বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
সালাম দেওয়া সুন্নত এবং
উত্তর দেওয়া ওয়াজিব। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
لا تدخلوا الجنة حتى تؤمنوا ولا تؤمنوا حتى تحابوا أو لا أدلكم على شيء إذا فعلتموه تحاببتم؟ أفشوا السلام بينكم.
“তোমরা ততক্ষণ পর্যন্ত
জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না। আর
ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা পরিপূর্ণ ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তুমি তোমরা
একে অপরকে ভালবাসবে না, আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি জিনিস বাতলে দেব, যা করলে তোমরা পরস্পর পরস্পরকে ভালোবাসবে? তারপর তিনি বললেন, তোমারা বেশি বেশি করে সালামকে প্রসার কর”। (মুসলিম)
তবে সকল ইবাদতের মত
সালামেরও কিছু আদব-কায়দা আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্র এমন আছে যে সব ক্ষেত্রে সালাম
দেয়া মাকরূহ।
নিম্নোক্ত ক্ষেত্রগুলোতে
সালাম দেয়া মাকরূহ। এ ছাড়া বাকী যাদের সাথে তোমার দেখা হবে, তাদের সালাম দেয়া সুন্নত ও বৈধ।
১) নামাজ পড়া অবস্থায় কোন
ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।
২) কোরআন তিলাওয়াত করা
অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।
৩) জিকির ও মোরাকাবায়রত
অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।
৪) খাবার খাওয়া অবস্থায় কোন
ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।
৫) হাদিস-ফিকাহ বা অন্যান্য
তালীমি মজলিসে মশগুল এমন অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।
৬) ওয়াজ ও নসীহত শুনা
অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।
৭) বিচারক বিচার কার্যে
ব্যস্ত থাকা অবস্থায় সালাম দেওয়া উচিত নয়।
৮) আযানরত, ইকামতরত কিংবা পাঠদানরত অবস্থায় কোন ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।
৯) অপরিচিত যুবতী নারী
[যাদের সালাম দেয়াতে ফিতনার আশংকা থাকে] তাদের সালাম দেওয়া কোনক্রমেই উচিত নয়।
১০) যারা দাবা খেলায় মগ্ন
তাদের ও তাদের মত (অন্য খেলায়) মত্ত লোকদের সালাম দেওয়া উচিত নয়।
১১) যে ব্যক্তি তার স্ত্রীর
সাথে খেল-তামাশায় মগ্ন তাকে সালাম দেওয়া উচিত নয়।
১২) অমুসলিমকে সালাম দেওয়া
উচিত নয়।
১৩) ইস্তিঞ্জারত অবস্থায়
অথবা সতরবিহীন অবস্থায় থাকলে ওই ব্যক্তিকে সালাম দেওয়া উচিত নয়। (কপি)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
১. কুরআন মাজিদ
তেলাওয়াতকারীকে সালাম দেওয়া উচিৎ নয়। তদ্রূপ ঐ অবস্থায় সালামের জওয়াব
দেওয়াও ওয়াজিব নয়। বাদায়েউস সানায়ে ৫/৪৫১, আল বাহরুর রায়েক ২/১৬
তাই প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে
কেউ সালাম দিলে যেই আয়াতটি তেলাওয়াত করতে ছিলেন সেটা শেষ করে সালামের উত্তর বা
প্রয়োজনে অন্যের সাথে বলতে পারবেন। এতে কোন সমস্যা হবে না।
২. যদি কোন দলকে সালাম
দেওয়া হয় যেখানে অনেক লোক রয়েছে তাহলে তাদের মধ্য থেকে একজন সালামের উত্তর দিলেই
যথেষ্ট অর্থাৎ তাতে সবার পক্ষ হতে ওয়াজিব আদায় হয়ে যাবে। তবে অন্যরা চাইলে তারা
সবাই সালামের উত্তর দিতে পারে।
৩. দাড়ি বড় করার জন্য তেল
ব্যবহার করাতে কোন সমস্যা নেই।