আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
১)ইস্তেখারা কতদিন ধরে করা লাগবে??
২)১ ফোটা বীর্য়  লাগ্লে কি কাপড়  নাপাক হয়ে যাবে?

৩)দুনিয়াবি ক্ষতির আশংকায় শিরক ছারতে না পারাও কি শিরক??
আর যদি শিরক হয়েই থাকে তবে কি ওই শিরক ছেড়ে তাওবা করলেই হবে নাকি যেই দুনিয়াবি বিষয় এর ক্ষতির আশংকা করছিল সেই কাজও বাদ দেওয়া লাগবে?


৪)ধরুন।কারো স্কুলের পাশে একটা পাথর ছিল
লোকে বলত এই পাথরের উপর দুধ ঢেলে যা চাওয়া হয় তাই প্রমাণ হয়।
ধরুন আমি পরীক্ষা ভালো হওয়ার জন্য ওখানে দুধ খেলে পাথরের কাছে দুয়া করলাম।
পরে আবার কালিমা পরে আল্লাহর কাছে তাওবা করলাম।

এখন আমার মনে হল যে আমি যদি স্কুলে যাই তাহলে তো আবার ওই পাথরের দেখা পাব।

আবেগের বশে শিরক করে ফেলার আশংকা করলাম।

একবার ভাব্লাম স্কুল যাওয়া বাদ দিয়ে দিব।পরে ভাব্লাম স্কুলে যাওয়া বাদ দিতে পারব না আমি।কেননা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে আমার পরাশুনা ছাড়া আর কোন উপায় নাই।

তাই শিরকের আশংকা নিয়েই স্কুল যাইতে লাগ্লাম।আর সবসময় চেষ্টা করি যাতে শিরক না হয়।


এই যে আমি শিরক থেকে সাবধান থাকার জন্য স্কুল যাওয়া বাদ দেওয়ার কথা ভাব্লাম কিন্তু,এটা পরাশুনা কেই জীবন এ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার উপায় মনে করে স্কুল যাওয়া বাদ দিলাম না, এতে কি শিরক হবে???

৫)ধরুন,পরিক্ষার প্রশ্ন খুব কঠিন।
পাশের বন্ধুর দেখে দেখে না লিখলে আমি পাশ করতে পারব না বলে মনে হইল।তাই পাশের বন্ধুর দেখে দেখে লিখলাম।


আমি পাশ করব নাকি ফেল সেটা তো আল্লাহর ইচ্ছা।

কিন্তু আমি তো এখানে আল্লাহর কথা না ভেবে দেখে লেখা কে পাশ করার উপায় মনে করলাম।।


এতে কি শিরক হবে??
আর শিরক হলে করনীয় কি??
পড়াশোনা কি বাদ দেওয়া লাগবে??


৬)ধরুন, আমি পরিক্ষায় নকল করার সময় কেন্দ্রে উপস্থিত শিক্ষক যাচ্ছিল আমার পাশ দিয়ে।
তিনি বুঝতে পারলে খাতা কেটে দেবেন এই আশংকায় আমি ভয়ে কাঁপতে শুরু করলাম।এটা কি ভয় এর ক্ষেত্রে শিরক হিসেবে গণ্য হবে??

1 Answer

0 votes
by (681,160 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
কোনো সময়সীমা নির্ধারণ নেই।
আপনি চালিয়ে যেতে পারেন।
সমস্যা নেই। 

(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْعَلَاءِ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ شَوْكَرِ بْنِ رَافِعٍ الطُّوسِيُّ ، نَا أَبُو إِسْحَاقَ الضَّرِيرُ إِبْرَاهِيمُ بْنُ زَكَرِيَّا ، نَا ثَابِتُ بْنُ حَمَّادٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ ، عَنْ عَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ ، قَالَ : أَتَى عَلَيَّ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَأَنَا عَلَى بِئْرٍ أَدْلُو مَاءً فِي رِكْوَةٍ لِي ، فَقَالَ : يَا عَمَّارُ ، مَا تَصْنَعُ ؟ قُلْتُ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، بِأَبِي وَأُمِّي ، أَغْسِلُ ثَوْبِي مِنْ نُخَامَةٍ أَصَابَتْهُ . فَقَالَ " يَا عَمَّارُ ، إِنَّمَا يُغْسَلُ الثَّوْبُ مِنْ خَمْسٍ : مِنَ الْغَائِطِ ، وَالْبَوْلِ ، وَالْقَيْءِ ، وَالدَّمِ ، وَالْمَنِيِّ ، يَا عَمَّارُ ، مَا نُخَامَتُكَ وَدُمُوعُ عَيْنَيْكَ وَالْمَاءُ الَّذِي فِي رِكْوَتِكَ إِلَّا سَوَاءٌ "

আহমাদ ইবনে আলী ইবনুল 'আলা (রহঃ) ... আম্মার ইবনে ইয়াসির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, তখন আমি একটি কূপ থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আমার একটি পানির পাত্রে ভর্তি করছিলাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, হে আম্মার! তুমি কি করছো? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কোরবান হোক। আমি আমার পরিধেয় বস্ত্রে লেগে যাওয়া শ্লেষ্মা পরিষ্কার করছি। তিনি বলেনঃ হে আম্মার! পাঁচটি জিনিস থেকে কাপড় ধৌত করা প্রয়োজনঃ বিষ্ঠা, পেশাব, বমি, রক্ত ও বীর্য। হে আম্মার! তোমার নাকের শ্লেষ্মা, তোমার উভয় চোখের অশ্রু এবং তোমার এই পানির পাত্রের পানি একই সমান (পাক-নাপাকীর হুকুমের ক্ষেত্রে)।
(সুনানে দারা কুতনি ৪৫০)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
এক ফোটা বীর্য লাগলেও উক্ত কাপড় নাপাক হবে।
এক্ষেত্রে কাপড়ে যদি এক দিরহাম সমপরিমাণ চেয়ে কম হয়,তাহলে সেটি মাফ হবে।
উক্ত কাপড়ে নামাজ আদায় জায়েজ হবে।

আর যদি তাহা এক দিরহাম বা তার চেয়ে বেশি হয়,তাহলে তাহা মাফ হবেনা।
সেই কাপড় পবিত্র করা ব্যাতিত তাহা পরিধান করে নামাজ আদায় জায়েজ হবেনা।

(০৩)
এখানে মূলত যেই কাজটি শিরক,শুধু সেটিই শিরক থাকবে।
অন্যটি নয়। 
শিরক ছাড়তে না পারা শিরক নয়।

প্রশ্নে উল্লেখিত শিরকি কাজ ছেড়ে দিয়ে তওবা করতে হবে, আর শিরকে জলি হলে নতুন করে ঈমান নবায়ন করতে হবে। 

যদি প্রশ্নে উল্লেখিত কাজ হারাম,নাজায়েজ  না হয়,তাহলে সেই দুনিয়াবি কাজ ছেড়ে দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। 
তবে সেই কাজ যদি শিরক করতে উদ্ভুদ্ধ করে,তাহলে তাহাও ছেড়ে দিতে হবে।
,
(০৪)
এতে  শিরক হবেনা।
তবে এটি ধোকা,বিধান তওবা করতে হবে।
ভবিষ্যতে এহেন কাজ না করার জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ হতে হবে।   
পড়াশোনা বাদ দেওয়া লাগবেনা।
,
(০৫)
না,এটি শিরক নয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
৬ নাম্বার টা

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...