বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/22779 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
স্বামীর পক্ষ থেকে যে তালাক দেয়া হয় সেটাকে তালাক বলা হয়।
আর স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামী বা কাযী সাহেব কিংবা উনার স্থলাভিষিক্ত কারো নিকট তালাক চাওয়ার ভিত্তিতে মালের বিনিময়ে যে বিবাহ বিচ্ছেদ করা হয়, তাকে খুলা বলে।
যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
إزَالَةُ مِلْكِ النِّكَاحِ بِبَدَلٍ بِلَفْظِ الْخُلْعِ كَذَا فِي فَتْحِ الْقَدِيرِ وَقَدْ يَصِحُّ بِلَفْظِ الْبَيْعِ وَالشِّرَاءِ وَقَدْ يَكُونُ بِالْفَارِسِيَّةِ كَذَا فِي الظَّهِيرِيَّةِ..............
.......(وَحُكْمُهُ) وُقُوعُ الطَّلَاقِ الْبَائِنِ كَذَا فِي التَّبْيِينِ.
وَتَصِحُّ نِيَّةُ الثَّلَاثِ فِيهِ.
وَلَوْ تَزَوَّجَهَا مِرَارًا وَخَلَعَهَا فِي كُلِّ عَقْدٍ عِنْدَنَا لَا يَحِلُّ لَهُ نِكَاحُهَا بَعْدَ الثَّلَاثِ قَبْلَ الزَّوْجِ الثَّانِي كَذَا فِي شَرْحِ الْجَامِعِ الصَّغِيرِ لِقَاضِي خَانْ
খুলার সজ্ঞাঃ
খুলা(বা তার সমার্থক) শব্দাবলী দ্বারা মালের বিনিময়ে বিবাহ বিচ্ছেদ করাকে খুলা বলে।
খুলা 'ক্রয়-বিক্রয় ' শব্দ দ্বারাও সংগঠিত হতে পারবে।কখনো ফারসি শব্দাবলী দ্বারাও সংগঠিত হবে।(যাহিরিয়্যাহ)
খুলার হুকুম হলঃ
খুলা করার দ্বারা বায়িন তালাক পতিত হয়।সাধারণত এক তালাকে বাইনই পতিত হবে,তবে তাতে তিন তালাকের নিয়্যাত ও বিশুদ্ধ হবে।
যদি কেউ কোনো মহিলাকে বারবার বিয়ে করে।এবং প্রত্যেকবারই বিয়ের করার পর খুলা করে নেয়।তাহলে ঐ স্বামীর জন্য উক্ত খুলাকৃত স্ত্রীকে তিনবার খুলার পর আর বিয়ে করতে পারবে না।
হ্যা তিনবার খুলা করার পর যদি উক্ত স্ত্রী অন্য স্বামীকে গ্রহণ করে অতঃপর ঐ দ্বিতীয় স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়,তাহলে ঐ মহিলা জন্য দ্বিতীয়বার প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া জায়েয।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৪৮৮)
অনুরূপ যদি স্বামী তিন প্রথমবার খুলা করার সময় তিন তালাকের নিয়্যাত করে তাহলে তিন তালাকে বাইন-ই পতিত হবে।
খুলা করার পর ইদ্দতের ভিতর বা বাহির যেকোনো সময় স্বামীর জন্য ঐ খুলাকৃত স্ত্রীকে আবার বিয়ে করা যায়েয।তবে এক্ষেত্র নতুন মহর এবং দুই সাক্ষী থাকা শর্ত।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সহবাস হারাম বা সহবাস করলে পাপ হবে, এমন সন্দেহের ভিত্তিতে মালের বিনিময়ে যে তালাক হবে, সেটাকে খুলা তালাক বলা হয়ে থাকে।এভাবে ৩ বার খুলা তালাক হওয়ার পর উক্ত স্বামী-স্ত্রী আর কখনো একত্রিত হতে পারবে না।বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে না। পরবর্তীতে সহবাস করলে পাপ হবে, এমন ধারণা বাতিল বা ফাসিদ প্রমাণিত হলেও তালাকের বিধানে কোনো পরিবর্তন আসবে না।