জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নামাজের মধ্যে যে কয়টি কাজ ফরজ রয়েছে,তার মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে তাকবিরে তাহরিমা। তাকবিরে তাহরিমার মাধ্যমে নামাজের বাইরের সব ধরনের কাজ-কর্ম নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
তাকবিরে তাহরিমা বলা ফরজ।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ
অর্থাৎ তোমার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর (সুরা মুদদাসসির : আয়াত ৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَهَنَّادٌ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالُوا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الطُّهُورُ وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ "
আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পবিত্রতা নামাযের চাবি; তাকবীর তার (নামাযের বাইরের সকল হালাল কাজ) হারামকারী এবং সালাম তার (নামাযের বাইরের সকল হালাল কাজ) হালালকারী। —হুকুমঃ হাসান সহীহ।
(তিরমিজি শরীফ ০৩,ইবনে মাজাহ– (২৭৫)
★তাকবিরে তাহরিমা হলো আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু করা।
এক্ষেত্রে হাত উঠানো সুন্নাত।
,
(০২)
যে শব্দগুলো আল্লাহ তায়ার বড়ত্ব,মহত্ব,সম্মান,তা'জিম বুঝায়,সেই শব্দ গুলিই ব্যবহার করতে হবে।
নতুবা তাকবিরে তাহরিমা হবেনা।
ফুকাহায়ে কেরামগন বলেছেন,নিম্নোক্ত যেকোনো শব্দ বলে নামাজ শুরু করা যাবে।
"اللہ اعظم"،"اللہ کبیر"،"الرحمن اکبر" ،"اللہ اکبر"
বিসমিল্লাহ বলে নামাজ শুরু করলে সেটি তাকবিরে তাহরিমা হিসেবে গণ্য হবেনা।
۔ (فتاوی عالمگیری 1/ 68۔ طحطاوی علی المراقی ص217۔ فتاوی شامی 1/453)
(০৩)
হাদীসে বর্ণিত যেকোনো দরুদ পড়লে আদায় হয়ে যাবে।
তবে দরুদে ইবরাহীমি পাঠ করা উত্তম।
রাসুলুল্লাহ সাঃ নামাজে এই দরুদ পাঠ করেছেন।
আরো জানুনঃ
(০৪)
এখানে অন্য সুরা মিলাইতে হবে।
বড় আয়াত হলে এক আয়াত,ছোট আয়াত হলে তিন আয়াত।
,
পুনরায় সুরা ফাতেহা পাঠ করলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
,
(০৫)
এর অর্থ হলো, ফরজ নামাজের প্রথম দুইরাকাতে সুরা ফাতেহা+অন্য সুরা মিলানো।
আর শেষ দু’ রাক‘আতে শুরু সূরা ফাতিহাহ্ পড়া।
এক্ষেত্রে অন্য সুরা মিলানোর বিধান নেই।
,
যদি কেহ ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে বা প্রথম দুই রাকাতের কোনো এক রাকাতে সুরা না মিলিয়ে শেষ দুই রাকাতে সুরা মিলায়,তাহলে নির্দিষ্ট স্থানে সুরা না মিলানোর কারনে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنْ يَحْيَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقْرَأُ فِي الظُّهْرِ فِي الأُولَيَيْنِ بِأُمِّ الْكِتَابِ وَسُورَتَيْنِ، وَفِي الرَّكْعَتَيْنِ الأُخْرَيَيْنِ بِأُمِّ الْكِتَابِ، وَيُسْمِعُنَا الآيَةَ، وَيُطَوِّلُ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى مَا لاَ يُطَوِّلُ فِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ، وَهَكَذَا فِي الْعَصْرِ وَهَكَذَا فِي الصُّبْحِ.
আবূ কাতাদাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের প্রথম দু’রাক‘আতে সূরাহ্ আল-ফাতিহা ও দু’টি সূরাহ্ পড়তেন এবং শেষ দু’রাক‘আতে সূরাহ্ আল-ফাতিহা পাঠ করতেন এবং তিনি কোন কোন আয়াত আমাদের শোনাতেন, আর তিনি প্রথম রাক‘আতে যত দীর্ঘ করতেন, দ্বিতীয় রাক‘আতে তত দীর্ঘ করতেন না। ‘আসরে এবং ফজরেও এ রকম করতেন। (বুখারী শরীফ ৭৭৬.৭৫৯) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৪০)