বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মাযহাব হল,কবিরা গুনাহ মানুষকে ঈমান থেকে খারিজ করে না।অর্থাৎ কেউ কোনো গোনাহ করলেও সে কাফির হবে না।
তাদের দলীল হল,
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : ( أَتَانِي آتٍ مِنْ رَبِّي فَأَخْبَرَنِي - أَوْ قَالَ : بَشَّرَنِي - أَنَّهُ مَنْ مَاتَ مِنْ أُمَّتِي لاَ يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا دَخَلَ الْجَنَّةَ ) . قُلْتُ : وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ ؟ قَالَ : ( وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,আমার কাছে রবের পক্ষ্য থেকে সংবাদ এসেছে,যে ব্যক্তি এমতাবস্থায় মারা যাবে যে,সে আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না,সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।আবু যর রাযি বলেন,আমি বললাম,ইয়া রাসূলাল্লাহ!যদিও সে চুরি করে বা যিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হয়।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,হ্যা, যদিও সে চুরি করুক বা যিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হেক।(সহীহ মুসলিম-৯৪)
মু'তাযিলা এবং খারেজী ফিরকাহর মতে কবিরা গোনাহকারী ব্যক্তির ঈমান থাকবে না।তাদের কেউ কেউ মধ্যবর্তী স্থান নির্ধারণ করে থাকেন।
ইমাম আবু-হানিফা রাহ এর উস্তাদগণের ভিন্ন মত থাকতে পারে।কিন্তু হানাফি মাযহাব সহ আহলে সুন্নত ওয়াল মাযহাবের সিদ্ধান্ত তাই যা আমরা ইতিপূর্বে আলোচনা করলাম।আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের অনুসারীদের কেউ কেউ যদি কবিরাহ গোনাহকে ঈমানের প্রতিবন্ধক মনে করেন,সেজন্য জুমহুর আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের মূলনীতিতে কোনো সমস্যা হবে না।তখন তাদের দু একজনের বক্তব্যকে সায হিসেবে বিবেচনা করা হবে।