আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
113 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (23 points)

আসসালামু আলাইকুম। আমার বাবা ঋণগ্রস্ত। বর্তমানে তিনি প্রবাসে আছেন। ঋণের টাকা এখনো শোধ হয় নি। যাদের বেশি চাপ ছিল সেগুলো শোধ হয়েছে।নিজস্ব বাড়ি, জমি নেই। বাড়ির জায়গা আড়াই শতক আছে কিন্তু এর কিছু অংশ বড় চাচা দখলে রেখেছেন। ভাড়া বাসায় থাকি। আমাদের ৫০ হাজার টাকা জমা হয়েছে। বাড়ি না থাকায় টাকাগুলো বৃদ্ধি করতে পারছি না।সুদ হারাম। আমার মামার কাপড়ের দোকান আছে। আম্মু চাচ্ছেন,৫০ হাজার টাকা এক মামাকে দিবেন।আর মামা সেই টাকা তার টাকার সাথে মিলিয়ে দোকানে জিনিস কিনে প্রতি মাসে একই পরিমাণ কিছু টাকা আমাদেরকে দিবেন।আর অনির্দিষ্ট সময় পর ঐ ৫০ হাজার টাকা আবার ফেরত দিবেন।
১. এটা সুদ হবে কি?

২.মামাকে কি  আলাদাভাবে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে জিনিস কিনে ঐ জিনিস বিক্রি করে আলাদাভাবে প্রতি মাসে কত টাকা বিক্রি হচ্ছে সেই টাকা দিতে হবে আর মূল টাকা ফেরত দেওয়া যাবে না?

৩. আমাদের জন্য এ টাকা থেকে হালালভাবে আয় করার অন্য কোনো পদ্ধতি আছে কি?
<!--/data/user/0/com.samsung.android.app.notes/files/clipdata/clipdata_bodytext_230304_105531_579.sdocx-->

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
এক্ষেত্রে আপনার মামাকে এই ৫০ হাজার টাকা ঋনের ভিত্তিতে দিলে সূদ হবে।
আর যদি মুদারাবা ভিত্তিতে টাকা দেয়,যেখানে আপনাদের ৫০ হাজার টাকা আর আপনার মামার শ্রম থাকবে,আর লভ্যাংশ শতকরা হারে নির্দিষ্ট থাকবে,তাহলে এটি জায়েজ হবে।

(০২)
আলাদা ভাবে টাকাও দেয়া যাবে,আবার মূলধনও ফেরত দেয়া যাবে 
তবে সেটি মুদারাবা ভিত্তিতে। 

(০৩)
হ্যাঁ, সেটি হলো মুদারাবা পদ্ধতি। 

ব্যবসার ক্ষেত্রে এক পক্ষের মাল,অপর পক্ষের শ্রম দেওয়াকে মুদারাবা বলা হয়।
এটি জায়েজ আছে। 

ইসলামী ফিকাহর পরিভাষায় একপক্ষের মূলধন ও অপরপক্ষের শ্রম, মেধা ও বুদ্ধির সমন্বিত রূপে যে ব্যবসা অস্তিত্ব লাভ করে তাকে মুদারাবা ব্যবসা বলা হয়। যিনি মূলধনের মালিক তাকে ‘রব্বুল মাল’ বা ‘সাহিবুল মাল’ ও যিনি শ্রমদান করেন বা উদ্যোগ নিয়ে মূলধন ব্যবহার করেন তাকে ‘মুদারিব’ বলা হয়। নবী (সা.) নবুয়ত লাভ করার আগে হজরত খাদিজা (রা.) এর সঙ্গে এ ব্যবসা করতেন, যা তিনি নবুয়ত  লাভ করার পরও কিছু দিন বহাল রেখেছিলেন। সাহাবায়ে কেরামের অনেকে এ ব্যবসা করতেন। আল্লামা কুরতুবি (রহ.) উল্লেখ করেছেন, ‘কিরাজ অর্থাৎ মুদারাবার বৈধতার ব্যাপারে মুসলমানদের মাঝে কোনোরূপ দ্বিমত নেই।’ (বিদায়াতুল মুজতাহিদ ২/২১৬)।

মুদারাবার ক্ষেত্রে শরীয়তের উসুল হলো যাহা লাভ হবে,তাহা শতকরা হারে উভয়ের মাঝে বন্টন করার চুক্তি করতে হবে।

কোনো নির্দিষ্ট টাকার চুক্তি করা যাবেনা,লোকসান হলে আগে লাভের টাকা থেকে সেটা পূরন করা হবে,অতঃপর মূলধন থেকে পূরন করা হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ     

بَاب الشَّرِكَةِ وَالْمُضَارَبَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو السَّائِبِ، سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ اشْتَرَكْتُ أَنَا وَسَعْدٌ، وَعَمَّارٌ، يَوْمَ بَدْرٍ فِيمَا نُصِيبُ فَلَمْ أَجِئْ أَنَا وَلاَ عَمَّارٌ بِشَىْءٍ وَجَاءَ سَعْدٌ بِرَجُلَيْنِ .

শারীকাত (অংশিদারী) ও মুদারাবা ব্যবসা

আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের দিন সাদ (রাঃ) , আম্মার (রাঃ) ও আমি গানীমাতের মালের ব্যাপারে অংশীদার হই (এই মর্মে যে, আমরা যা পাবো তা তিনজনে ভাগ করে নিবো)। আম্মার ও আমি কিছুই আনতে পারিনি। অবশ্য সাদ (রাঃ) দু’জন যুদ্ধবন্দী নিয়ে আসেন।
(নাসায়ী ৪৬৯৭, আবূ দাউদ ৩৩৮৮, বায়হাকী ফিস সুনান ৪/১৯৪, ইরওয়া ১৪৭৪।) 

বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...