ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/7759 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
কুরআনের তিলাওয়াত শিখা এবং পাাশাপাশি কুরআনের অর্থ শিখা দু'টি সম্পূর্ণ পৃথক ইবাদত।
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,কুরআন তিলাওয়াত শিখানো,এবং অপর আরেকটি দায়িত্ব হল,কুরআনের তরজমা তাফসীর শিখানো।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
অর্থ না বুঝে কুরআন তিলওয়াত করলে কোননো গুণাহ হবে না। এর দ্বারাও কুরআনের হক আদায় হবে।হ্যা, কুরআনের অর্থ শিখা অতিব জরুরী।
(২)
জ্বী, কুরআন সাক্ষী দিবে।
(৩)
কুরআনকে জেনে কুরআন অনুযায়ী চলবেন।
(৪)
আরবী ভাষা শিখা সম্ভব হলে,আরবী শিখবেন।নতুবা অনুবাদ পড়বেন।
(৫)
ইসলামিক অনলাইন মাদদরাসায় ভর্তি হয়ে যান।আরবী শিখতে পারবেন।
(৬)
সমস্ত কিছু জানতে হলে মাদরাসায় ভর্তি হতে হবে।সাধারণ কিছু সুন্নাহ জানার জন্য তা'লিমুস সুন্নাহ কিতাবখানা সংগ্রহ করতে পারেন।
(৭)
জান্নাত পাওয়ার সহজ রাস্তা হল, মাদরাসায় ভর্তি হন, বা তাবলিগে সময় লাগান।
(৮)
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান।
(৯)
ক্ষমা করলে বেশী নেকী পাবেন।ক্ষমা না করলেও যৎসামান্য নেকী পাবেন।
(১০)
এটা বুঝতে হলে নেককার কোনো মানুষের সাথে সময় কাটাতে হবে অথবা তাবলীগে সময় লাগাতে হবে।
(১১)
স্ত্রী ধর্য্য ধারণ করবে। জ্বী, মাতাপিতা উভয়ই দায়ী থাকবে।
(১২)
জ্বী, সওয়াব হবে।আল-বেদায়া ওয়ান্নেহায়া কিতাবখানা পড়তে পারেন।