আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
260 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (87 points)
আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহ্মাতুল্লাহি ওয়া  বারকাতুহু,
একটি হাদিস এ বলা আছে যে একটি কঠিন সময় আসছে যখন সুন্নাতকে দ্রীঢ়ভাবে ধরে রাখা ব্যক্তি তমাদের মধ্যকার ৫০ জন শহীদ এর সমান সওয়াব পাবে। এটা কি সহীহ?? এটা কি অর্থে বলা হয়েছে এবং উক্ত সময় বা পরিস্থিতি টা আসলে কখন তা কিভাবে বোঝা যাবে??
জুমু'আ এর দিন মৃত্যুবরণ করলে কি কবরের আযাব থেকে মাফ কিংবা জান্নাত এর নিশ্চয়তা এরকম কিছু সহীহ সুত্রে বর্ণিত আছে কি??

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হ্যাঁ সেই কঠিন সময়ে একটি সুন্নাত দৃঢ়ভাবে ধারণের মর্যাদা হবে ৫০ জন শহীদের সমান।
উক্ত বিষয়টি হাদীস দ্বারা প্রমানীত।

অনেকেই বর্তমান ফিতনা ফাসাদের যুগকে সেই কঠিন সময়ের অন্তর্ভুক্ত বলে অবহিত করেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন,

إِنَّ مِنْ وَرَائِكُمْ زَمَانَ صَبْرٍ لِلْمُتَمَسِّكِ فِيْهِ أَجْرُ خَمْسِيْنَ شَهِيْدًا
 مِّنْكُمْ

 ‘তোমাদের পরে এমন একটা কঠিন সময় আসছে, যখন সুন্নাতকে দৃঢ়ভাবে ধারণকারী ব্যক্তি তোমাদের মধ্যকার পঞ্চাশ জন শহীদের সমান নেকী পাবে’।
ত্বাবারাণী কাবীর হা/১০২৪০; ছহীহুল জামে‘ হা/২২৩৪।

অন্য বর্ণনায় আছে যে, এ সময় ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, এরা কি তাদের মধ্যেকার শহীদ? তিনি বললেন, না বরং তোমাদের মধ্যেকার শহীদ’।
সিলসিলা ছহীহাহ হা/৪৯৪।

حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ عُتْبَةَ بْنِ أَبِي حَكِيمٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي عَمْرُو بْنُ جَارِيَةَ اللَّخْمِيُّ، حَدَّثَنِي أَبُو أُمَيَّةَ الشَّعْبَانِيُّ، قَالَ: سَأَلْتُ أَبَا ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيَّ، فَقُلْتُ: يَا أَبَا ثَعْلَبَةَ، كَيْفَ تَقُولُ فِي هَذِهِ الْآيَةِ: (عَلَيْكُمْ أَنْفُسَكُمْ) [المائدة: ١٠٥]؟ قَالَ: أَمَا وَاللَّهِ لَقَدْ سَأَلْتَ عَنْهَا خَبِيرًا، سَأَلْتُ عَنْهَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: بَلِ ائْتَمِرُوا بِالْمَعْرُوفِ، وَتَنَاهَوْا عَنِ الْمُنْكَرِ، حَتَّى إِذَا رَأَيْتَ شُحًّا مُطَاعًا، وَهَوًى مُتَّبَعًا، وَدُنْيَا مُؤْثَرَةً، وَإِعْجَابَ كُلِّ ذِي رَأْيٍ بِرَأْيِهِ، فَعَلَيْكَ - يَعْنِي - بِنَفْسِكَ، وَدَعْ عَنْكَ الْعَوَامَّ، فَإِنَّ مِنْ وَرَائِكُمْ أَيَّامَ الصَّبْرِ، الصَّبْرُ فِيهِ مِثْلُ قَبْضٍ عَلَى الْجَمْرِ، لِلْعَامِلِ فِيهِمْ مِثْلُ أَجْرِ خَمْسِينَ رَجُلًا يَعْمَلُونَ مِثْلَ عَمَلِهِ،

আবূ হুমাইয়াহ আশ-শা‘বানী (রহঃ) বলেন, আবূ সা'লাবহকে আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আবূ সা'লাবাহ! আপনি এ আয়াত ‘‘আলাইকুম আনফুসাকুম’’ (৫ঃ ১০৫) সম্পর্কে কি বলেন? তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই আপনি এ ব্যাপারে অবহিত ব্যক্তিকেই প্রশ্ন করেছেন। আমি এ আয়াত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেছেনঃ তোমরা বরং পরস্পরকে ভালো কাজের আদেশ দাও এবং অন্যায় থেকে বিরত রাখো। এমন কি যখন দেখবে যে, কৃপণের আনুগত্য করা হচ্ছে, কুপ্রবৃত্তি তাড়িতকে অনুসরণ করা হচ্ছে ও পার্থিব স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে এবং প্রত্যেকে নিজের মতকেই প্রাধান্য দিচ্ছে, তখন তুমি নিজের ব্যাপারে যত্নবান হও এবং জনগণ যা করছে তা ত্যাগ করো।

কেননা তোমাদের সামনে এরূপ যুগ আসছে, যখন ধৈর্য ধারণ করা জ্বলন্ত অঙ্গার মুষ্টিবদ্ধ করে রাখার মতো কষ্টকর হবে। এ সময় যথার্থ কাজ সম্পদানকারীকে তার মতই পঞ্চাশজনের সমান পুরস্কার দেয়া হবে। অপর বর্ণনায় রয়েছেঃ তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! তাকে কি সেই সময়কাল পঞ্জাশজনের সমান সওয়াব দেয়া হবে? তিনি বললেনঃ তোমাদের মধ্যকার পঞ্চাশজনের সমান সওয়াব দেয়া হবে।
ইবনু মাজাহ হা/ ৪০১৫,আবু দাউদ ৪৩৪১ মিশকাত হা/ ৫১৪৪।


(০২)
হ্যা, এ সংক্রান্ত হাদীস শরীফে এসেছেঃ
    
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، وَأَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ قَالاَ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ سَيْفٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَمُوتُ يَوْمَ الْجُمُعَةِ أَوْ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ إِلاَّ وَقَاهُ اللَّهُ فِتْنَةَ الْقَبْرِ "

আদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জুমুআর দিনে অথবা জুমুআর রাতে কোন মুসলমান ব্যক্তি যদি মৃত্যুবরণ করে তাহলে কবরের শাস্তি হতে আল্লাহ তাকে রক্ষা করেন।

হাসান লিগায়রিহী : আত্ তিরমিযী ১০৭৪, আহমাদ ৬৫৮২, সহীহ আত্ তারগীব ৩৫৬২। 
 মিশকাত (১৩৬৭), আল আহকাম (৩৫)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...