আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
১) মাঝে মাঝে আমি ভুলে যাই আমার সিজদাহ দুটা হয়েছে কিনা। আবার ভুলে যাই রাকাআত কোনটায় আছি। এরকম ক্ষেত্রে কী করণীয়?
২) নামাজে সালাম ফিরানোর পর কীভাবে সাহু সিজদাহ দেয়?
৩) নামাজ পড়ার সময় যদি বিড়াল এসে খেলে.. পায়ের কাছে লাফালাফি করে, তখন আমি আমার মতো নামাজ পড়ে যাই। সে সামনে থাকলে আমি একটু সরে বসে সিজদাহ করে ফেলি। এতে কি আমার সলাত আদায় হয়? নাকি ত্রুটি থাকে?
৪) রাতে সূরাহ মুলক যদি মাগরিব আদায়ের পরপর তিলাওয়াত করা হয় তাহলে কি সুন্নাহ আদায় হবে? নাকি ঈশার পরেই পড়তে হয়?
৫) রাগ কমানোর জন্য কোনো আমল আছে কি?
৬) আমি যতদূর জানি কোনো হারাম ত্যাগ করার পর সে সঙ্ক্রান্ত সব ত্যাগ করতে হয়। আমি ক্যাডেট থেকে ইন শা আল্লহ চলে আসছি। আমি কি আমার ক্যাডেট সঙ্গীদের সঙ্গ ত্যাগ করবো? তাদের সঙ্গে কথা বললে কি আমার গুনাহ হবে?
৭) সলাত আদায়ের সময় কিছু পরিমাণ চুল দেখা গেলে কি সলাত আদায় হবে?
৮) সকালে উঠে যদি কেউ গরম পানি দিয়ে অজু করে তবুও কি আল্লহ তার দিকে তাকিয়ে হাসেন? শুনেছিলাম শীতের দিনে আল্লহ তাআলা ঐ ব্যক্তির দিকে তাকিয়ে হাসেন যে শীত সত্ত্বেও অজু করে ফজর আদায় করে।

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-

(০১)
https://www.ifatwa.info/1797 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে, 
নামাযে রা'কাত বা সেজদা সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে,যে ঐ ব্যক্তির কি এটা প্রথম হয়েছে না মাঝেমধ্যে এমন হয়।যদি প্রথমবার বা কদাচিৎ হয়ে তাহলে উনি আবার প্রথম থেকে শুরু করে নতুনভাবে পড়ে নিবেন।কিন্তু যদি কারো প্রায় এরকম সন্দেহ হয়,তাহলে উনার বিধান হলো,
"وإن كثر الشك" تحرى و "عمل" أي أخذ "بغالب ظنه" لقوله صلى الله عليه وسلم: "إذا شك أحدكم فليتحر الصواب فليتم عليه" وحمل على ما إذا كثر الشك للرواية السابقة "فإن لم يغلب له ظن أخذ بالأقل" لقوله صلى الله عليه وسلم: "إذا سها أحدكم في صلاته فلم يدر واحدة صلى أو اثنتين فليبن على واحدة فإن لم يدر اثنتين صلى أو ثلاثا فليبن على اثنتين فإن لم يدر ثلاثا صلى أو أربعا فليبن على ثلاث ويسجد سجدتين قبل أن يسلم"
যদি কারো নামাযে সংখ্যা নিয়ে প্রায় সন্দেহ হয়,তাহলে উনি তাহাররি(সঠিক বিষয়ে পৌছার জন্য চিন্তাভাবনা করা) করে গালিবে যান্ন(প্রবল ধারণা) এর উপর আ'মল করবেন।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ নামাযে সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ করে,তাহলে সে যেন সঠিক বিষয়ে পৌছার চেষ্টা করে সে হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।তবে যদি চিন্তাভাবনার পরও কোনো সংখ্যার দিকে মনে প্রবল ধারণা না জন্মে, তাহলে সে যেন,কম সংখ্যাকে ধরে নিয়ে সেই হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ নামাযে সন্দেহ করে,এক রা'কাত পড়েছে না দুই রা'কাত পড়েছে? তাহলে সে যেন এক রা'কাত ধরে নিয়ে সেই হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।এভাবে দুই/তিন বা তিন/চার নিয়ে সন্দেহ হলে কম সংখ্যাকে ধরে নিয়ে সে যেন নামাযকে সম্পন্ন করবে।এবং শেষে যেন সে সেজদায়ে সাহু দেয়।(মারাকিল ফালাহ-১/৪৭৭)

★★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেজদা আর রাকাত সংখ্যা নিয়ে আপনার যেটি প্রবল ধারনা হয়,সেই অনুযায়ীই আমল করবেন।
যদি আপনার কোনো দিকেই প্রবল ধারনা না হয়,সেক্ষেত্রে আপনি কম সংখ্যাকে ধরবেন।
সেভাবেই নামাজ শেষ করবেন।     

(০২)
ডান দিকে এক সালাম ফিরানোর পর দুটি সেজদাহ দিয়ে তাশাহুদ,দরুদ শরীফ,দোয়ায়ে মাছুরা পাঠ করবে।
,
(০৩)
এতে আপনার সালাত আদায় হয়ে যাবে।
তবে এক্ষেত্রে সহীহ পদ্ধতি  হলো আপনি উক্ত বিড়াল হাত দ্বারা বা আল্লাহু আকবর আওয়াজ জোড়ে করে তাকে সড়িয়ে দিয়ে সেজদাহ দিবেন।
,
(০৪)
ঘুমানোর আগে পড়ার কথা এসেছে।
মাগরিবের পর আদায় করলেও ফজিলত পাওয়া যাবে।
ইনশাআল্লাহ। 
,
(০৫)
রাগ সম্পর্কে মুসলিম শরীফের এক হাদিসে আছে, 
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে রাগের সময় নিজেকে সামলে নিতে পারে, সেই প্রকৃত বাহাদুর। আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, রাগ দেখানোর সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও যে তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, আল্লাহতায়ালা তাকে কিয়ামতের দিন পুরস্কৃত করবেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  এ থেকে বাঁচার পথ বাতলে দিয়েছেন- 
إِذَا غَضِبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَسْكُتْ.
কেউ যখন রেগে যায় সে যেন চুপ হয়ে যায়। (যাতে গালিগালাজ, মন্দ কথা থেকে বাঁচতে পারে।) -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২১৩৬

,
এক হাদিসে বলা হয়েছে, ‘যখন তোমাদের কারও রাগ আসে, তখন সে দাঁড়িয়ে থাকলে যেন বসে পড়ে। তাতে যদি রাগ দমে না যায়, তাহলে সে যেন শোয়ে পড়ে। ’ -তিরমিজি

আবু দাউদ শরীফের একটি হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রাগ আসে শয়তানের কাছ থেকে। শয়তান আগুনের তৈরি। আর আগুন নেভাতে লাগে পানি। তাই যখন তোমরা রেগে যাবে, তখন অজু করে নেবে। ’
,
★সুতরাং রাগ উঠলে রাসুল সাঃ এর নির্দেশ মানতে হবে।
আর আল্লাহ তায়ালার রাগ কমানোর জন্য দোয়া করতে হবে,ধৈর্য ধারনের চেষ্টা করতে হবে।  
,
বিস্তারিত জানুনঃ 

(০৬)
আপনি পুরুষ হলে পুরুষ সঙ্গীদের সাথে আর আপনি মেয়ে হলে মেয়ে সঙ্গীদের সাথে কথাবার্তা বলতে পারবেন,যোগাযোগ দেখা সাক্ষাৎ করতে পারবেন।
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবেন।

(০৭)
না,সামান্য পরিমাণ চুল দেখা গেলে কোনো সমস্যা নেই।
তবে সমস্ত চুলের এক চতুর্থাংশ বের হলে সমস্যা হবে।     
বিস্তারিত জানুনঃ-
 
(০৮)
গরম পানি দিয়ে অযু করলেও এই ফজিলত পাওয়া যাবে,ইনশাআল্লাহ।   


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 122 views
...