সুন্নত নামাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত।
হাদিসে এর প্রভূত ফজিলত বর্ণিত হয়েছে, যা অন্য সুন্নতের ক্ষেত্রে হয়নি।
شرح مشكل الآثار (10/ 320،321)
'' عن عائشة رضي الله عنها قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " ركعتا الفجر خير من الدنيا وما فيها۔
রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম।’ (মুসলিম, হাদিস : ৭২৫)।
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " لا تتركوا ركعتي الفجر وإن طردتكم الخيل۔ "
مصنف عبد الرزاق الصنعاني (2/ 444)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘শত্রুবাহিনী তোমাদের তাড়া করলেও তোমরা এই দুই রাকাত কখনো ত্যাগ কোরো না।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১২৫৮)।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
মসজিদে গিয়ে যদি দেখা যায় জামা'আত দাড়িয়ে গিয়েছে ,তাহলে দেখতে হবে যে
যদি ইমামের সাথে শেষ বৈঠকে শরীক হওয়ার আশা থাকে,তাহলে এক্ষেত্রে আগে সুন্নাত পড়বে,তারপর জামা'আতে শরিক হবে ।
,
যদি শেষ বৈঠকে শরীক হওয়ার আশা না থাকে,
বরং জামা'আত শেষ হওয়ার আশংকা থাকে,তাহলে আগে সুন্নাত পড়বেনা।
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 377)
''(وكذا يكره تطوع عند إقامة صلاة مكتوبة) أي إقامة إمام مذهبه ؛ لحديث: «إذا أقيمت الصلاة فلا صلاة إلا المكتوبة» (إلا سنة فجر إن لم يخف فوت جماعتها) ولو بإدراك تشهدها، فإن خاف تركها أصلاً۔
সারমর্মঃ
ফরজ নামাজের জামা'আত দাড়িয়ে গেলে নফল ইত্যাদি পড়া মাকরুহ।
তবে ফজরের সুন্নাত,যদি জামা'আত ছুটে যাওয়ার ভয় না থাকে।
যদিও তাশাহুদে এসে ইমামকে পাওয়ার আশা রাখুক,,,
আরো জানুনঃ
,
এক্ষেত্রে যদি সুন্নাত আদায় করা সম্ভব না হয়,তাহলে কাজা আদায় করবেন।
ফজরের সুন্নাত কাযা হয়ে গেলে সূর্য উদিত হওয়ার পর থেকে নিয়ে জোহরের ওয়াক্তের আগ পর্যন্ত (নিষিদ্ধ ওয়াক্ত ব্যাতিত) পড়া যাবে।
এর পরও যদি পড়া না হয়,তাহলে আর সেটার কাযা আদায় করার সুযোগ নেই।
(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/১১২)
হাদীস শরীফে এসেছে
وفى جامع الترمذى- عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من لم يصل ركعتي الفجرفليصلهمابعد ما تطلع الشمس (جامع الترمذى-أبواب الصلاةعن رسول الله صلى الله عليه وسلم، باب ماجاءفي إعادتهمابعدطلوع الشمس،رقم-423)
অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত যে, নবীজি সা: বলেন-যে ফজরের দুই রাকআত সুন্নত (সময়মতো) পড়ল না সে যেন সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করে। ( জামে তিরমিজী-১/৯৬)
আরো জানুনঃ
তবে কিছু ইসলামী স্কলারগন বলেন যে এমতাবস্থায় তায়াম্মুম করে নামাজ পড়ে পরবর্তীতে আবার অযু করে উক্ত নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
কেহ কেহ বলেছেন যে ওয়াক্তিয়া নামাজ ছুটে যাওয়ার ভয়ে তায়াম্মুম করা যাবে,তবে সতর্কতা হলো তায়াম্মুম করে নামাজ পড়ে অতঃপর অযু করে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করা।