আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
edited by

আমার মনে শুধু শর্তযুক্ত তালাকের চিন্তা আসতো। আজ আপনাদের সাইটে প্রবেশের সময় হঠাৎ মনে হল এই তালাক সংক্রান্ত মাসআলাটি দেখি। প্রথমে প্রশ্নটি পড়লাম এরপর যখন উত্তর  পড়তে যাবো তখন মনে মনে চলে আসলো, "প্রশ্নের উত্তরে তালাক হলে, আমারো তালাক"
এরপর আমি তাড়াতাড়ি করে মাসআলায় পড়লাম এবং সেখানে প্রশ্নকারীকে তালাক হওয়া এবং না হওয়ার সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
যেই মাসআলা পড়ে সমস্যা হয়েছে দেখুনঃ https://ifatwa.info/34152/
আমি বিয়ে করিনি।
১. এখন আমার মনে তালাকের চিন্তা আসলো আর আমি এর ভিত্তিতে উত্তর পরলাম ( তালাকের চিন্তা না আসলেও উত্তর হয়তো পড়তাম, তালাকের চিন্তা আসায় তাড়াতাড়ি মনযোগ দিয়ে পড়ছি) - এতে কি তালাক হয়ে যাবে? কারণ, আমি তো মনের ওয়াসওয়াসাকে কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করেছি। 

আমি হাদিসে পড়েছিলামঃ 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মানুষের অন্তরে যে সব কুচিন্তা জাগ্রত হয় আল্লাহ তাআলা তা থেকে আমার উম্মতকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। যতক্ষণ তারা তা মুখে উচ্চারণ না করবে বা কর্মে বাস্তবায়ন না করবে’

আমি তো তালাকের মাসআলার উত্তর তাড়াতাড়ি ও মনোযোগ দিয়ে পড়ার মাধ্যমে মনের চিন্তাকে মনে হয় কাজে রুপ দিয়েছি।

কিন্তু, আমি মুখে উচ্চারণ করিনি ১০০% আমার তালাক দেওয়ার কোন ইচ্ছা বা নিয়ত ছিল না।
২. যদি তালাক হয়েও যায় তাহলে সেটা কয় তালাকে হবে? আমারো কি প্রশ্নকারী ঐ ব্যক্তির মত হবে?

আমার প্রায়ই অন্যান্য ঘটনা নিয়ে এমন হয়। যেমনঃ এখন কারেন্ট আসলে ভেবে নিবো উমুক হয়েছে। যদিও বিশ্বাস করি না তবুও হয়ে যায়। মনে মনে এসব উদয় হয়।

৩. আপনার ইনবক্সে মেসেজ দিয়েছি।

৪. এটা জানার জন্য প্রশ্নঃ কোন বিবাহিত ব্যক্তি যদি নিয়ত করে উমুক কাজ করলে তালাক হয়ে যাবে। কিন্তু সে নিয়ত উচ্চারণ করেনি। মনে মনে করেছে এবং উমুক কাজটি করে ফেলেছে। তাহলে কি তার স্ত্রী তালাক হয়ে গিয়েছে? 
এই প্রশ্ন বুঝাতে গিয়ে আবারো আরেকটি সমস্যা হয়ে গিয়েছে হুজুর। এখানে আমি একটি কাজের উদাহরণ দিতে চাইছিলাম। ভাবলাম কি কাজের কথা বলা যায়? পরে ভাবলাম, "এখন যদি আমি নিশ্বাস না ছাড়ি তাহলে বউ তালাক"
নিশ্বাস শব্দটা মনে হয় জোড়ে উচ্চারণ করে ফেলেছি। কিংবা এই প্রশ্নটি লেখার সময় মনে হয় নিজেকেই নিজে শর্তযুক্ত তালাক দিয়েছি। তাই আমি নিশ্বাস ছাড়ছিলাম।
ক) তবুও কি আমি বিয়ে করলে তালাক হয়ে যাবে? কারণ, আমি তো নিশ্বাস ছেড়েছি এখন।
খ) আমি নিশ্বাস না ছাড়লে কি তালাক হয়ে যেতো?
গ) কিছুক্ষণ পর আমি ইচ্ছা করেই নিশ্বাস বন্ধ করে রেখেছিলাম।

দয়া করে সবগুলোর উত্তর হ্যা/ না তে দিয়েন। একটু ব্যাখাও কইরেন।

৫. ওয়াসওয়াসা আসার কারনে এখানে প্রশ্ন করার কারনে কি শর্ত যুক্ত তালাক হয়েছে?

1 Answer

0 votes
by (567,630 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান হলো বিবাহের পূর্বে সাধারণত তালাক পতিত হয়না। 
হ্যাঁ বিবাহের দিকে ঈঙ্গিত করে শর্তযুক্ত তালাক দিলে তালাক হবে। 
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ أَنْبَأَنَا عَامِرٌ الْأَحْوَلُ ح و حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَعِيلَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ جَمِيعًا عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا طَلَاقَ فِيمَا لَا تَمْلِكُ

‘আমর ইবনু শু‘আইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তালাক দেয়ার অধিকার জন্মানোর আগে প্রদত্ত তালাক কার্যকর হয় না।

তিরমিযী ১১৮১, আবূ দাউদ ২১৯০, সহীহ, ইরওয়াহ ১৭৫১, ২০৬৯, সহীহ আবী দাউদ ১৯০০, ইবনে মাজাহ ২০৪৭ রাওদুন নাদীর ৫৭১, আত-তা'লীকু আলাত তানকীল ২/৬২।

★★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী শর্তাধীন তালাক সহীহ হওয়ার ক্ষেত্রে জরুরী হলো ঐ মহিলা সেই ছেলের বিবাহে থাকতে হবে অথবা শর্তযুক্ত বাক্যটি উক্ত মহিলার দিকে বিবাহের নিসবত করা হবে।
কেহ যদি বলে যে অমুক কাজ করলে আমার ভবিষ্যত স্ত্রী তালাক,তাহলে এখানে বিবাহের নিসবত স্পষ্ট আকারে না পাওয়া গেলেও অস্পষ্ট ভাবে তালাকের নিসবত পাওয়ার কারনে বিবাহ করা মাত্র এক তালাকে বায়েন পতিত হবে।
পরবর্তীতে আবারো তাকে বিবাহ করা যাবে,এক্ষেত্রে নতুনভাবে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।

আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
শরীয়তের বিধান হলো মনে মনে তালাক দিলে,বা তালাক দিয়েছে কিনা,সন্দেহে থাকলে তালাক পতিত হয়না। 
,
(১.২)
আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন।
এতে কোনো শর্তযুক্ত তালাক হয়নি।
,
(০৩)
জী।
চেক করেছি।

(০৪)
ক,খ,গ,
যেহেতু তিনি মুখে জিহবা নাড়িয়ে নামাজের ন্যায় কানে আওয়াজ আসার মতো উচ্চারণ করেননি,তাই এতে তালাক হবেনা।
,

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেননবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

 

অপর এক হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي ذَرٍّ الْغِفَارِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ

আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনরাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মাতের ভুল বিস্মৃতি ও বলপূর্বক যা করিয়ে নেয়া হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন। [সুনানে ইবনে মাজাহ২০৪৩]


(০৫)
না,এতে তালাক হবেনা।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...