আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
105 views
in সালাত(Prayer) by (41 points)
edited by
Assalamualaikum wa rohmatullohi wa barokatuh
১.উস্তাদ আল্লহু আকবার না বলে যদি কেউ সাহু সিজদা দিয়ে ফেলে তাহলে সাহু সিজদা হবে?

২.আমার ফ্রেন্ড রোযা রেখেছিল। ওর ফোনে তিনটা এপ্স ছিল সেখানে দুইটা এপ্স এ সেহরির টাইম শেষ হয়ে গিয়েছিল কিন্তু অন্য আরেকটি এপ্স এ সেহরির টাইম ছিল এখন ও যে রোযা রেখেছিল ওর রোযা হবে?

৩.আমি তাহাজ্জুদ এ উঠে নামাযে  শেষ বৈঠকে ঘুমিয়ে যেতাম  আমার কি নামায হবে? নাকি আমাকে এই তাহজ্জুদের নামায কাযা করা লাগবে?

৪.উস্তাদ আমার প্রথম সেমিস্টারে আকিদাহ ক্লাস গুলো তে গ্যাপ হয়ে গেছে (তখন নতুন ছিলাম বুঝতে পার নি) এখন আমি কিভাবে ক্লাস গুলো করতে পারি? থার্ড সেমিস্টারে ও এখন অনেক পড়া আবার জেনারেল এর পড়াও রয়েছে আমি কিভাবে এখন মেনেজ করতে পারি? এই সেমিস্টারে পড়া গুলো পড়তে গেলে আমার ওয়াসওয়াসা আসে যে( আমার আকিদাহ ক্লিয়ার না আকিদাহ পড়তে হবে) অনেক চাপ লাগে রাগ হয় অনেক এখন আমি কি করব? আবার আকিদাহ ক্লাস গুলো করতে গেলেও ওয়াসওয়াসা আসে।

1 Answer

0 votes
by (712,400 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
ولا يجب السجود إلا بترك واجب أو تأخيره أو تأخير ركن أو تقديمه أو تكراره أو تغيير واجب بأن يجهر فيما يخافت......... 
ওয়াজিবকে ছেড়ে দেয়া বা আগপিছ করা অথবা নামাযের কোনো রুকুন তথা ফরযকে আগপিছ  করা বা বারংবার করা  কিংবা কোনো ওয়াজিবকে পরিবর্তন করা ব্যতীত সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে না।যেমন উচ্ছস্বরের কিরাতকে নিম্নস্বরে পড়া।

ولا يجب بترك التعوذ والبسملة في الأولى والثناء وتكبيرات الانتقالات إلا في تكبيرة ركوع الركعة الثانية من صلاة العيد ولا يجب بترك رفع اليدين في العيدين وغيرهما
আউযুবিল্লাহ,বিসমিল্লাহ, ছানা এবং তাকবীরে ইন্তেকাল ছেড়ে দিলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে না।তবে ঈদের নামাযের দ্বিতীয় রা'কাতের রু'কুর তাকবীর ছেড়ে দিলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।কিন্তু ঈদের নামাযে তাকবীরের সময়কার রা'ফে ইয়াদাঈন কে ছেড়ে দিলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২৬)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
আল্লহু আকবার না বলে যদি কেউ সাহু সিজদা দিয়ে ফেলে তাহলেও তার সাহু সিজদা হবে।যদি সুন্নত আদায় হবে না।

(২)
ইসলাম ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ক্যালেন্ডার দেখেই তিনি রোযা রাখবেন ও ইফতার করবেন।
নীচে পিডিএফ ফাইলের লিংক দেয়া হল।


উক্ত ক্যালেন্ডারে প্রদত্ব সময়ের আগেই সেহরি খেয়ে থাকলে উনার রোযা হয়েছে, নতুবা রোযা হয়নি।


(৩) তাহাজ্জুদে উঠে নামাযে শেষ বৈঠকে ঘুমিয়ে গেলে যখনই জাগ্রত হবেন, দাড়িয়ে পরবর্তী রাকাত পড়ে নিবেন। মনে রাখবেন, নামাযের মধ্যে ঘুম চলে আসলে সেই ঘুম অজু ভঙ্গ করে না। তবে কেউ গভীর ঘুমে নিমজ্জিত হলে, তার জন্য উত্তম অজু করে পূনরায় উক্ত নামাযকে দোহড়িয়ে পড়ে নেয়া।
قال فی فیض الباری وظاہر الروایة فیہ: أن النوم عند تمکن المقعدة لایفسد ، ویفسد عند التجافی، وفی الدر المختار: إن تمکن مقعدہ ونام وإن طال وفی عبارة وإن جلس مستندا فہذا ہو المذہب أما الفتوی فإنہا تبتنی علی المصالح واختلاف الزمان والمکان فلا یوسع فیہا فی ہذہ الأیام فإنہا أیام یأکل فیہا الناس کثیراً فیحدثون مع تمکن المقعدة (فیض الباری)

کما فی الدر المختار مع رد المحتار:
(و) ينقضه حكما (نوم يزيل مسكته) أي قوته الماسكة بحيث تزول مقعدته من الأرض، وهو النوم على أحد جنبيه أو وركيه أو قفاه أو وجهه (وإلا) يزل مسكته (لا) يزل مسكته (لا) ينقض وإن تعمده في الصلاة أو غيرها على المختار
(قوله: على المختار)۔۔۔۔۔۔۔قال في شرح الوهبانية: ظاهر الرواية أن النوم في الصلاة قائما أو قاعدا أو ساجدا لا يكون حدثا سواء غلبه النوم أو تعمده.
(ج: 1، ص: 141، ط: دار الفکر)

وفی الھندیۃ:
(ومنها النوم) ينقضه النوم مضطجعا في الصلاة وفي غيرها بلا خلاف بين الفقهاء۔۔۔۔۔ولا ينقض نوم القائم والقاعد ولو في السرج أو المحمل ولا الراكع ولا الساجد مطلقا إن كان في الصلاة وإن كان خارجها فكذلك إلا في السجود فإنه يشترط أن يكون على الهيئة المسنونة له بأن يكون رافعا بطنه عن فخذيه مجافيا عضديه عن جنبيه وإن سجد على غير هذه الهيئة انتقض وضوءه. كذا في البحر الرائق ثم في ظاهر الرواية لا فرق بين غلبته وتعمده
(ج: 1، ص: 12، ط: دار الفکر)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 429 views
0 votes
1 answer 122 views
...