বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/1254 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻣَﺎ ﺃُﻣِﺮُﻭﺍ ﺇِﻟَّﺎ ﻟِﻴَﻌْﺒُﺪُﻭﺍ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻣُﺨْﻠِﺼِﻴﻦَ ﻟَﻪُ ﺍﻟﺪِّﻳﻦَ ﺣُﻨَﻔَﺎﺀ ﻭَﻳُﻘِﻴﻤُﻮﺍ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻭَﻳُﺆْﺗُﻮﺍ ﺍﻟﺰَّﻛَﺎﺓَ ﻭَﺫَﻟِﻚَ ﺩِﻳﻦُ ﺍﻟْﻘَﻴِّﻤَﺔِ
তাদেরকে এছাড়া কোন নির্দেশ করা হয়নি যে, তারা খাঁটি মনে একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর এবাদত করবে, নামায কায়েম করবে এবং যাকাত দেবে।এটাই সঠিক ধর্ম।
قَالَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -:انما الأعمال بالنيات ،
وَقَالَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -: «لَا عَمَل َلِمَنْ لَا نِيَّةَ لَه -
নিয়ত হচ্ছে, অন্তরের বিষয়।অন্তর দিয়ে নিয়ত করতে হয়।শুধুমাত্র মূখে উচ্ছারণ করাকে জরুরী মনে করা বিদআত। তবে অন্তরে যা রয়েছে সেটাকে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা যাবে। এবং অন্তরের ইচ্ছাকে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা সুন্নাত।
وَاعْلَمْ أَنَّ النِّيَّةَ لَا تَتَأَدَّى بِاللِّسَانِ؛ لِأَنَّهَا إرَادَةٌ وَالْإِرَادَةُ عَمَلُ الْقَلْبِ لَا عَمَلُ اللِّسَانِ؛ لِأَنَّ عَمَلَ اللِّسَانِ يُسَمَّى كَلَامًا لَا إرَادَةً إلَّا أَنَّ الذِّكْرَ بِاللِّسَانِ مَعَ عَمَلِ الْقَلْبِ سُنَّةٌ فَالْأَوْلَى أَنْ يَشْغَلَ قَلْبَهُ بِالنِّيَّةِ وَلِسَانَهُ بِالذِّكْرِ
প্রকাশ থাকে যে,নিয়ত জবান দ্বারা আদায় হয় না।কেননা নিয়ত হল, ইরাদা বা ইচ্ছার নাম।আর ইরাদা বা ইচ্ছা অন্তরের বিষয়।সেটা জবানের বিষয় না।কেননা জবান দ্বারা যা উচ্ছারিত হয়,সেটাকে 'কালাম' বলা হয়,ইরাদা বলা হয় না।হ্যা অন্তরের ইচ্ছার সাথে জবান দ্বারা উচ্ছারণ করা সুন্নাত।সুতরাং উত্তম হল,অন্তরে কাজের নিয়ত রাখা এবং সাথে সাথে জবান দ্বারা সেই নিয়তকে উচ্ছারণ করা।(আল জাওহারাতুন-নাইয়্যিরাহ-১/৪৮)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অর্থ সহ আরবী তে মুখস্থ থাকলে ভালো।আরবীতেই বলবেন।তবে অর্থ জানা না থাকলে, মনের কথাকে বাংলাতেই জবান দ্বারা উচ্ছারণ করে নিয়ত করে নিবেন।জাযাকুমুল্লাহ।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
নামায কার বিধান? কার জন্য নামায পড়া হচ্ছে? এটা কোন প্রকারের বিধান? এগুলো তো মনে মনে থাকতে হবে।সুতরাং "আল্লাহর নামে নামাজ শুরু করছি/আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে নামাজ শুরু করছি"
এমনটা বলা উচিৎ।তবে মনে না করলেও নামায ফাসিদ হবে না।বরং নামায পড়ছি, এমনটা নিয়ত করলেও যথেষ্ট হবে।
(২)
একাকি পড়ছেন না জামাতের সাথে পড়ছেন? যখন আপনি নামাযে দাড়াবেন,সেই দাড়ানোর পরিস্থিতিই ঘোষনা করবে যে,আপনি কি করছেন।সুতরাং মুখে বা মনে না নিলেও নামায হয়ে যাবে।
(৩)
জুম্মার দুই রাকাত ফরয পড়ছি।এমনটা নিয়তে রাখতে হবে।
(৪)
অজুতে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা জরুরী নয়।