আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
498 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
আসসালামু'আলাইকুম ।
বিয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবার জন্যে ফিতনা এড়াতে ছেলে মেয়ে কোন তৃতীয় পক্ষের(মেয়ে) উপস্থিতিতে অনলাইন গ্রুপ কনভার্সেশনে ভয়েসে কলে কথা  বলতে পারবে?  তাদের নিজেদের মানসিকতা জানার জন্য? যদি সেরকম কোন অভিভাবক মধ্যস্থতা করতে না পারে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
উত্তর
 وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো  যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ে করার পূর্ণ ইচ্ছা করে নেয়,তাহলে ঐ মহিলাকে দেখতে পারবে,সরাসরি বা মোবাইলে কথা বলতে পারবে।
তবে শরয়ী সীমারেখার ভিতর থেকে এসব করতে হবে। 
হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
(إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمْ الْمَرْأَةَ ، فَإِنْ اسْتَطَاعَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى مَا يَدْعُوهُ إِلَى نِكَاحِهَا ، فَلْيَفْعَلْ)
যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে চায়,তাহলে সে যেন যযথাসম্ভব ঐ মহিলাকে দেখে নেয়।(সুনানু আবি দাউদ-২০৮২)


হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة، قال: كنت عند النبي صلى الله عليه وسلم، فأتاه رجل فأخبره أنه تزوج امرأة من الأنصار، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: «أنظرت إليها؟»، قال: لا، قال: «فاذهب فانظر إليها، فإن في أعين الأنصارشيئا»

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পাশে বসা ছিলাম।একব্যক্তি এসে বলল, আমি আনসারি এক মহিলাকে বিয়ে করতে চাই।রাসূলুল্লাহ বললেন,তুমি কি পাত্রী দেখেছো?তিনি বললেন,না।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,যাও গিয়ে পাত্রী দেখে আসো।কেননা আনসারীদের চোখে নীল বা এ জাতীয় কিছু থাকে।
(সহীহ মুসলিম-১৪২৪)

" يَجُوزُ تَكْرَارُ النَّظَرِ إِنِ احْتَاجَ إِلَيْهِ لِيَتَبَيَّنَ هيئتها ، فَلاَ يَنْدَمُ بَعْدَ النِّكَاحِ ، إِذْ لاَ يَحْصُل الْغَرَضُ غَالِبًا بِأَوَّل نَظْرَةٍ ".

বারংবার দৃষ্টি দেয়া জায়েয।যাতেকরে পাত্রীর পূর্ণ অবয়ব পরিস্কার ভাবে ফুটে উঠে।এবং যাতেকরে বিয়ে পরবর্তী লজ্জিত হতে না হয়।কেননা একবারের দৃষ্টি অধিকাংশ সময়ে যথেষ্ট নাও হতে পারে।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২২/১৭)


পাত্র-পাত্রীর পরস্পর দেখা সাক্ষাৎ ও  আলাপ চারিতার কয়েকটি মূলনীতি-

(১)খালওয়াত (একাকী কোনো রুম বা মানবহীন এলাকায় একত্র) হতে পারবে না।
যদি একাকী রুম হয়,তাহলে সেখানে মহিলার কোনো মাহরামের উপস্থিতি জরুরী। 

হাদিস শরিফে এসেছেঃ   
وعَنِ ابنِ عباس رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أنَّ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ: «لاَ يَخْلُونَّ أَحَدكُمْ بامْرَأَةٍ إِلاَّ مَعَ ذِي مَحْرَمٍ» . متفق عَليْهِ
ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মাহরামের উপস্থিতি ছাড়া কোন পুরুষ যেন কোনো মহিলার সাথে নির্জন-বাস না করে।’’ (বুখারী ১৮৬২,৩০০৬,৩০৬১ ও মুসলিম ১৩৪১)

(২)মুবাহ (জায়েয)  বিষয় ব্যতীত অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে না।

(৩)ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকতে হবে।যদি কামভাব জাগ্রত হওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে যায়,অথবা কোনো একজন উপভোগ করতে শুরু করে নেয়,তাহলে তখন সেটা হারাম হয়ে যাবে।

(৪)মহিলা নরম ভাষায় কথা বলতে পারবে না।

(৫)মহিলা পূর্ণ হেজাব তথা কবজা পর্যন্ত হাত,টাখনু পর্যন্ত পা,এবং মুখ ব্যতীত সমস্ত শরীর ঢেকে রাখবে।

(৬)প্রয়োজন অতিরিক্ত কথাবর্থা বলা যাবে না।
,

★★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উপরোক্ত মূলনীতির উপর ভিত্তি করে আপনারা ভয়েস কলে কথা বলতে পারবেন।
যেহেতু এটা খুলওয়াত (একাকী কোনো বৈঠক) নয়,বরং এটা শুধু ভয়েস কল।
তাই এক্ষেত্রে কোনো ৩য় পক্ষের উপস্থিতির প্রয়োজন নেই।
কারন প্রয়োজন ব্যাতিত যেকোনো গায়রে মাহরাম মহিলার সাথেই পুরুষের কথা বলা নাজায়েজ। 
তাই এক্ষেত্রে যেহেতু মেয়ে ছেলে নিজেরাই পরস্পরে  নিজেদের জরুরি কথা বলতে পারে,তাই অন্য কোনো মহিলার উপস্থিতির অনুমতি দেওয়া যায়না।

তবে যদি কোনো ভাবেই তারা এইভাবে কথা বলতে না পারে,তাহলে মেয়ের পক্ষ থেকে কোনো মাহরাম পুরুষ সেই অনলাইন গ্রুপ কনভার্সেশনে যুক্ত হয়ে  ভয়েসে কলে যোগ দিতে পারবে।
এটা জায়েজ আছে।
,
★★উল্লেখ্য অবশ্যই ফিতনা থেকে নিরাপদ থাকতে হবে,শরয়ী সীমারেখার বাহিরে কোনো কথা বলা যাবেনা।
মহিলা নরম ভাষায় কথা বলবে,যত দ্রুত এই ভয়েস কল শেষ করা যায়,সেটাই করবে। 
প্রয়োজনের অতিরিক্ত কথা বলা যাবেনা।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আমি একটা মেয়েকে পছন্দ করেছি মেয়ে বলেছে কিছু পড়িয়ে যেতে সরা কবিন ১-২.বৎসর পরে হবে এখন আমার প্রশ্ন আমি কি তার সাথে SMS  এর মাধ্যমে কথা বার্তা বলতে পারবো?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...