জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান মতে কোনো সম্পদ ক্রয়ের পূর্বে সেটিত তার জন্য নিশ্চিতকরণ বা Assurance হিসেবে যে কিছু টাকা এডভান্স করা হয়,এই টাকাকে আমানত বলা হয়।
এই টাকার মালিক বিক্রয় কারী নন,বরং তার কাছে এটি শুধু আমানত হিসেবে রাখা হয়েছে বলে ধরা হবে।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কোনো কারন বশত নির্দিষ্ট সময়ে সেই সম্পদ না কিনতে পারার কারনে ঐ আমানতের টাকা সেই ব্যাক্তি ফেরত চাইলে তাহা ফেরত দিতে হবে।
(আপকে মাসায়েল আউর উনকা হল ৬/৮১)
,
তবে এখানে ওয়াদা খেলাফির গুনাহ হবে।
ওয়াদা রক্ষা ইমানের মূলধন।
মুমিন চরিত্রের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো ওয়াদা রক্ষা করা। ওয়াদা রক্ষা করা পবিত্র কোরআনের নির্দেশ। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমার সঙ্গে করা ওয়াদা তোমরা পূর্ণ কর। আমিও তোমাদের সঙ্গে করা ওয়াদা পূর্ণ করব। আর আমাকেই ভয় কর।’ (সূরা বাকারা : ৪০)।
অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আল্লাহ এবং পরস্পরের সঙ্গে করা ওয়াদা পূর্ণ কর। আর আল্লাহকে সাক্ষী রেখে কৃত ওয়াদা ভঙ্গ কর না।’ (সূরা নাহল : ৯১)।
নবী-রসুলরা ছিলেন ওয়াদা রক্ষাকারী সত্যনিষ্ঠ মহামানব। হজরত ইসমাইল (আ.) সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘এ কিতাবে স্মরণ কর ইসমাইলের কথা। সে ছিল ওয়াদা রক্ষাকারী সত্যনিষ্ঠ নবী এবং রসুল।’ (সূরা মারয়াম : ৫৪)।
আবদুল্লাহ ইবনে হাসমা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবুওয়তের আগে আমি রসুল (সা.) থেকে কিছু দ্রব্য ক্রয় করি এবং বলি আপনি এখানে দাঁড়ান আমি টাকা নিয়ে আসছি। বাড়িতে গিয়ে আমি রসুল (সা.)-এর কথা ভুলে গেলাম। তিন দিন পর মনে হওয়া মাত্রই ওই স্থানে গিয়ে দেখি হুজুর (সা.) দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি আমাকে দেখে শুধু বললেন, তুমি আমাকে খুব কষ্ট দিয়ে ফেললে। আমি তিন দিন পর্যন্ত তোমার জন্য এখানে অপেক্ষা করছি।’ (সুনানে আবু দাউদ : ৪৯৯৬)।
পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে ওয়াদা রক্ষাকারীর প্রশংসা ও মর্যাদা বর্ণনা করা হয়েছে। আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘প্রকৃত মোত্তাকীরা যখন ওয়াদা করে, তখন তা রক্ষা করে।’ (সূরা বাকারা : ১৭৭)। ‘
আরো জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত টাকা যাহা Assurance হিসেবে আপনাকে এডভান্স করেছিলো,সেই টাকা ফেরত
দিতে হবে। এক্ষেত্রে তার ওয়াদা খেলাফির গুনাহ হবে।
,
তবে এক্ষেত্রে স্ট্যাম্পে সাইন করে উক্ত টাকা নিয়ে থাকলে তার এহেন কাজের কারনে দেশিও আইনের সহায়তা নেওয়া যেতে পারেন।