আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
415 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
আমি একজনকে খুব ভালোবাসি। সেও আমাকে ভালোবাসে।

আমাদের সম্পর্ক ৩বছর ২মাস। আমরা ২জনই জানি যে, আমরা যতই ভালোবাসিনা কেনো এইটা হারাম সম্পর্ক। তাই আমরা চাই হালাল সম্পর্ক অথ্যাৎ বিয়ে করা.

আমার পরিবার জানে তার সম্পর্কে কিন্ত আমার মা বাবা মেয়েটাকে পছন্দ করেনাই প্লাস তাদের পরিবার সম্পর্কে এলাকায় খোজখবর নিয়েছে। তাদের এলাকাবাসী অনেক কিচু বলছে। বিশেষ করে মেয়ের মাকে নিয়ে। মেয়ের মা নাকি চঞ্চল এবং মাস্টার টাইপের

আমাই জানি আমার বাবা মাকে কিছু মানুষ ওদের সম্পর্কে ভুল বুজাইছে। যার কারণে আমার মা বাবা রাজি হচ্ছেনা

এই দিকের মেয়ের পরিবারে তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য পাগল হয়ে লেগে থাকছে তার পেছনে।

এখন আমরা চাই ২জনই বিবাহ করে সংসার করতে।

আমরা চাই পারিবারিক ভাবে বিয়েটা হোক।মেয়েটাও তাই চাই।

এমন পরিস্থিতিতে যদি মা-বাবা রাজি না হয় তাহলে কি কোনো হুজুরের মাধ্যমে কোরান- হাদিসের মাধ্যমে কি মা-বাবাকে রাজি করোনা হলে সেইটা কি গুনাহ বা খারাপ হবে?

আমি চাইনা মা-বাবাকেও হারাতে আমি চাইনা মেয়েটাকে ও হারাতে চাই সব পারিবারিক ভাবে হোক

বিদ্রঃ  আমদের এলাকায় একজিন হুজুর আছে।ওনি কোরানের আলোকে ঝাড়-ফুক করে এবং হাজিরা দেখে।ওনি আমাদের ব্যাপারে দেখে বলেছে যে,আমরা যদি চেষ্টা করি তাহলে আমরা মিল হবো

প্রিয় শায়েখগণদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ দয়া করে আমাকে জানান যে
এইরকম কাজটা করলে কি ভুল হবে?

অগ্রিম জা্যাকাল্লাহ খাইরান

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

কোনো মুসলমান যুবক-যুবতীর জন্য উচিৎ হবে না মা-বাবাকে কষ্ট দিয়ে কোনো কাজ করা বা নিজ সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া। মা-বাবাকে যে কোনো মূল্যে রাজি করিয়ে সিদ্ধান্ত নিন,নতুবা তাদের সিদ্ধান্তকে আন্তরিকভাবে মেনে নেয়ার চেষ্টা করুন।তাদের অসন্তুষ্টিতে কোনো কিছু করা আপনার জন্য কখনো মঙ্গলজনক হবেনা।এবং না হওয়াই যুক্তিসংগত।আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ-

ﻭَﻗَﻀَﻰ ﺭَﺑُّﻚَ ﺃَﻻَّ ﺗَﻌْﺒُﺪُﻭﺍْ ﺇِﻻَّ ﺇِﻳَّﺎﻩُ ﻭَﺑِﺎﻟْﻮَﺍﻟِﺪَﻳْﻦِ ﺇِﺣْﺴَﺎﻧًﺎ ﺇِﻣَّﺎ ﻳَﺒْﻠُﻐَﻦَّ ﻋِﻨﺪَﻙَ ﺍﻟْﻜِﺒَﺮَ ﺃَﺣَﺪُﻫُﻤَﺎ ﺃَﻭْ ﻛِﻼَﻫُﻤَﺎ ﻓَﻼَ ﺗَﻘُﻞ ﻟَّﻬُﻤَﺂ ﺃُﻑٍّ ﻭَﻻَ ﺗَﻨْﻬَﺮْﻫُﻤَﺎ ﻭَﻗُﻞ ﻟَّﻬُﻤَﺎ ﻗَﻮْﻻً ﻛَﺮِﻳﻤًﺎ

তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।(সূরা:১৭/২৩)

সবাইকে জানিয়ে মাতা-পিতার সম্মতিতে ফ্যামিলি সিদ্ধান্তে বিয়ে করাই প্রত্যেক মুসলমান যুবক-যুবতীর উচিৎ ও কাম্য। তবে যদি তারা কাউকে না জানিয়ে দু'জন সাক্ষীর উপস্থিতে বিয়ে করে নেয়,তাহলে সেক্ষেত্রে বিয়েটা হয়ে যাবে।

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করু:

https://www.ifatwa.info/15327/?show=15327#q15327

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আপনার জন্য করণীয় হলো, মুহাব্বত ও ভালোবাসার সাথে মা ও বাবাকে বুঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করবেন এবং তাদের সম্মতি ও দোয়া নিয়েই বিয়ে করবেন। আপনি নিজে বুঝাতে অপারগ হলে নির্ভরযোগ্য কোন আলেমের মাধ্যমে বুঝানোর চেষ্টা করবেন। প্রশ্নেল্লিখিত বর্ণনানুপাতে বিশুদ্ধ আক্বিদার সাথে কোন শিরক ও কুফুর না থাকলে কুরআনের আলোকে তাদবীর গ্রহণ করা যাবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: https://www.ifatwa.info/226


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
প্রিয় শায়েখ
যাইহোক আমি যদি এর মাধ্যমে মা-বাবাকে রাজি করানোর জন্য উক্ত হুজুরের সাহায্য নি তাহলে এইটা কি গুনাহ বা ভুল হবে?
আমি এবং মেয়েটা ২জনই চাই সব কিছু পারিবারিক ভাবে হোক

by (61,230 points)
মনোযোগ দিয়ে উপরের উত্তরটি পড়ার অনুরোধ করছি।
by
জ্বি বুজলাম
প্রিয় শায়েখ 
১টা অনুরোধ আপনার কাছে
আমি ২জায়গায় ২হুজুরের সাথে কথা বলেছি ওনারা আমার নাম আমার মা বাবার নাম এবং মেয়ের না মেয়ের ম-বাবার নাম নিয়ে মিলিয়ে দেখছে যে 
আমরা যদি চেষ্টা করি মিল হবো। তবে এর মাঝে কিছু বাধা-বিপত্তি আছে। যদি চাই হুজুর হাদিস কোরানের মাধ্যমে সমাধান দিতে পারবে
যদি আমার পরিবার রাজি না হয় তাহলে আমি কি হুজুরের সেই প্রন্থা কি বেছে নেবো?
দয়া করে জানাবেন প্লিজ 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...