻨﺎﺯﻋﺎ ﻓﻴﻨﺒﻐﻲ ﺃﻥ ﻳﻔﺮﺿﻪ ﺍﻟﺤﺎﻛﻢ ﻛﺎﻟﻨﻔﻘﺔ ﻭﻛﻮﻃﺌﻪ ﺇﺫﺍ ﺯﺍﺩ "
স্ত্রীর সন্তুষ্টি পর্যন্ত স্বামীর উপর স্ত্রীকে সহবাস করা ওয়াজিব(অর্থাৎ স্ত্রীর চাওয়া মাত্র স্বামীকে সহবাস করতে হবে)।যতক্ষণ না স্বামীর শরীর দুর্বল হচ্ছে বা স্বামীকে তার জীবিকানির্বাহ পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। সহবাসের পরিমাণ নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি হলে এক্ষেত্রে উচিৎ খোরপোষ ইত্যাদির মত সহবাসের পরিমাণকে বিচারক ঠিক করে দেবেন।(দৈনিক না সাপ্তাহিক? এইভাবে ঠিক করে দিবেন)(ফাতাওয়ায়ে ইবনে তাইমিয়্যাহ-২৪৬)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্বামী-স্ত্রীর অর্থ শুধুমাত্র সহবাসের আনন্দ নয়, বরং নিজ ঈমান ও আমলের হেফাজত। সুতরাং কোনো ভাবে নিজ জৈবিক চাহিদা পূরণ হয়ে গেলেই তা যথেষ্ট বলে বিবেচিত হবে।অধিক আনন্দ গ্রহণ বিয়ের উদ্দেশ্যর মধ্য থেকে নয়।

স্বামী চাইলে,এবং তার সামর্থ্য থাকলে সে একাধিক বিয়ে করতে পারবে। এতে কোনো বিধিনিষেধ নেই।

আমাদের পরামর্শ হল,
উক্ত স্বামী সে তার পূর্বের স্ত্রীকে নিয়েই সন্তুষ্ট থাকবে। শতচেষ্টা করেও যদি সম্ভব না হয়, তাহলে সে দ্বিতীয় বিয়ে করে নিবে। সে উভয় স্ত্রীকে সমানভাবে দেখভাল করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...