আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
353 views
in সালাত(Prayer) by (58 points)
edited by
আচ্ছালামু আ'লাইকুম হুজুর,
১. তাকবীরে তাহরীমা কি?
২. সালাত শুরু করার জন্য প্রথম তাকবীর তাহরীমা ফরয। কিন্তু তাকবীরে তাহরীমার সময় যদি আল্লাহু আকবার বলা ওয়াজিব।এতে যদি অন্য কোনো শব্দ যেমন বিসমিল্লাহ বা অন্য কিছু বলি তাহলে কি ওয়াজিব ছুটে যাবে কিন্তু ফরয আদায় হবে বিষয়টা এমন?
৩. ফরয নামাজে দুরুদে ইব্রাহিম ছাড়া অন্য কোনো দুরূদ সুযোগ আছে কি?

৪. সালাতের ভিতরে সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর কুরআনের কিছু অংশ তিলাওয়াতের উদ্দেশ্য কি আবার সূরা ফাতিহা পড়া যাবে? যদি পড়ে ফেলে করণীয় কি?

৫. ফরয সালাতের প্রথম দুই রাকাত কিরাতের জন্য নির্ধারিত করা বলতে কি বুঝায়?

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
নামাজের মধ্যে যে কয়টি কাজ ফরজ রয়েছে,তার মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে তাকবিরে তাহরিমা।  তাকবিরে তাহরিমার মাধ্যমে নামাজের বাইরের সব ধরনের কাজ-কর্ম নিষিদ্ধ হয়ে যায়। 

তাকবিরে তাহরিমা বলা ফরজ।

আল্লাহ তাআলা বলেন,
 وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ

 অর্থাৎ তোমার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর (সুরা মুদদাসসির : আয়াত ৩)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَهَنَّادٌ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالُوا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الطُّهُورُ وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ "

আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পবিত্রতা নামাযের চাবি; তাকবীর তার (নামাযের বাইরের সকল হালাল কাজ) হারামকারী এবং সালাম তার (নামাযের বাইরের সকল হালাল কাজ) হালালকারী। —হুকুমঃ হাসান সহীহ। 
(তিরমিজি শরীফ ০৩,ইবনে মাজাহ– (২৭৫) 

তাকবিরে তাহরিমা হলো আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু করা।
এক্ষেত্রে হাত উঠানো সুন্নাত।
,
(০২)
যে শব্দগুলো আল্লাহ তায়ার বড়ত্ব,মহত্ব,সম্মান,তা'জিম বুঝায়,সেই শব্দ গুলিই ব্যবহার করতে হবে।
নতুবা তাকবিরে তাহরিমা হবেনা।

 ফুকাহায়ে কেরামগন বলেছেন,নিম্নোক্ত যেকোনো শব্দ বলে নামাজ শুরু করা যাবে।
    
  "اللہ اعظم"،"اللہ کبیر"،"الرحمن اکبر" ،"اللہ اکبر"

বিসমিল্লাহ বলে নামাজ শুরু করলে সেটি তাকবিরে তাহরিমা হিসেবে গণ্য হবেনা।
۔ (فتاوی عالمگیری 1/ 68۔ طحطاوی علی المراقی ص217۔ فتاوی شامی 1/453) 

(০৩)
হাদীসে বর্ণিত যেকোনো দরুদ পড়লে আদায় হয়ে যাবে।
তবে দরুদে ইবরাহীমি পাঠ করা উত্তম।
রাসুলুল্লাহ সাঃ নামাজে এই দরুদ পাঠ করেছেন।  

আরো জানুনঃ

(০৪)
এখানে অন্য সুরা মিলাইতে হবে।
বড় আয়াত হলে এক আয়াত,ছোট আয়াত হলে তিন আয়াত।
,
পুনরায় সুরা ফাতেহা পাঠ করলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে। 
,    
(০৫)
এর অর্থ হলো, ফরজ নামাজের প্রথম দুইরাকাতে সুরা ফাতেহা+অন্য সুরা মিলানো।
আর শেষ দু’ রাক‘আতে শুরু সূরা ফাতিহাহ্ পড়া।
এক্ষেত্রে অন্য সুরা মিলানোর বিধান নেই।
,
যদি কেহ ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে বা প্রথম দুই রাকাতের কোনো এক রাকাতে সুরা না মিলিয়ে শেষ দুই রাকাতে সুরা মিলায়,তাহলে নির্দিষ্ট স্থানে সুরা না মিলানোর কারনে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
  
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ فِي الأُولَيَيْنِ بِأُمِّ الْكِتَابِ وَسُورَتَيْنِ، وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُخْرَيَيْنِ بِأُمِّ الْكِتَابِ، وَيُسْمِعُنَا الآيَةَ، وَيُطَوِّلُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى مَا لاَ يُطَوِّلُ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ، وَهَكَذَا فِي الْعَصْرِ وَهَكَذَا فِي الصُّبْحِ.

আবূ কাতাদাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের প্রথম দু’রাক‘আতে সূরাহ্ আল-ফাতিহা ও দু’টি সূরাহ্ পড়তেন এবং শেষ দু’রাক‘আতে সূরাহ্ আল-ফাতিহা পাঠ করতেন এবং তিনি কোন কোন আয়াত আমাদের শোনাতেন, আর তিনি প্রথম রাক‘আতে যত দীর্ঘ করতেন, দ্বিতীয় রাক‘আতে তত দীর্ঘ করতেন না। ‘আসরে এবং ফজরেও এ রকম করতেন। (বুখারী শরীফ ৭৭৬.৭৫৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৪০)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...