আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
563 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (41 points)
edited by
১।হুজুর আরেকটা প্রশ্ন।আমি একদিন খুব কস্ট পেয়ে স্বামীর কাছে তালাক চাই।স্বামী বলে তুমি দিয়ে দিয়।যাব কিছুদিন পর।মানে আমাকে দিতে বলে।আমি   মনে হয় ঠিক আছে বলেছি।এরপর আর কি কি বলেছি মনে নাই।এরপর আরো কথা হয়।কি কি মনে নেই।এসএমএসে কথা হয় তহ।আরো অনেক কথা হয়।এর পরের কথাগুলো তালাকের বিষয়ে ছিল না মনে হয়।আমার মনে পড়তেছে না।এরপর আমি বলতেছি আমি চলে যাব অনেক দূরে।তালাক দিয়ে যাব ওটা আর বলি নি। বলেছি অনেক  দূরে যাব কেও খুজে পাবা না।তারপর মরে যাব বা কোন একটা কাজ করে খাব সেরকম বলছিলাম মনে হয়।তখন ওনি কি বলেছে মনে হয় চলে যাও গা বলেছে নাকি যাইলে যাওগা বলেছে নাকি চলে যাও বলেছে আমার স্পষ্ট মনে নেই।আমি যাওয়ার সময় ওনি শপথ করে বলতেছে আর বলব না।আসলে ওনি তালাকের উদ্দেশ্যে বলে নি।পরে চলে যাব বলছি যে সেটাও আমি তালাকের উদ্দ্যেশে বলে নি।ওনি কোনদিন নিজ থেকে চলে যেতে বলে নি।তালাক ও দেই নি।আমাকে অধিকার দিছে  যে আমি চাইলে দিয়ে দিতে পারি।আমিও নিজের নফসের ওপর কোনদিন তালাক নি নাই।আমি অভিমান করে বলতাম বেশির ভাগ।হুজুর এই কথা দ্বারা কি তালাক হবে?স্বামীও শপথ করে বলতেছে তালাকের নিয়ত ছিল না।আসলে সব কথা এসএমএসে হয়েছিল।আমি বাপের বাসায় থাকি।সেখান  থেকে যেদিকে চোখ যাই চলে যাইতে চাইছিলাম অভিমান করে।কেউ খুজে না পাই মত।তারপর বলেছি মরে যাব।তালাকের নিয়তে চলে যাব বলি নি।হুজুর তখন আমরা কেউ কেনায়া তালাকের ব্যপারে জানতাম না।হুজুর আমার উপর কি তালাক পতিত হবে?স্বামী কোনদিন আমাকে তালাকের কথাও বলে নি।যা বলার আমি বলেছি।ওনি বলত তুমি দিয়ে দিও।মাঝে মাঝে বলত দিব।হুজুর ওপরোক্ত কথা,দ্বারা কি তালাক  হবে?

২।আমি মাঝে মাঝে বলতাম আমাকে এভাবে চাপিও না।আমার দম বন্ধ হয়ে আসে।স্বামি যদি বলে ঠিক আছে চাপব না,তুমার যা ইচ্ছে করিও যে রকম ইচ্ছে সেভাবে চলিও।তালাকের নিয়তে বলত না।ওনি শপথ করে বলতেছে।এখানে কি তালাক হবে?

৩।আবার মাঝে মাঝে বলতাম তুমার এরকম চাপ থেকে মুক্তি দাও।তালাকের কথা না।ওনি কি বলত আমার  মনে নেই।মনে হয় দিব বলত।নাকি তুমার ইচ্ছে হলে চলে যাও/চলে যাও এরকম বলত আমার মনে হয়।সিওরলি মনে পড়তেছে না।হুজুর ওনি বার বার শপথ করে বলতেছে তালাকের নিয়ত ছিল না।এখানে কি তালাক হবে?

৪।স্ত্রী যদি রাগ করে বলে তুই আমার স্বামী নই,তুর সাথে সম্পর্ক নাই,তাহলে কি তালাক হবে?

৫।স্বামী যদি বিয়ের আগে বলে তুর সাথে কোন সম্পর্ক নাই।তাহলে কি বিয়ে করা,যাবে না? আদৌ বলেছে কিনা জানি না সন্দেহ হচ্ছে।

৬।হুজুর আমাদের বিয়ে হয়েছে কিন্তুু বাসায় জানে না।মোবাইলে কথা হয়।আমি আমার বাবার বাড়িতে আছি।আমার মা বাবা ওনি চাকরি করে না তাই মেনে নিচ্ছে না।ব্যবসা করে তাই মেনে নিচ্ছে  না।তহ একদিন  স্বামী বলতেছিল আগে আর কি"এখন  মা বাবা বেশি আপন হয়ে গেছে না? তুমার মা বাবা যা বলে করিও।আসিও না আমার বাসায় ।আমি আমার  পথ  ঠিকি খুজে নিব।আমি তহ ফকির।কিছু নেই আমার কাছে"। আগের কথা হঠাত মনে পরছে।হুজুর ওনাকে কিছুই বলতে পারতেছি না।ওনি বলতেছে এই ব্যাপারে কোন কথাই নাই।ওনি অনেকবার বলেছে তালাকের নিয়তে বলে নি কোন কথা।শপথ করে বলেছে।হুজুর আমার মনে হচ্ছে কথা ওটার পর আমি  তালাক চেয়েছি।আর ওনি বলেছে তুমি দিয়ে দিও।কিছুদিন পর যাব তুমি দিয়ে দিও।মানে আমাকে দিতে বলেছে।হুজুর আমার সন্দেহ হচ্ছে তালাকের কথাটা আগে বলেছে নাকি পরে বলেছে আমার কিছুতেই মনে পড়তেছে না।কারণ এসএমএসে কথা হয়ত তহ তাই।মনে হচ্ছে পরে বলেছি।হুজুর এগুলো দ্বারা কি তালাক হবে?হুজুর স্বামী তালাক দিবে বলে নি। আমাকে দিতে বলেছে।আমি টেনশনে  েশষ হয়ে যাচ্ছি।কথাটা ওটা বলার আগেও আমি তালাক চেয়েছি কিনা মনে পড়তেছে না আমার।

৭।এসএমএসে তালাকের মজলিস হয়? মানে কিছুক্ষণ আগে পরে এসএমএস দেয়।আগে হয়ত তালাক চেয়েছে।এরপর হয়ত ভাল কথা বলেছে।এরপর যদি আবার কেনায়া,সূচক কথা বলে তালাকের উদ্দেশ্যে ছাড়া তাহলে কি তালাক হবে? তালাকের মজলিস এসএমএসে কিভাবে হয়?

৮।হুজুর আমি কি করব বুঝতেছি না।আমাদের আগে ঝগড়া হত বেশি।এস এম এসে কথা হয়ত আমাদের।আমার সব কথা মনে পড়ে না।বার বার   মনে হয় কেনায়া বাক্য বলেছে,কিন্তু স্পষ্ট মনে পড়ে না কিছু।স্বামীও বার বার  বলতেছে তালাকের নিয়ত ছিল না।মজলিস ছিল কিনাও মনে পড়ে না।সারাদিন এগুলো ভাবতে ভাবতে আমি অস্তির হয়ে যাচ্ছি।কিছু কিছু মনে পড়লেও কখন বলছে,আদৌ বলেছে কিনা,কি বলেছে মনে করতে পারি না।ওল্টা পাল্টা  মনে পড়ে।বার বার মনে হয় ওটা বলেছে।কিন্তু স্পষ্ট মনে করতে পারি না।এভাবে কি আমার সংংসার ভেংগে দেওয়া উচিত?আসলে বিয়ের অনেক বছর আগে থেকে আমাদের পরিচয়।বিয়ে হয়েছে একবছর।কথাগুলো বললেও কখন বলেছে মনে করতে পারি না।কি করব বুঝতেছি না।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

আরো জানুনঃ  

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,

(০১)
উল্লেখিত ছুরতে তালাক পতিত হবেনা।

(০২)
এতে তালাক হবেনা।

(০৩)
তালাক হবেনা।

(০৪)
স্ত্রীর এহেন কথায় কোনো তালাক হবেনা।

(০৫)
এতে তাদের বিবাহে কোনো সমস্যা নেই।
বিবাহ পূর্বক এমন কথায় কোনো সমস্যা হবেনা।    

(০৬)
তালাকের নিয়ত না থাকায় এতে তালাক হবেনা।

(০৭)
উল্লেখিত ছুরতে তালাকের মজলিস হবেনা।
তবে এস এম এস এর ছুরতে স্ত্রীর তালাক চাওয়ার প্রেক্ষিতে পরপরই কেনায়া তালাক সূচক কোনো বাক্য স্বামী বললে তালাক হয়ে যাবে।
,
(০৮)
আপনাদের বিবাহ সম্পর্ক বহাল রয়েছে।
আল্লাহর উপর ভরসা করে নিশ্চিন্তে থাকুন।
তালাক সংক্রান্ত কোনো কথাবার্তা বলবেননা,স্বামীও যেনো স্পষ্ট বা অস্পষ্ট কোনো তালাকের বাক্য মা বলে,সেটি বলে দিবেন।
এ সংক্রান্ত ওয়াসওয়াসায় ভুগবেননা।        

আরো পরামর্শ পেতে স্থানীয় কোনো মাদ্রাসার দারুল ইফতায় যোগাযোগ করতে পারেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...