بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
*শরিয়তের বিধান হলো, দাদার জীবদ্দশায় পিতা মারা গেলে চাচাদের উপস্থিতিতে নাতি-নাতনিরা দাদার মিরাস
পাবে না। সহিহ বুখারিতে এ বিষয়টি নিয়ে স্বতন্ত্র পরিচ্ছেদ আনা হয়েছে। সেখানে মিরাসের
ব্যাপারে সর্বাধিক জ্ঞানী সাহাবি হজরত জায়েদ বিন সাবেত (রা.)-এর ফতোয়া উল্লিখিত হয়েছে,
তিনি বলেন, ‘ছেলে থাকাবস্থায় (মৃত) ছেলের সন্তানাদি
মিরাস পাবে না।’ (সহিহ বুখারি : ২/৯৯৭)
এটি সর্বযুগের ইসলামী আইনবিদদের সর্বসম্মতিক্রমে
সিদ্ধান্তও। (উমদাতুল কারি : ২৩/২৩৮)
উত্তরাধিকার বণ্টনের ক্ষেত্রে নিকটবর্তী
দূরবর্তীর ওপর প্রাধান্য পাবে। হাদিস শরিফে রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘কোরআনে নির্দেশিত নির্ধারিত অংশের অধিকারীর অংশ তাদের দিয়ে দাও।
এরপর যা অবশিষ্ট থাকবে তা সবচেয়ে নিকটবর্তী পুরুষ আত্মীয় পাবে।’ (সহিহ বুখারি,
হাদিস : ৬৭৩৫, সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৬১৫, আবু দাউদ, হাদিস
: ২৮৯৮, তিরমিজি, হাদিস : ২০৯৮,
ইবনে মাজাহ, হাদিস : ২৭৪০)
আর এ কথা সবারই জানা যে কারো নাতির চেয়ে
ছেলেই অপেক্ষাকৃত বেশি নিকটবর্তী।
ইসলামী শরিয়ার বিধান ওটাই। তবে আমাদের
প্রচলিত আইনে এটাকে অন্য ধরনের একটা ফয়সালা করা হয়েছে। প্রচলিত আইন অনুসারে যদি তারা
কোর্টের মাধ্যমে আপিল করে, দেখা যায় যে তাদের ওয়ারিশ
করার বিষয়টি প্রচলিত আইনে উল্লেখ করা হয়েছে এবং কোথাও কোথাও তারা শেষ পর্যন্ত হক
আদায় করে নিয়েছে। কিন্তু ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী তারা ওয়ারিশ হওয়ার কোনো বিধান নেই,
কারণ মৃত ব্যক্তির যারা ওয়ারিশ হবে, মৃত ব্যক্তির
সঙ্গে তাদের সরাসরি সম্পর্ক থাকতে হবে। সরাসরি সম্পর্ক না থাকলে ওয়ারিশ হওয়ার প্রশ্নই
আসে না।
তবে শরিয়াহ অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির সন্তানদের
জন্য দাদা তাঁর সম্পত্তি দান করে দিতে পারেন। ইসলামে ওসিয়তের ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি
ওসিহত করে দিতে পারেন।
*কোন ব্যক্তি জীবিত এবং সুস্থ্য থাকা
অবস্থায় তার মালিকানাধীন সম্পদ যাকে ইচ্ছে দান করতে পারে। যেখানে ইচ্ছে খরচ করতে পারে।
এতে তার পূর্ণ অধিকার রয়েছে।
ব্যক্তি জীবিত থাকা অবস্থায় তার অর্জিত
সম্পদের একক মালিকানা তার হাতেই থাকে। তাতে যাচ্ছেতাই হস্তক্ষেপের অধিকার তার রয়েছে।
এতে কেউ হক দাবী করার অধিকার রাখে না। হ্যা, মৃত্যুর
পরের কথা ভিন্ন। তখন শরয়ী নীতিমালা অনুপাতে সম্পদ বন্টন করতে হয়।আরো বিস্তারিত জানতে
ভিজিট করুন: https://ifatwa.info/6405/
প্রশ্নকারী প্রিয় দ্বীনী ভাই/বোন!
১. আপনার দাদীর পুর্বে আপনার বাবা ইন্তেকাল
করার কারণে আপনি আপনার চাচা ও ফুফুদের উপস্থিতিতে দাদীর সম্পদের ওয়ারিশ হিসেবে গন্য
হবেন না। বিস্তারিত উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
২.জ্বী জীবিত অবস্থায় আপনার বাবা আপনাদের
কে যেই সম্পদের মালিক বানিয়েছেন আপনারাই তার মালিক যদি তিনি আপনাদের নামে লিখে দেন
এবং এটি জায়েয । সাধারণত এই বিষয়গুলি নিয়ে সমাজে ভুল বুঝাবুঝি হয় । সুতরাং অত্যন্ত সবরের সাথে কাজ করতে হবে, সবাইকে বুঝাতে হবে এবং কারো সাথে দূর্ব্যবহার করা মোটেও উচিত হবে না।