ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
যখন কোন মানুষ কারো সম্পদ নষ্ট করে বা চুরি করে এবং তার পক্ষে তাকে জানানো
কঠিন হয়ে যায় কিংবা জানালে সংকট আরও বাড়ার আশংকা থাকে; যেমন— তাদের মাঝে সম্পর্ক নষ্ট হওয়া; সেক্ষেত্রে জানানোটা আবশ্যকীয় নয়। বরং
সম্ভাব্য যে কোন পদ্ধতিতে তাকে সম্পদটা ফিরিয়ে দিবে; যেমন তার একাউন্টে জমা করে দেওয়া কিংবা এমন কাউকে দেওয়া যে তার কাছে পৌঁছিয়ে
দিবে কিংবা এ ধরণের অন্য কোন মাধ্যমে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ
আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার
বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার
নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা
তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে। (বুখারী শরীফ ২৪৪৯. (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)
চুরি করা কবীরা গুনাহের অন্তর্ভুক্ত (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৮)। যথাসাধ্য
চেষ্টার পরেও যদি মালিককে খুঁজে পাওয়া না যায়, তখন উক্ত টাকা তার নামে ছাদাক্বা করে দিতে হবে। তাহ’লে আশা করা যায় আল্লাহ
ক্ষমা করবেন। উল্লেখ্য যে, মালিক শনাক্ত হওয়ার পরেও লজ্জা বা অপমান মনে
করে তাকে তার সম্পদ ফিরিয়ে না দিলে এবং তার নিকট মাফ না চাইলে মনে রাখতে হবে যে, ইহকালের শাস্তি ও অপমান হ’তে পরকালের শাস্তি ও অপমান অনেক কঠিন এবং ভয়াবহ
(মুসলিম,
মিশকাত হা/৫১২৭)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি যত টাকা চুরি করেছেন তা হিসাব করে
ভাইয়ের জমানো টাকার মধ্যে রেখে দিবেন। আর সেখানে রাখা সম্ভব না হলে ভাইকে হাদিয়া
দিচ্ছেন বলে সব টাকা পরিশোধ করে দিবেন এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে মাফ চেয়ে নিবেন এবং জীবনে এমন কোন দিন করবেন না বলে তওবা করবেন।