بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
কোনো মুসলমান যুবক-যুবতীর জন্য উচিৎ
হবে না মা-বাবাকে কষ্ট দিয়ে কোনো কাজ করা বা নিজ সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া। মা-বাবাকে
যে কোনো মূল্যে রাজি করিয়ে সিদ্ধান্ত নিন,নতুবা তাদের সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে মেনে নেয়ার
চেষ্টা করুন।তাদের অসন্তুষ্টিতে কোনো কিছু করা আপনার জন্য কখনো মঙ্গলজনক হবেনা।এবং
না হওয়াই যুক্তিসংগত।আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-
ﻭَﻗَﻀَﻰ ﺭَﺑُّﻚَ ﺃَﻻَّ ﺗَﻌْﺒُﺪُﻭﺍْ
ﺇِﻻَّ ﺇِﻳَّﺎﻩُ ﻭَﺑِﺎﻟْﻮَﺍﻟِﺪَﻳْﻦِ ﺇِﺣْﺴَﺎﻧًﺎ ﺇِﻣَّﺎ ﻳَﺒْﻠُﻐَﻦَّ ﻋِﻨﺪَﻙَ ﺍﻟْﻜِﺒَﺮَ
ﺃَﺣَﺪُﻫُﻤَﺎ ﺃَﻭْ ﻛِﻼَﻫُﻤَﺎ ﻓَﻼَ ﺗَﻘُﻞ ﻟَّﻬُﻤَﺂ ﺃُﻑٍّ ﻭَﻻَ ﺗَﻨْﻬَﺮْﻫُﻤَﺎ ﻭَﻗُﻞ ﻟَّﻬُﻤَﺎ
ﻗَﻮْﻻً ﻛَﺮِﻳﻤًﺎ
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে,
তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না
এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায়
বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ
কথা।(সূরা:১৭/২৩)
সবাইকে জানিয়ে মাতা-পিতার সম্মতিতে
ফ্যামিলি সিদ্ধান্তে বিয়ে করাই প্রত্যেক মুসলমান যুবক-যুবতীর উচিৎ ও কাম্য। তবে যদি তারা কাউকে না জানিয়ে দু'জন সাক্ষীর উপস্থিতে বিয়ে করে নেয়,তাহলে সেক্ষেত্রে বিয়েটা হয়ে যাবে।
আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:
https://www.ifatwa.info/15327/?show=15327#q15327
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার জন্য করণীয় হলো, মুহাব্বত ও ভালোবাসার সাথে মা ও বাবাকে
বুঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করবেন এবং তাদের সম্মতি ও দোয়া নিয়েই বিয়ে করবেন। আপনি নিজে
বুঝাতে অপারগ হলে নির্ভরযোগ্য কোন আলেমের মাধ্যমে বুঝানোর চেষ্টা করবেন। প্রশ্নেল্লিখিত
বর্ণনানুপাতে বিশুদ্ধ আক্বিদার সাথে কোন শিরক ও কুফুর না থাকলে কুরআনের আলোকে তাদবীর
গ্রহণ করা যাবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://www.ifatwa.info/226