আসসালামু আলাইকুম, হুজুর আমি তালাকের ওয়াসওয়াসায় ভুগছি কিছুদিন যাবত। তাই প্রশ্নগুলো করা।
১। কেউ যদি শুধু ঠোঁট নাড়িয়ে কিছু বলে তালাকের ব্যাপারে এমন কিছু যেটা জোড়ে বললে তালাক হতে পারতো, কিন্তু সে কোন শব্দ না করে বা নিজের কানে না শুনে তাহলে কি তালাক হবে?
২। একদিন আমি আমার স্বামীকে রাগ করে বলি, " আমাকে যদি ভালো না লাগে তাহলে তালাক দিয়ে দেউ তাহলেই তো হয়,।" এই কথার পর সে খুবই কষ্ট পায় এবং বলে যে, "ছিঃ কিভাবে এই কথা বললা তুমি??? বলতে পারলা কথা টা? তুমি আমার জন্য হারাম হয়ে গেছ আজকে থেকে।" এই কথাটা সে আমার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে বলেছিল। কারন সে আমার কাছে এই কথা আশা করেনি। আমি কেন তালাক দিতে বললাম সেজন্য এই কথাটা কে ঘৃণা করে বলে যে আমি হারাম৷ এইখানে এই কথার মাধ্যমে সে আমাকে তালাক দিতে চায়নি। বা তালাকের ইচ্ছাও বুঝায়নি।সে আমার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছে কেন আমি ওই কথাটা বললাম। কিন্তু অই কথা বলা বা তালাকের চাইলে তো কেউ হারাম হয়ে যায় না। আর সে জানতো না এইসব কথার মাধ্যমেও তালাক দেওয়া যায়, আমিও জানতাম না। তারপর সে আবার বলে," তুমি তালাকের কথা বললা না? তালাক তো একজন দিলেই হয়, আমি দিবো না, তুমিই সিগনেচার করে পাঠিয়ে দিও পরে আমি দিয়ে দিবো নে।" কথাগুলো অভিমান করে বলা হয়েছিল। কিছুক্ষণ পরেই সব ঠিক হয়ে যায় এবং কথাগুলো হয় মেসেজের মাধ্যমে। আমি ২ জন মুফতির সাথে সরাসরি ফোনে কথা বলেছি এই বিষয় টা নিয়ে, ঊনারা বলেছেন তালাক হবে না, তাও আমি আপনাদের কাছে জানতে চাচ্ছি এই কথার মাধ্যমে কি তালাক পতিত হবে?? দয়া করে উত্তর দিবেন।
৩। আমি তালাক নিয়ে গুগলে সার্চ করতে গিয়ে সুস্পষ্ট তালাকের শব্দ লিখেছিলাম। কিন্তু শব্দটা লিখার সময় মনে হলো আবার তালাকের নিয়ত করে ফেললাম নাতো? আমি নিজের উপর নেওয়ার জন্য কোনো নিয়ত করিনি বা চিন্তাও করিনি এইটুকু মনে আছে। আমিতো নিজের উপর নেইনি, শুধু মনে হয়েছে তাকে দিয়ে ফেললাম না কি? ।কিন্তু মেয়েরাতো তালাকের দিতে পারে না, নিতে পারে। সার্চ করতে গিয়ে সুস্পষ্ট তালাকের শব্দ লিখার সময় স্বামীর কথা মনে হয়েছিল আর ভয় হয়েছিল।আমার ভয় হচ্ছিল লিখলেই সমস্যা হয়ে যাবে। এমন ভয় মনে আসছিল। তাও মনে সাহস নিয়ে লিখেছি। লিখার পরেই সন্দেহ হয় তা*** হয়ে গেলো নাতো??? আমার মনে বিন্দু পরিমান ইচ্ছা ছিল না, আমি জানতাম শয়তান আমার মনে এই কথা এনেছে তাই ভাবলাম কিছু হবে না লিখে ফেলি। লিখার সাথে সাথে আবার ভয় হতে থাকে কিছু হলো নাতো?? ।আমিতো শব্দটা লিখার সময় নিজের উপর নেইনি বা নিজের নফসের উপর নেইনি এইটুকু মনে আছে৷ এখন প্রশ্ন হচ্ছে নিজের নফসের ঊপর না নিয়েও অন্য কোনোভাবেও তালাকের পতিত হয় কিনা স্ত্রীর মাধ্যমে?? শব্দটা লিখার সময় আমার স্বামীর কথা মনে চলে আসায় কি তা*** পতিত হয়ে যাবে? আমি শুধু ভয় পেয়েছি লিখার সময় যে আমার মনে এমন কোনো নিয়ত চলে আসলো কিনা। কোনো স্ত্রী যদি অন্য কারনে সুস্পষ্ট তালাকের শব্দ লিখার সময় ভেবে ফেলে তার সাথে তার সামীর তা**** হয়ে যাবে তাহলে কি তা**** পতিত হয়ে যাবে? স্ত্রী নিজের নফসের উপর নেয়নি।
(******) এইটা দিয়ে আমি সুস্পষ্ট তালাকের শব্দকে বুঝিয়েছি। লিখিনি যদি আবার সন্দেহ হয় তাই।