আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
254 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম

হুজুর মেহেরবানী করে বিরক্ত না হয়ে পুরোটো পরবেন আমার সঠিক মাসআলা জানা অতিব জরুরি

হুজুর তালাকের অধিকার প্রাপ্ত কোনো স্ত্রী যদি কেনায়া তালাক সম্পর্কে কোনো কিছুই না জেনে থাকে ঐ স্ত্রী  চায় তাদের মাঝ  যেন  তালাক হোক পারিবারিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে স্বামী যেন তালাক দিয়ে দেই এরকম কিছু ঐ স্ত্রী যদি ঝগড়ার সময় কেনায়া বাক্য যেমন " এই বিয়ে খালাস করলাম, আপনি হারাম "বলে কিন্তু এ বাক্য দ্বারা নিজের উপর তালাক নিচ্ছে এমন কোনো নিয়ত করে নাই কারন সে এভাবে ও যে তালাক হয় তা জানত না স্ত্রীর ক্ষমতা থাকলে  নিজেকে তালাক দিতে পার এটাও জানত না এবং তার যে ক্ষমতা আছে এটাও জানত না

1. এই বিবরন মতে কী তালাক হবে

2. কেনায়া তালাক সম্পর্কে না জানলে তো নিয়ত নাই বলে ধরা হবে

3. হুজুর আমার খুব ওয়াস ওয়াসা যেকোন বিষয়ে কিন্তু যখন উপরোক্ত ঘটনা ঘটে তখন তালাক সংক্রান্ত ওয়াসওয়াসা ছিল না এখন যখন জানতে পেরেছি আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি সারাক্ষন কান্নাকাটি করি আমার বিবেক বুদ্ধি লোপ পেয়েছে আমার বারবার মনে হয় যেন আমি মরে যাই নতুবা একবারে যেন তালাক হয় যায় তাহলে সব টেনশন শেষ আপনি প্লিজ বিরক্ত হয়েন না আমাকে সাহায্য করুন কেনায়া ও তালাকের অধিকার সম্পর্কে জানার পর পুরোপুরি পাগলের কাতারে চলে যাচ্ছি সারক্ষন বিরবির করি নিজেকে তালাক দিলাম মুক্ত হলাম আমি অনেকবার ইস্তেখারা পরছি কিন্তু ইস্তখারা পরার বাজ স্বপ্ন দেখি মনের সন্দেহ বেড় যায় স্বামীও অনেক বার   ইস্তেখারা পরছে তিনি কোনো স্বপ্ন দেখেনি তবে তিনি নামাজ পড়ার পর হতে আমাদের দুজনের  মাঝে মিল মহব্বত আলহামদুলিল্লাহ অনেক বেড়ে গেছে আমাদের অন্তর একে অপরের প্রতি ঝুকে গেছে আরো বেশি যে বিষয়গুলোর জন্য আগে আমাদের মাঝ কথা কাটাকাটি হতো এখন সেসব বিষয় ঘটলেও কোনো কথা কাটাকাটি হয়না  তিনি অনেক বার এই নামায পড়েছেন কিন্তু একবার শুধু স্বপ্ন দেখছেন তার অন্য কোথাও বিয়ে হচ্ছ এবং  যেদিন স্বপ্ন দেখছেন ওদিন বাড়িতে একজনের বিয় হইছিল বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে আসার পর রাতে ইস্তেখারা নামাজ পড়ে যখন ঘুমান তখন এ স্বপ্ন দেখেন এখন বুঝতে পারছিনা এটা কী আল্লাহর তরফ ইশারা নাকি অন্য কিছু

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।
এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।
,  
সুতরাং স্বামী যদি স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা প্রদান করে,আর স্ত্রী স্বামী কর্তৃক তালাকে তাভবিজের ক্ষমতাবলে লিখিত বা মৌখিকভাবে নিজের নফসের উপর তালাক দিয়ে দিলে সেটি পতিত হয়ে যাবে।

আরো জানুনঃ 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
قال لھا: طلقي نفسک ولم ینو أو نوی واحدة فطلقت وقعت رجعیة الخ (الدر المختار مع رد المحتار، کتاب الطلاق، باب الأمر بالید، ۴: ۵۷۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
সারমর্মঃ
কেহ যদি তার স্ত্রীকে বলে,তুমি তোমার নিজের নফসকে তালাক দাও,কোনো নিয়ত না করে,অথবা এক তালাকের নিয়ত করে,অতঃপর স্ত্রী তালাক দেয়,তাহলে এক তালাকে রজয়ী পতিত হবে।     

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(০২)
ঢালাওভাবে এমনটি বলা যাবেনা।

বিষয়টি না জানলেও অনেকে তালাকের নিয়তে কেনায়া জাতীয় বাক্য বলে থাকে।
সেক্ষেত্রে তালাক প্রদানের নিয়তে বললে তালাক হবে। 

(০৩)
এক্ষেত্রে আপনি নিশ্চিত থাকুন,তালাক হবেনা।

উপরোক্ত স্বপ্ন আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
আপনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন।

আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক অটুট থাকবে,ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...