উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
আহলে হাদীসরা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বাহিরের কেউ নন।
কেননা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের দশটি উল্লেখযোগ্য বড় আক্বিদা সমূহের কোনো একটিও তাদের মধ্যে অনুপস্থিত নয়।
সুতরাং তাদেরকে ইসলাম ও মুসলমান থেকে খারিজ বলা যাবে না।
হ্যাঁ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বিদা-বিশ্বাসের কোনো কোনো আক্বিদাকে তাদের কেউ কেউ নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা ব্যাখ্যা করে,সে হিসেবে তাদের গোমরাহ বা পথভ্রষ্ট বলা যেতে পারে।তবে কাফির বলা যাবে না।
,
সুতরাং তাদের পিছনে নামায বিশুদ্ধ হবে না,তাদের পিছনে ইকতেদা বিশুদ্ধ হবে না,এমনটা মনে করা যাবে না।
যেমন রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,
ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻭﺍﺟﺐ ﺧﻠﻒ ﻛﻞ ﺑﺮ ﻭﻓﺎﺟﺮ "
প্রত্যেক নেককার ও বদকার সবার ইমামতিতে জামাতে নামায পড়া প্রত্যেক মুসলমানের উপর ওয়াজিব।(মসনদে আহমদ)
হ্যা যদি কেউ ব্যক্তিগত ভাবে কবিরাহ গোনাহে লিপ্ত থাকে,এবং প্রকাশ্যে গোনাহ করে থাকে, তাহলে এমন প্রকাশ্য গোনাহকারীর পিছনে অবশ্যই ইকতেদা না করাই উত্তম। এমন প্রকাশ্য গোনাহকারীর পিছনে যত নামায পড়া মাকরুহে তাহরিমি।
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (2/ 7):
"الحاصل: أنه إن علم الاحتياط منه في مذهبنا فلا كراهة في الاقتداء به، وإن علم عدمه فلا صحة، وإن لم يعلم شيئاً كره".
যদি ভিন্ন মাযহাবের ইমাম সম্পর্কে জানা যায় যে, তিনি অন্যান্য মাযহাবের রে'আয়ত করে সকল মাযহাবকে নিয়ে নামায পড়াতে ইচ্ছুক, তাহলে ঐ ইমাম সাহেবের পিছনে নামায পড়া বিশুদ্ধ। তবে যদি জানা যায় যে, তিনি অন্যান্য মাযহাবের কোনো তোয়াক্কাই করেন না, তাহলে এমন ইমাম সাহহেবের পিছনে নামায পড়া বৈধ হবে না। যদি ঐ ইমাম সাহেব সম্পর্কে কোনো কিছুই জানা যায় না, তাহলে এমন ইমাম সাহেবের পিছনে নামায পড়া মাকরুহ বলে বিবেচিত হবে। (রদ্দুল মুহতার-২/৭)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আহলে হাদীস ভাইদের পিছনে নামাজের ইকতেদা করা জায়েজ আছে।
,
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানুুনঃ