ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://www.ifatwa.info/10869 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা পুরুষ এবং নারী দু'টি ভিন্ন জাতিকে তৈরী করেছেন এবং তাদের
কাজকেও বন্টন করে দিয়েছেন। এভাবে যে, সাধারণত পুরুষ বাহিরে কাজে ব্যস্ত থাকবে এবং নারীরা ঘরের
ভিতর সামাল দিবে এবং সন্তানসন্ততি কে শিক্ষাদীক্ষা দেয়ার মত মহান কাজ আঞ্জাম দিবে।
নারীশ্রম কে
ইসলাম নিরোৎসাহিত করেছে। তবে শরয়ী জরুরুতে অনুমোদনও দিয়েছে।
নারীশ্রমের শরয়ী
বিধান জানতে ভিজিট করুন করুন- https://www.ifatwa.info/632
ফিৎনার আশংকা না
থাকলে নারীদের জন্য একদিন একরাত (পায়ে হেটে)সফর পরিমাণ দূরত্ব তথা (৭৭÷৩=২৫.৬)২৫.৬ কিলোমিটার বা তার চেয়ে কম পরিমাণ
জায়গা সফর করা মাহরাম ব্যতীত জায়েয আছে। তবে ফিৎনার আশংকা থাকলে জায়েয হবে না।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/212
পর্দা করা ফরয।
পর্দার তিনটি স্তর রয়েছে পর্যায়ক্রমে। প্রথম স্তর হল,ঘরে বসে পর্দা করা। বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/572
মানবিক প্রয়োজন,যার জন্য বের না হলেই নয়। যেমন মাহরাম না
থাকাবস্থায় খাবার দাবার ও পোষাক ইত্যাদি ক্রয় বা চিকিৎসা কিংবা মাহরাম আত্মীয়
স্বজনকে দেখা ইত্যাদির জন্য বাহিরে যাওয়া। সুতরাং বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে না
যাওয়াতে ফরয বিধান পালন হবে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى وَأَقِمْنَ الصَّلَاةَ وَآتِينَ الزَّكَاةَ وَأَطِعْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُذْهِبَ عَنكُمُ الرِّجْسَ أَهْلَ الْبَيْتِ وَيُطَهِّرَكُمْ تَطْهِيرًا
তোমরা
গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না।
নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের
আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে
অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে। (সূরা আহযাব-৩৩)
ফ্রি মিক্সিং
পরিবেশ ব্যতীত পর্দা সম্মত হালাল যেকোনো চাকুরী করতে পারবে। তবে অবশ্যই পিতা বা
স্বামীর অনুমতি সাপেক্ষে। বিনা প্রয়োজনে চাকুরীতে না যাওয়াই উত্তম।
যদি ফ্রি মিক্সিং চাকুরী করা ব্যতীত খোরাকীর অন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকে,তাহলে ইস্তেগফারের সাথে রুখসত হবে। বিস্তারিত
জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/3503
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী বোন!
১. পরিপূর্ণ
পর্দার সাথে আপনার পরিস্থিতি বিবেচনায় সর্বদা চক্ষুকে অবনত করার শর্তে ফিতনার
আশংকা না থাকলে চাকরী করতে পারবেন।
২. (প্রশ্নটি
ভালো মত বোঝা যায় না। )তবে যদি আপনার আম্মা কানের দুল কাউকে বন্ধক দিয়ে ঋণ নিয়ে
এসে থাকেন তাহলে তা জায়েজ আছে। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ টাকা দিয়ে সংসার
চালাবেন এবং পরবর্তীতে টাকার ব্যবস্থা হলে ঐ ব্যক্তিকে তার ঋণ পরিশোধ করে আপনার
আম্মার দুল ফিরিয়ে নিয়ে আসতে বলবেন।
৩. আরোও হেকমত ও
নরম কন্ঠে আপনার আম্মাকে বোঝাতে থাকুন এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে দুআ করতে থাকুন।