আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
743 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (34 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম, হুজুর আমি তালাকের ওয়াসওয়াসায় ভুগছি কিছুদিন যাবত। তাই প্রশ্নগুলো করা।

১। কেউ যদি শুধু ঠোঁট নাড়িয়ে কিছু বলে তালাকের ব্যাপারে এমন কিছু যেটা জোড়ে বললে তালাক হতে পারতো, কিন্তু সে কোন শব্দ না করে বা নিজের কানে না শুনে তাহলে কি তালাক হবে?

২। একদিন আমি আমার স্বামীকে রাগ করে বলি, " আমাকে যদি ভালো না লাগে তাহলে তালাক দিয়ে দেউ তাহলেই তো হয়,।" এই কথার পর সে খুবই কষ্ট পায় এবং বলে যে, "ছিঃ কিভাবে এই কথা বললা তুমি??? বলতে পারলা কথা টা?  তুমি আমার জন্য হারাম হয়ে গেছ আজকে থেকে।" এই কথাটা সে আমার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে বলেছিল। কারন সে আমার কাছে এই কথা আশা করেনি। আমি কেন তালাক দিতে বললাম সেজন্য  এই কথাটা কে ঘৃণা করে  বলে যে আমি হারাম৷ এইখানে এই কথার মাধ্যমে সে আমাকে তালাক দিতে চায়নি। বা তালাকের ইচ্ছাও বুঝায়নি।সে আমার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছে কেন আমি ওই কথাটা বললাম। কিন্তু অই কথা বলা বা তালাকের চাইলে তো কেউ হারাম হয়ে যায় না।  আর সে জানতো না এইসব কথার মাধ্যমেও তালাক দেওয়া যায়, আমিও জানতাম না। তারপর সে আবার বলে," তুমি তালাকের কথা বললা না? তালাক তো একজন দিলেই হয়, আমি দিবো না, তুমিই সিগনেচার করে পাঠিয়ে দিও পরে আমি দিয়ে দিবো নে।" কথাগুলো অভিমান করে বলা হয়েছিল। কিছুক্ষণ পরেই সব ঠিক হয়ে যায় এবং কথাগুলো হয় মেসেজের মাধ্যমে।  আমি ২ জন মুফতির সাথে সরাসরি ফোনে কথা বলেছি এই বিষয় টা নিয়ে, ঊনারা বলেছেন তালাক হবে না, তাও আমি আপনাদের কাছে জানতে চাচ্ছি  এই কথার মাধ্যমে কি তালাক পতিত হবে??  দয়া করে উত্তর দিবেন।

৩। আমি তালাক নিয়ে গুগলে সার্চ করতে  গিয়ে সুস্পষ্ট  তালাকের শব্দ  লিখেছিলাম। কিন্তু শব্দটা লিখার সময় মনে হলো আবার তালাকের নিয়ত করে ফেললাম নাতো?  আমি নিজের উপর নেওয়ার জন্য কোনো নিয়ত করিনি বা চিন্তাও করিনি এইটুকু মনে আছে।  আমিতো নিজের উপর নেইনি,  শুধু মনে হয়েছে তাকে দিয়ে ফেললাম না কি? ।কিন্তু মেয়েরাতো তালাকের দিতে পারে না,  নিতে পারে। সার্চ করতে গিয়ে সুস্পষ্ট তালাকের শব্দ  লিখার সময় স্বামীর কথা মনে হয়েছিল আর ভয় হয়েছিল।আমার ভয় হচ্ছিল লিখলেই সমস্যা হয়ে যাবে। এমন ভয় মনে আসছিল। তাও মনে সাহস নিয়ে লিখেছি। লিখার পরেই সন্দেহ হয় তা*** হয়ে গেলো নাতো??? আমার মনে বিন্দু পরিমান ইচ্ছা ছিল না,  আমি জানতাম শয়তান আমার মনে এই কথা এনেছে তাই ভাবলাম কিছু হবে না লিখে ফেলি।  লিখার সাথে সাথে আবার ভয় হতে থাকে কিছু হলো নাতো?? ।আমিতো শব্দটা লিখার সময়  নিজের উপর নেইনি বা নিজের নফসের উপর নেইনি এইটুকু মনে আছে৷ এখন প্রশ্ন হচ্ছে নিজের নফসের ঊপর না নিয়েও অন্য কোনোভাবেও তালাকের পতিত হয় কিনা স্ত্রীর মাধ্যমে?? শব্দটা লিখার সময় আমার স্বামীর কথা মনে চলে আসায় কি তা*** পতিত হয়ে যাবে? আমি শুধু ভয় পেয়েছি লিখার সময় যে আমার মনে এমন কোনো নিয়ত চলে আসলো কিনা। কোনো স্ত্রী যদি অন্য কারনে সুস্পষ্ট তালাকের শব্দ লিখার সময় ভেবে ফেলে তার সাথে তার সামীর তা**** হয়ে যাবে তাহলে কি তা**** পতিত হয়ে যাবে? স্ত্রী নিজের নফসের উপর নেয়নি।
(******) এইটা দিয়ে আমি সুস্পষ্ট তালাকের শব্দকে বুঝিয়েছি। লিখিনি যদি আবার সন্দেহ হয় তাই।

1 Answer

0 votes
by (598,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
তালাকের ওয়াসওয়াসা আসলে মাথা নাড়ালে তালাক পতিত হবে না।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু শব্দ হয়নি বা কান দ্বারা শ্রবণ করা যায়নি, তাই তালাক পতিত হবে না।

(২)
তালাক হবে না।ঐ দুই মুফতি সাহেবের কথা ঠিকই আছে।

(৩)
এই রকম সন্দেহ দ্বারা তালাক পতিত হবে না। তালাক নিয়ে সন্দেহ মূলত শয়তানের পক্ষ্য থেকে ওয়াসওয়াসা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (598,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by (34 points)
ধন্যবাদ হুজুর। আল্লাহ আপনার ভালো করুক। আমিন। আমি ওয়াসওয়াসা নিয়ে খুবই পেরেশানিতে আছি। কোনকিছুই ভালোভাবে করতে পারিনা। 
আমি সার্চ করার সময় লিখতে চেয়েছিলাম যে,"তালাকের সন্দেহ করলে তা**** পতিত হয় কিনা" কিন্তু আমি লিখার সময় সম্পূর্ণ বাক্যটা লিখিনি শুধু লিখেছি "তালাকের সন্দেহ করলে তা****....  এইটুকু লিখে আমি পতিত হবে কিনা লিখি নি। না লিখেই কেটে দেই লিখা টা সার্চ করিনি৷ কিন্তু সম্পূর্ণ কথাটা না লিখে অর্ধেক লিখার কারনে কি কথাটার অন্য অর্থ হয়ে যাবে??? মানে এমন কোন শর্ত হয়ে যাবে যে, " তালাকের সন্দেহ করলে তা**** পতিত হবে এমন?? । আমার তো শর্ত দেওয়ার কোন ইচ্ছা ছিল না বা নিয়ত ও ছিল না। আমি লিখতে গিয়ে কেটে দিয়েছি কথাটা তখন ভাবিনি এমন কিছু হতে পারে কিনা। আবার সন্দেহ হচ্ছে আমি পুরো বাক্যটাই লিখেছি তারপর কেটেছি। একেকবার একেক্টা মনে হচ্ছে। কোন সমস্যা হবে কি? দয়া করে বলতেন যদি। 
by (598,140 points)
সম্পূর্ণ না লিখলেও আমি বুঝে নিয়েছি।সুতরাং যা লিখেছি, সেই আলোকেই আপনি বলবেন।
by (34 points)
edited by
১।অপরাধ মাফ করবেন হুজুর। গুগলে সার্চ করার জন্য লিখেছিলাম,  আপনার কাছে লিখার সময়না।  কিন্তু পুরো বাক্যটা লিখিনি, অর্ধেক লিখে কেটে দিয়েছিলাম মনে হচ্ছে। লিখতে চেয়েছিলাম "তালাকের সন্দেহ করলে তা*** হয় কিনা?" কিন্তু এই বাক্যটা আমি পুরো লিখিনি শুধু লিখেছি যে," তালাকের সন্দেহ করলে তা***.......  তারপর আর পতিত হবে কিনা এই কথা টা লিখিনি.। প্রশ্ন হচ্ছে অর্ধেক লিখার কারণে কোন সমস্যা হবে কিনা? অর্ধেক বাক্যটা কোন শর্ত হয়ে যাবে কিনা?? আমিতো শর্ত দেওয়ার নিয়তে বলিনি। সন্দেহ হচ্ছে অর্ধেক লিখেছিলাম নাকি পুরোটাই লিখেছিলাম।  একবার মনে হচ্ছে অর্ধেক লিখেছি আবার মনে হচ্ছে পুরোটাই লিখেছি। 

২।হুজুর আপনার কাছে লিখলাম যে অর্ধেক বাক্যটা সেটা আপনার কাছে লিখার জন্য কোন সমস্যা হবে নাতো?  মানে আমিতো ওইসময়ের সন্দেহের কথাই বলেছি কোন নিয়ত করে লিখিনি। নিয়ত ছাড়া লিখলে কি সমস্যা হবে? 
 
দয়া করে উত্তর দেন হুজুর। আপনার কাছে অর্ধেক বাক্যটা লিখে আবার ভয় হচ্ছে আমি কি মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিয়ে ফেললাম নাকি? কারন সেসময় আমি অর্ধেক লিখেছি নাকি পুরোটা লিখেছি এইটা আমি সিউর না। সন্দেহ হচ্ছে। এখন ১ম লিখার সময় অর্ধেক না লিখেও বললাম যে অর্ধেক লিখেছিলাম, এজন্য সমস্যা হবে না তো?
by (598,140 points)
অর্ধেক লিখার কারণে কোনো সমস্যা হবে না।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...