শাইখ,
আমি নতুন হালাল মোমবাতি তৈরীর ব্যবসা শুরু করতে চাই,এখন আমার মনে অনেক প্রশ্ন জন্মে, যার একটু ইসলামী শরীয়াহ ভিত্তিক সমাধান চাইছি।
১আমি আমার ব্যবসায়ে পণ্যের পেকেটে নাম দিতে চাই,যেমন পন্যর মালিকের নাম ইত্যাদি,এখন আমি যদি আমার নাম কুরআনে আছে এমন একটা নাম যেমন (আলম)তথা এর মানে হয় বিশ্ব দেই,দেখা গেল কেউ উক্ত পণ্যটি কিনে পণ্যের পেকেটটি বাইরে ফেলে দিল,যেখানে আমার নাম (আলম) লিখা ছিল,এখন কেউ যদি উক্ত নামটি হাটাচলার ফলে পা দিয়ে মাড়িয়ে দেয়, তাহলে কি আমার কোন গুণাহ হবে?
২ ইসলামী শরীয়ত এই বিষয়ে কি বলে?যেখানে ইসলামিক নাম লিখা পেকেট কেউ পা দিয়ে মাড়ায় অথবা ডাস্টবিন এ ফেলে দেয়।
৩এখানে দোষ কার? মালিকের নাকি যে ক্রেতা তার?
৪ আমি আমার ব্যবসায়ে বেশি বেশি বারাকাহ পাওয়ার জন্য কি কি আমল করতে পারি?
যেহেতু আমি মোমবাতি বানিয়ে দোকানে বিক্রি করি,পরে দোকান হতে অনেক মানুষ মোমবাতি শবে বরাতের জন্য কিনে নিয়ে যায়, যেখনে বাচ্ছারা এটা জ্বালিয়ে আনন্দ করে,এখানে কি আমার কোন গুণাহ হবে কিনা?
৬ অনেক মানুষ বিদআত করার জন্য ও নিয়ে যায় যেমন কবরে মোমবাতি জ্বালানো ইত্যাদি, এখন আমার কি কোন গুণাহ হবে কিনা?যেহেতু আমি মোমবাতি বানিয়ে তাদের কাছে বিক্রি করেছি,এটাতো এক ধরণের সাহায্য করা।
এটার সমাধান কি?
৭অনেক মানুষ জ্যোতিষী কুফরী কাজের জন্য ও মোমবাতি কিনে দোকান হতে,
যেহেতু আমি বানিয়ে দোকানে সেল করেছি,তাই তারা দোকান হতে কিনে নিতে পেরেছে,এটাতো একধরণের সাহায্য,এতে কি আমাকেও গুণাহের ভাগী হতে হবে?
৮ হযরত দেখুন,আমি মানুষের উক্ত কাজগুলোর জন্য কোন না কোন ভবে জড়িত,এখন আমার কি কোন গুণাহ হবে কিনা?গুণাহ হলে কেন হবে?
৯ আমিতো স্পষ্ট ভাবে জানতাম না তারা এসব করতে পারে,তাহলে আমার কেন গুণাহ হবে?
১০ ইসলামী শরীয়ত কি বলে এটি নিয়ে?
১১ তাহলে আমি আমার মোমবাতি গুলো কিভাবে দোকানে সেল করবো,যেভাবে করলে আমার গুণাহ হবে না,আমাকে স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দিন।