আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
257 views
in সালাত(Prayer) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
১ ফজরের নামাজের সময় মসজিদে গিয়ে যদি দেখি জামাত শুরু হয়ে গেছে তখন জামাতে দাঁড়িয়ে গেলে এবং জামাত শেষে সুন্নাত আদায় করলে হবে? এমতাবস্থায় করনীয় কি? জামাত চলাকালীন সময়ে ইমাম সাহেবের তিলাওয়াত একদিকে হলে আর আমি আরেকদিকে নামাজ পড়লে নামাজে সমস্যা হয়।
২ নামাজের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে এমন হলে আর মোটরে পানি শেষ হয়ে গেলে তায়াম্মুমের দ্বারা নামাজ আদায় করা যাবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
সুন্নত নামাজের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ফজরের দুই রাকাত সুন্নত। 

হাদিসে এর প্রভূত ফজিলত বর্ণিত হয়েছে, যা অন্য সুন্নতের ক্ষেত্রে হয়নি।

شرح مشكل الآثار (10/ 320،321)
'' عن عائشة رضي الله عنها قالت: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " ركعتا الفجر خير من الدنيا وما فيها۔

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) দুনিয়া ও দুনিয়ার মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম।’ (মুসলিম, হাদিস : ৭২৫)।

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " لا تتركوا ركعتي الفجر وإن طردتكم الخيل۔ "
مصنف عبد الرزاق الصنعاني (2/ 444)

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘শত্রুবাহিনী তোমাদের তাড়া করলেও তোমরা এই দুই রাকাত কখনো ত্যাগ কোরো না।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১২৫৮)।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
মসজিদে গিয়ে যদি দেখা যায় জামা'আত দাড়িয়ে গিয়েছে ,তাহলে দেখতে হবে যে 
যদি ইমামের সাথে শেষ বৈঠকে শরীক হওয়ার আশা থাকে,তাহলে এক্ষেত্রে আগে সুন্নাত পড়বে,তারপর জামা'আতে শরিক হবে । 
,
যদি শেষ বৈঠকে শরীক হওয়ার আশা না থাকে,
বরং জামা'আত শেষ হওয়ার আশংকা থাকে,তাহলে আগে সুন্নাত পড়বেনা।  

الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 377)
''(وكذا يكره تطوع عند إقامة صلاة مكتوبة) أي إقامة إمام مذهبه ؛ لحديث: «إذا أقيمت الصلاة فلا صلاة إلا المكتوبة» (إلا سنة فجر إن لم يخف فوت جماعتها) ولو بإدراك تشهدها، فإن خاف تركها أصلاً۔
সারমর্মঃ
ফরজ নামাজের জামা'আত দাড়িয়ে গেলে নফল ইত্যাদি পড়া মাকরুহ।
তবে ফজরের সুন্নাত,যদি জামা'আত ছুটে যাওয়ার ভয় না থাকে।
যদিও তাশাহুদে এসে ইমামকে পাওয়ার আশা রাখুক,,,  

আরো জানুনঃ 
,
এক্ষেত্রে যদি সুন্নাত আদায় করা সম্ভব না হয়,তাহলে কাজা আদায় করবেন।

ফজরের সুন্নাত কাযা হয়ে গেলে সূর্য উদিত হওয়ার পর থেকে নিয়ে জোহরের ওয়াক্তের আগ পর্যন্ত (নিষিদ্ধ ওয়াক্ত ব্যাতিত) পড়া যাবে।  
এর পরও যদি পড়া না হয়,তাহলে আর সেটার কাযা আদায় করার সুযোগ নেই।
(ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী ১/১১২)

হাদীস শরীফে এসেছে    

وفى جامع الترمذى- عن أبي هريرة قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من لم يصل ركعتي الفجرفليصلهمابعد ما تطلع الشمس (جامع الترمذى-أبواب الصلاةعن رسول الله صلى الله عليه وسلم، باب ماجاءفي إعادتهمابعدطلوع الشمس،رقم-423)

অনুবাদ-হযরত আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত যে, নবীজি সা: বলেন-যে ফজরের দুই রাকআত সুন্নত (সময়মতো) পড়ল না সে যেন সূর্যোদয়ের পর তা আদায় করে। ( জামে তিরমিজী-১/৯৬)

আরো জানুনঃ

(০২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে তায়াম্মুমের সুযোগ নেই।
যেকোনো ভাবে পানির ব্যবস্থা করে অযু করতে হবে।
প্রয়োজনে নামাজ কাজা হয়ে গেলে কাজা আদায় করতে হবে।
তবে কিছু ইসলামী স্কলারগন বলেন যে এমতাবস্থায় তায়াম্মুম করে নামাজ পড়ে পরবর্তীতে আবার অযু করে উক্ত নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
সুতরাং এই মতটির উপরেও আমল করা যায়।

در مختار، باب التیمم، (1/246) ط: سعید)  :
"(لا) یتیمم (لفوت جمعة ووقت) ولو وتراً؛ لفواتها إلی بدل. وقیل: یتیمم لفوات الوقت. قال الحلبي: فالأحوط أن یتیمم ویصلي، ثم یعیده".
সারমর্মঃ
জুম'আ এবং ওয়াক্তিয়া নামাজ ছুটে যাওয়ার আশংকায় তায়াম্মুম করবেনা।
যদিও বিতর নামাজ হোক।
কেননা এর বদল রয়েছে।
কেহ কেহ বলেছেন যে ওয়াক্তিয়া নামাজ ছুটে যাওয়ার ভয়ে তায়াম্মুম করা যাবে,তবে সতর্কতা হলো তায়াম্মুম করে নামাজ পড়ে অতঃপর  অযু করে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করা।      


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...